Saturday, February 14, 2009

সার ও জ্বালানি তেল নিয়ে চরম ভোগান্তিতে কিশোরগঞ্জের কৃষক

১৩.০২.০৯
ডেসটিনি ।। কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

বোরো মৌসুমের শুরুতে কিশোরগঞ্জের ৫টি হাওর উপজেলাসহ জেলার সর্বত্র চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে জমি তৈরি থেকে শুরু করে ধানের চারা রোপণের কাজে। কাকডাকা ভোর থেকে দিনের পুরো সময় এখন মাঠে কাটছে চাষিদের। এমনকি সকাল ও দুপুরের খাবারও সারছেন মাঠেই। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বোরো উৎপাদনকারী জেলা কিশোরগঞ্জের বিশাল হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধান। তাই বোরো আবাদের এ সময়ে চাষিদের দম ফেলাবার ফুসরত নেই। চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৪৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সার সংকট ও জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্যের কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ব্যাপারে চাষিদের সংশয় রয়েছে। সময়মতো সার না পাওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে চাষিদের মাঝে। করিমগঞ্জ উপজেলার গাংগাইল গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, চার দিন ধরে সারের জন্য ঘুরছি। বিএসকে (ব্লক সুপারভাইজার) সময়মতো পাই না, তাই সারও নিতে পারছি না।
সদর উপজেলার শোলাকিয়া গ্রামের কৃষক আবু তাহের জানান, সময়মতো সার পাই না। যেটুকু পাই তাতে চলে না। যেখানে প্রয়োজন ১০ বস্তা সার সেখানে যাওয়া যায় ১০ কেজি। সার সংকটের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. কফিউদ্দিন বলেন, কিশোরগঞ্জে পর্যাপ্ত পরিমাণ সার মজুদ রয়েছে। কোনো সংকট নেই। আশা করি এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হবে। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের সব মাঠকর্মী ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। এদিকে আমাদের জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ডিজেল সংকটের পাশাপাশি চরম লোডশেডিংয়ের কারণে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকার কৃষকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ। জানা গেছে, উপজেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে। ডিজেলচালিত ২৭টি গভীর এবং ৩ হাজার ১২৭টি অগভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। এজন্য প্রতিদিন ডিজেলের চাহিদা ৩০ হাজার ৭৪৩ লিটার বলে কৃষি কর্মকর্তা জানান। তবে চাহিদার তুলনায় কম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা যায়। বিদ্যুৎচালিত গভীর নলকূপের মধ্যে বরেন্দ্র প্রকল্পের ৩৩টি, বিএডিসির ৪টি ও বিআরডিপির সমিতির আওতায় ৫৮টিসহ ৩৮৪টি এবং অগভীর নলকূপ বিআরডিসির ৬৮টিসহ ৩৫৭টি চালু আছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাঁচবিবির ডিজিএম ইমদাদুল হক জানান, এখানে বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিদিন মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে দিনের বেলায় ২ থেকে আড়াই এবং রাতে ৩ মেগাওয়াট। কৃষকদের চাহিদার তুলনায় যা খুবই কম। ভরা মৌসুমে এ অবস্থা থাকলে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হতে পারে বলে আশঙ্কা সর্বমহলের।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor