Thursday, March 5, 2009

কৃষকের দিন বদলই হলো আসল চ্যালেঞ্জ

২৫.০২.০৯
ইত্তেফাক ।। সম্পাদকীয়

ব্যক্তিগত কাজে সড়কপথে সিলেট যেতে হয়েছিল কয়েকদিন আগে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পার হওয়ার পর থেকে সিলেট অবধি রাস্তার দু’পাশে অনাবাদী পড়ে আছে বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি। যেখানে এখন প্রান্তর জুড়ে উদীয়মান শস্যের সবুজ গালিচা থাকার কথা, সেখানে শুধুই ধূলি উড়ছে। বাংলাদেশে বোরোর এই ভরা মৌসুমে এমন দৃশ্য অভাবনীয় শুধু নয়, মর্মস্পর্শী এক গুরুতর অপরাধ বলেও মনে হয় আমার কাছে।

মনে পড়ে, মাত্র কয়েক মাস আগে খাদ্যের জন্য কী হাহাকারটাই না করেছি আমরা। দ্বিগুণ দাম দিয়েও বিশ্ববাজার থেকে চাল ও গম সংগ্রহ করতে গিয়ে কী দুর্ভোগটাই না পোহাতে হয়েছে আমাদের! সর্বোচ্চ ১৫ টাকা কেজির মোটা চাল রাতারাতি ৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছিল। পাথরে ভর্তি দুর্গন্ধযুক্ত সেই মোটা চাল কেনার জন্যও ঘন্টার পর ঘন্টা শত শত মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে দীর্ঘ লাইনে। অজানা এক আতঙ্ক ভর করেছিল সাধারণ মানুষের চোখেমুখে। ভর করারই কথা। পেটে ভাত না থাকলে বাকি সবই অসার।

আমাদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সেই সংকট এখনও পুরোপুরি কাটেনি। বর্তমানে চাল, গম সহ বেশিরভাগ খাদ্যপণ্যের জন্যই আমরা বিদেশের উপর বিপজ্জনকভাবে নির্ভরশীল। বিপজ্জনক নানা কারণে। সবচেয়ে বড়ো কারণটি হলো, বিশ্ব বাজারের সামান্য অস্থিরতাও যে অভ্যন্তরীণ বাজারকে কতোটা বেসামাল করে দিতে পারে তা দেখার দুর্ভাগ্য আমাদের হয়েছে। তাই এই বিদেশনির্ভরতা পরিহার করা না গেলে খাদ্য নিরাপত্তাজনিত সংকট থেকে আমরা কখনই মুক্তি পাবো বলে মনে হয় না। প্রসঙ্গত বলা দরকার যে, আতঙ্কের সেই দিনগুলোতে পরপর বাম্পার ফলন উপহার দিয়ে কৃষকই আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছিল একটি সম্ভাব্য মহাদুর্যোগ থেকে।

তখন আমরা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেছি যে, এ ধরনের খাদ্য-দুর্যোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। আর খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের একমাত্র উপায় হলো কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি। তাই চির উপেক্ষিত বিবর্ণ কৃষিখাতের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার প্রসঙ্গটি সামনে এসেছিল। সামনে এসেছিল ততোধিক জরাজীর্ণ কৃষকের ভালো থাকার প্রসঙ্গও। দাতাদের অযাচিত পরামর্শ অগ্রাহ্য করে কৃষিখাতে ভর্তুকি ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে গড়ে উঠেছিল শক্তিশালী জনমত। আমাদের দাতামুখাপেক্ষী কৃষিবিমুখ নীতিনির্ধারকগণও তাদের ঝানু মাথা নেড়ে (সম্ভবত প্রথমবারের মতো) তাতে সায় দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন কতোটা ঘটেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গত বোরো মৌসুমেও সার ও সেচের জন্য কৃষককে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

এবারের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। নবনির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই সারের দাম অর্ধেক কমানো হয়েছে। সেচ-খরচের দিকে লক্ষ্য রেখে কমানো হয়েছে ডিজেলের দামও। সেচ কাজে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নেয়া হয়েছে আরও কিছু ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে, কৃষির প্রতি দেড় মাস বয়েসী এ সরকারের যে বিশেষ মনোযোগ রয়েছে তা বোঝা যায়। এটা তাদের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকারও বটে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০১৩ সালের মধ্যে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ লক্ষ্যে ‘কৃষি উপকরণে ভর্তুকি বৃদ্ধি, কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা ও কৃষিঋণের আওতা বৃদ্ধি এবং প্রাপ্তি সহজীকরণ করা হবে’।

সার্বিক পরিস্থিতিও নিঃসন্দেহে গত মৌসুমের চেয়ে ভালো। ডিজেল, বিদ্যুৎ ও সারের জন্য কৃষকের হাহাকার তুলনামূলকভাবে কম। তবে এই খাতে এতো বেশি উপেক্ষার অন্ধকার জমে আছে যে, তা সহজে দূর হবার নয়। কৃষিখাতের অমিত সম্ভাবনার বৃহদংশই যে এখনও অকর্ষিত পড়ে আছে তার প্রমাণের অভাব নেই। সেচ সংকটসহ নানা কারণে শুধু মৌলভীবাজার জেলায় দেড় লক্ষাধিক একর কৃষি জমি অনাবাদি থাকে শুষ্ক মৌসুমে। বৃহত্তর সিলেটেই শুধু নয়, দেশের সর্বত্রই দেখা যাবে এই চিত্র। এই ভাবে বছরের পর বছর ধরে লাখ লাখ একর কৃষি জমি অনাবাদি পড়ে আছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই।

অথচ প্রতিবছর আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে ২০ লাখ করে, অন্যদিকে বর্ধিত জনসংখ্যা, নগরায়ন ও শিল্পায়নের চাপে কৃষি জমির পরিমাণ দ্রুত কমছে। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দূষণ ও রাসায়নিক সারের অপব্যবহারের কারণে কমে যাচ্ছে জমির উর্বরতা শক্তিও। তাই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হলে এক ইঞ্চি কৃষি জমিও যাতে অনাবাদি পড়ে না থাকে তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। নজর দিতে হবে দেশের সর্বত্র সময়মতো মানসম্মত সার ও সেচসহ আনুষঙ্গিক কৃষি উপকরণ সরবরাহের দিকে। কমাতে হবে সার ও কীটনাশকের অপব্যবহার। সরকারের বাড়তি মনোযোগ সত্ত্বেও দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়া, রংপুরের তিস্তা সেচ প্রকল্প, রাজশাহীর বরেন্দ্র সেচ প্রকল্প, নারায়ণগঞ্জের ডিএনডি প্রকল্প এবং জিকে প্রকল্পসহ দেশের বহুস্থানে সেচ সংকটের খবর প্রকাশিত হয়েছে সংবাদপত্রে। ইত্তেফাক প্রতিনিধি জানিয়েছেন যে, শুধু চট্টগ্রামেই দুই লাখ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়নি সেচের অভাবে।

আছে ডিজেল এবং সারের সংকটও। সারের সংকটই বেশি ভোগাচ্ছে কৃষকদেরকে। সংবাদপত্রের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, এবার সার পাচারের মাত্রা কম হলেও ভেজাল ও নিম্নমানের সারে সয়লাব হয়ে গেছে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বহু এলাকা। ফলে কৃষকই শুধু প্রতারিত হচ্ছে না, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি উৎপাদনও। নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরা শক্তি। পাশাপাশি, কৃষির জন্য ভর্তুকিমূল্যে বরাদ্দকৃত ২৮ লাখ টন ইউরিয়ার মধ্যে ১২ লাখ টনই শিল্পসহ অকৃষি খাতে চলে যাওয়ার উদ্বেগজনক খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদপত্রে। সরকার এখন থেকে প্রস্তুতি নিলে আগামী মৌসুমে এই সমস্যাগুলোও অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব বলে আমি মনে করি। শুধু তাই নয়, সে-ক্ষেত্রে খাদ্য উৎপাদনে আমরা হয়তো স¡য়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যেতে পারি।

তবে এ-ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জটি হলো কৃষকের দিন বদল করা। কৃষকের দিন বদলানো না গেলে সবই বিফলে যেতে বাধ্য। যুগ যুগ ধরে দেশের খাদ্য চাহিদার বৃহদংশের জোগান দিয়ে যাচ্ছে তারা। মূলত তাদের শ্রম ও ঘামের উপর ভর করে ইতোমধ্যে আমাদের দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু কৃষকের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। পরিবর্তন যে হয়নি তা বোঝার জন্য কোন গবেষণার দরকার নেই। কৃষকের রোদে পোড়া বিবর্ণ মুখই তার অকাট্য প্রমাণ হিসাবে উত্থাপিত হতে পারে। কাঠফাটা রোদে কিংবা অঝোর বৃষ্টিতে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে এখনও তাকে বছরের অর্ধেকটা সময় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয়। সন্তানের শিক্ষা কিংবা চিকিৎসা এখনও তার নাগালের বাইরে। তার শরীরে এখনও শতচ্ছিন্ন জামা। দেশের মানুষকে পুষ্টি জোগাতে গিয়ে কৃষক নিজেই আজ ভয়াবহ অপুষ্টির শিকার। তার হাড়জিরজিরে দেহের দিকে তাকানো যায় না। কৃষকের চিরকালের এই দুঃখ ঘোচাতে হলে পাড়ি দিতে হবে আরও দীর্ঘ পথ।

কৃষকের সত্যিকারের দিনবদলের পথে বাধা অনেক। প্রধান বাধাটি হলো, জমির মালিকানা। যে-জমিতে কৃষক ফসল ফলায় সেটি তার নিজের নয়। আবার সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রবাসী মালিকদের এমন অনেক অনাবাদী জমি পড়ে আছে কেউ তার খোঁজও রাখেন না। আছে বেদখল হয়ে থাকা বিপুল পরিমাণ খাসজমিও। এখানে বড়ো ধরনের সংস্কার দরকার। এটাও ক্ষমতাসীন দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী অঙ্গীকার। এ প্রসঙ্গে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে, ‘ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বিতরণ এবং খাস জলাশয় ও জলমহাল প্রকৃত মৎস্যজীবীদের বন্দোবস্ত দেয়া হবে। সমুদয় জমির রেকর্ড কম্পিউটারায়ন করা হবে এবং জমি, জলাশয়ের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে ভূমি সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে’। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি রেকর্ডের বহুপ্রতীক্ষিত কাজটি ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ভূমি-বিরোধ, ভূমিহীনতা ও ভূমির জবর দখল রোধে এটি নিঃসন্দেহে খুবই দরকারি একটি পদক্ষেপ।

কৃষকের দিনবদলের জন্য দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো, তার আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে কৃষি উপকরণে ভর্তুকির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সেই ভর্তুকি তারা কতোটুকু পাচ্ছে বা আদৌ পাচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তাই এমন একটি ‘মেকানিজম’ উদ্ভাবন করা দরকার যাতে ভর্তুকিটা সরাসরি কৃষক পায়। এ-ক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তামূলক বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি কৃষক পরিবারগুলোকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভর্তুকি দেয়ার বিষয়ও ভাবা যেতে পারে। দশ লাখ মানুষকে রেশনিং ব্যবস্থার আওতায় আনা এবং পোশাক ও চা শ্রমিকদের মধ্যে ভর্তুকি দিয়ে ১৮ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির সিদ্ধান্তটি নিঃসন্দেহে খুবই ভালো উদ্যোগ। পাশাপাশি, কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও টেস্ট রিলিফ (টিআর)সহ অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির আওতাও অবশ্যই বাড়ানো দরকার। সর্বোপরি, কৃষিতে বিনিয়োগের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক কর্মসংস্থানই পারে কৃষকের জীবন অনেকটাই বদলে দিতে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশের বেশি মানুষ গ্রামীণ এলাকায় বাস করে। তাদের একটি বড়ো অংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার। তাদের এ নিরাপত্তাহীনতা মৌসুমি এবং স্থায়ী। আবার খাদ্য উৎপাদন বাড়লেই যে তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে কিংবা খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষের সংখ্যা কমে যাবে তাও নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন। বাম্পার ফলন হলেও আরেকটি ফসল আসার আগেই বর্গা চাষী, প্রান্তিক কৃষক এবং গ্রামীণ কৃষি-শ্রমিকের ঘরে ঠিকই খাবার ফুরিয়ে যায়। তখন খাবার কিনে খাওয়া ছাড়া তাদের উপায় থাকে না। এ সময়ে খাদ্যপণ্যের দামও থাকে চড়া। আর দাম কম থাকলেই বা কী? কিনে খেতে হলে যে টাকা দরকার সেটাই বা তারা পাবে কোথায়? তাই বাজারে খাদ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও প্রতিবছর মঙ্গার শিকারে পরিণত হতে হয় উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে। কৃষির পাশাপাশি গ্রামে বছরব্যাপী বিকল্প কাজের বা উপার্জনের সুযোগ থাকলে এটা হতো না বা হতে পারতো না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়লেও গ্রামাঞ্চলে গরিব মানুষের স্থায়ী উপার্জনের বর্ধিত সুযোগ সৃষ্টি করা না গেলে মানুষের খাদ্য কিনে খাবার সাধ্য থাকবে না। নীরব দুর্ভিক্ষ হানা দিতে থাকবে লাখ লাখ মানুষের দরোজায়। তাই জনগণের পূর্ণ খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন যেমন জরুরি, তেমনি জরুরি হলো কৃষকের সত্যিকারের দিনবদল। কৃষকের দিনবদল ছাড়া বাংলাদেশের দিনবদল সুদূরপরাহতই বলা যায়। প্রশ্ন হলো, কৃষকের দিন কি সত্যিই বদলাবে?

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।