যায়যায়দিন ।। ফখরে আলম যশোর

ধানের গন্ধে যেন গ্রামগুলো জেগে উঠেছে। তাই ব্যস্ত কৃষাণ-কৃষাণী। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গ্রামগঞ্জ জুড়ে ধান নিয়ে শুরু হয়েছে মহাকর্মযজ্ঞ। প্রতিটি বাড়িতেই এখন নবান্ন উৎসব। একদিকে ধান কাটা, ধান ঝাড়াই আর অন্যদিকে চলছে ঢেঁকিতে ‘গুঁড়ো কোটা’ চালের গুঁড়া তৈরি। শিশুদের আনন্দ উৎসবে মুখর এখন গৃহস্থের উঠান। যেন ধানের গন্ধে কারো চোখে ঘুম আসে না। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বোরো ধানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ জমিতে এবার আমন ধানের চাষ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, খুলনা বিভাগে ৭ লাখ ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। উৎপাদন হবে প্রায় ১৯ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল। এখন সামনে চলছে ধান কাটা আর মাড়াইয়ের কাজ। তবে হঠাৎ করে ধানের দাম প্রতি মণ ৫৮০ থেকে ৫০০ টাকায় নেমে আসায় কৃষকের মন খারাপ। বিভিন্ন স্থানে ধান কেটে গরুর গাড়ি, ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কৃষকের উঠানে। মাঠে কথা হয় কৃষক শাহজাহান, সেলিম, শাহিদুর রহমান, আবদুস সামাদের সঙ্গে। তারা বললেন, সারের দাম বেশি এজন্য খরচ বেড়ে গেছে। আবার ধানের দাম কমে গেছে। তাই মন খারাপ। জানা যায়, ভুতুড়িয়া গ্রামে ঢেঁকি আছে মাত্র চারটি। মোসলেম সরদার, সাফায়াত হোসেন ও আলেক গাজির ঢেঁকি সেই ভোর রাতেই জেগে ওঠে। ঢেঁকির যেন বিরাম নেই।
No comments:
Post a Comment