১৯.১১.০৮
ডেসটিনি ।। কৃষিবিদ মো. কামরুল আহসান ভূঁইয়া
আন্তর্জাতিক বাজারে রাসায়নিক সারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশীয় প্রাকৃতিক উৎস ব্যবহার করে কীভাবে ফসল চাষ করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। আমাদের হাতের কাছেই অযতেœ পড়ে আছে কচুরিপানা, ফসলের অবশিষ্টাংশ, খড়কুটা, আগাছা, গৃহস্থালীর আবর্জনা, ঝরাপাতা ইত্যাদি। অথচ এগুলো সঠিক নিয়মে পচিয়ে তৈরি করা যায় কম্পোস্ট সার। কম্পোস্ট ব্যবহারে একদিকে যেমন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় অন্যদিকে মাটি গঠন-প্রকৃতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কম্পোস্ট তৈরির কাজে কচুরিপানা একটি উৎকৃষ্ট উপাদান, যা বর্ষাকালে আমাদের দেশের অধিকাংশ এলাকার আনাচে-কানাচে, খাল-বিল, ডোবা-নালায় পাওয়া যায়। এর সঙ্গে আগাছা ও শস্যের পরিত্যক্ত অংশ, লতাপাতা ইত্যাদি একত্রে মিশিয়ে তা পচিয়ে সহজেই কম্পোস্ট তৈরি করা যায়। উপকরণের অভাবে একটি মাত্র জিনিস দিয়েও কম্পোস্ট তৈরি সম্ভব।
কীভাবে তৈরি করবেন : আমাদের দেশে সাধারণত দুভাবে কম্পোস্ট তৈরি করা হয়। স্তূপ বা গাদা পদ্ধতি এবং গর্ত পদ্ধতি। সাধারণত বর্ষকালে স্তূপ পদ্ধতিতে এবং কম বৃষ্টি হয় এমন এলাকায় ও শুকনো মৌসুমে গর্ত পদ্ধতিতে কম্পোস্ট তৈরির সুপারিশ করা হয়। তুলনামূলকভাবে স্তূপ পদ্ধতিতে কম্পোস্ট সার তৈরি করা সহজ ও সুবিধাজনক। এ পদ্ধতিতে আবার দুইভাবে কম্পোস্ট সার তৈরি করা যায়। এক. দ্রুত স্তূপ পদ্ধতি এবং দুই. ধীর স্তূপ পদ্ধতি।
দ্রুত স্তূপ পদ্ধতি : খড়কুটো, লতাপাতা, বাড়ি ও বাগানের আবর্জনা, কচুরিপানা ইত্যাদি টুকরো করে কেটে গোবরের সঙ্গে ভালো করে মেশাতে হবে। গোবর ও জৈব পদার্থের অনুপাত হবে ১ঃ২-১ঃ৩। এ মিশ্রণ স্তূপাকারে সাজাতে হবে। স্তূপের আকার হবে ১০ ফুট দৈর্ঘ্য, ৪ ফুট প্রস্থ ও ৪ ফুট উঁচু, তবে উপকরণ প্রাপ্তি ও অন্যান্য সুবিধা অনুযায়ী দৈর্ঘ্য কমবেশি করা যেতে পারে। স্তূপ তৈরি করে উপরে কলাপাতা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে, যাতে বাষ্পীভবন হতে না পারে। ৪-৫ দিন পর স্তূপের ভেতরের অংশ খুব গরম হয়ে যেতে পারে। তখন প্রতি ২ দিন পরপর স্তূপ নাড়াচাড়া করে দিতে হবে। কম্পোস্ট স্তূপকে স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় রাখতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে মাঝে মাঝে হালকাভাবে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে। এভাবে কম্পোস্ট স্তূপ করলে ২-৩ সপ্তাহ পর জৈবসার হিসেবে ব্যবহার করার উপযোগী হবে।
ধীর স্তূপ পদ্ধতি : এ পদ্ধতিতে কম্পোস্ট সার তৈরি করার জন্য মূল উপাদান হিসেবে কচুরিপানা ব্যবহার করা হয়। স্তূপের আকার হবে দ্রুত স্তূপ পদ্ধতির অনুরূপ। প্রথমে কচুরিপানা ও অন্যান্য আবর্জনা যেমনÑ গাছের পাতা, ধানের খড় ইত্যাদি ১৫ সেমি টুকরো করে কেটে নিয়ে ১৫-১৮ সেমি পর স্তর সাজাতে হবে। ওই স্তরের ওপরে ২০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ২০০ গ্রাম টিএসপি ছিটিয়ে দেয়ার পর স্তূপের উপরভাগে ২.৫০-৫ সেমি. পুরু করে গোবরের আস্তর দিতে হবে। পরের স্তরে থাকবে উর্বর মাটি। এই স্তরটি হবে ১ ইঞ্চি পুরু। এভাবে ৪-৫টি স্তর তৈরি করে কাক্সিক্ষত উচ্চতার কম্পোস্ট স্তূপ করতে হবে, যার প্রতি স্তরে কচুরিপানা, খড়কুটা এসব এবং উপরোক্ত হারে রাসায়নিক সার, গোবর এবং উর্বর মাটির স্তর থাকবে। তবে উচ্চতা ৪ ফুটের অধিক করা উচিত নয়। স্তূপের ওপরে চালার ব্যবস্থা করতে হবে। সম্ভব হলে গাছের নিচে স্তূপ তৈরি করতে হবে। গাছের ছায়ায় যে তাপমাত্রা পাওয়া যায়, তা জৈব পদার্থের পচন ক্রিয়ার সহায়ক, রোদ বৃষ্টি থেকেও অনেকটা রক্ষা করে। এছাড়াও চালার ব্যবস্থা না করতে পারলে স্তূপের উপরিভাবে এঁটেল মাটির প্রলেপ দিতে হবে, যাতে ভেতরে বৃষ্টির পানি প্রবেশ না করতে পারে এবং অতি রোদে না শুকিয়ে যায়। স্তূপ তৈরি শেষ হলে গাছের বড় পাতা যেমনÑ কলাপাতা দিয়ে স্তূপের উপরিভাগে ঢেকে দিতে হবে যাতে বাষ্পীভবন হতে না পারে। কম্পোস্টের স্তূপ তৈরির কাজ শেষ করার প্রায় সপ্তাহ খানেক পর একটি শক্ত কাঠি স্তূপের মাঝখানে ঢুকিয়ে দেখতে হবে যে, গাদাটি অতিরিক্ত ভিজা কিনা। অতিরিক্ত ভেজা হলে ভেতরে বাতাস চলাচলের জন্য শক্ত কাঠি দিয়ে গাদার ওপরে মাঝে মাঝে ছিদ্র করে দিতে হবে। ২-৩ দিন পর গর্তগুলো মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। আবার গাদা অতিরিক্ত শুকিয়ে গেলে ওপরে ছিদ্র করে পানি অথবা গো-চনা ঢেলে দেয়া যেতে পারে। তাড়াতাড়ি পচনের জন্য ১ মাস পর পর ২ বার গাদার স্তরগুলো উল্টিয়ে দিতে হবে। এ সময় কম পচা আবর্জনাগুলো গাদার মাঝখানে রাখতে হবে। সম্ভব হলে চৌকোনা বেড়া নির্মাণ করে তার ভেতর কম্পোস্ট তৈরি করতে হবে। এতে কম্পোস্ট স্তরগুলো ঠিক থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণ গো-চনা, গোবর, ইউরিয়া ইত্যাদি ব্যবহার করলে দেড় থেকে তিন মাসের মধ্যেই কম্পোস্ট পচে জমিতে ব্যবহার উপোযোগী সার প্রস্তুত হয়।
Friday, November 21, 2008
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
About Me
- Participatory Research & Action Network- PRAN
- প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।
Krishi Khobor
-
▼
2008
(356)
-
▼
November
(99)
- জাতীয় কৃষি দিবস দিবস পালনেই যেন সীমাবদ্ধ না থাকে
- চলনবিলে পোকার আত্রক্রমণে সরিষা চাষীরা দিশেহারা
- চাটখিলে বীজ ধান কিনে প্রতারিত হচ্ছেন
- কৃষি এবং কৃষকের ভাবনা
- খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির প্রশ্নে অগ্রাধিকার দিতে হইবে
- মতলবে অজানা রোগে আমন উৎপাদনে শঙ্কা
- ‘কমন কার্ট ওয়াম’ পোকার আক্রমণে সরিষা চাষিরা দিশেহারা
- উত্তরাঞ্চলে আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু
- কালীগঞ্জে ১৪০ বস্তা ভেজাল সার আটক
- সাতক্ষীরায় ১৭০ বস্তা সার উদ্ধার, মামলা
- মিঠাপুকুরে আলুচাষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা
- সিএসআরএলের উদ্যোগে খুলনায় কৃষক-কৃষাণী সমাবেশ শোভায...
- প্রতি মণের উৎপাদন খরচ ৭৭৬ টাকা বাজারে বিত্রিক্র হচ...
- সার, তেল, ওষুধে আরও বেশি ভর্তুকি দিতে হবে
- মশলা ফসল চুই চাষের কথা
- মঙ্গার অভিশাপ মুক্তিতে ব্রি ধান-৩৩
- বিনা চাষে আলু আবাদ
- নোয়াখালীতে ৫ সার ব্যবসায়ীর ডিলারশিপ বাতিলের সিদ্ধান্ত
- খুলনায় কৃষক-কৃষাণি র্যালি ও সমাবেশে বক্তারা ।। জল...
- কৃষিঋণ ও পুনঃঅর্থায়ন নীতিমালা প্রসঙ্গ
- আলুর জমিতে তামাক বিকল্কপ্প পণ্যের উদ্যোগ জরুরি
- সেচ মৌসুমে চাষাবাদ ব্যাহত ও শহরে লোডশেডিং বৃদ্ধির ...
- পাচারকালে কেশবপুরে বিএডিসির ৪০ বস্তা বীজ ধান আটক
- সারের মূল্য বস্তাপ্রতি ৭০০ টাকা বৃদ্ধি টঙ্গীবাড়ীর ...
- রাজবাড়ীর বিলপাকুরিয়ার ভূমিহীন পল্লীতে শোকের ছায়া, ...
- পাটগ্রামে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল সার দোকানিকে ১০ হাজার...
- পাটগ্রামে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল সার দোকানিকে ১০ হাজার...
- বিএডিসির গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য দেশে বোরো চাষ বেড়...
- পাটকেলঘাটায় ২০০ বস্তা টিএসপি আটক, থানার ভূমিকায় প্...
- জাতীয় কৃষক দিবস এনেছে নতুন মাত্রা ।। রাউজান, নন্দী...
- দেশেই উৎপন্ন হচ্ছে ফুলকপি বীজ
- কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ভর্তুকি বাড়ানোর বিকল্প নেই
- কৃষিতে বিনিয়োগ-ভর্তুকি প্রত্যাহার না করায় নাখোশ ওয়...
- কপি চাষে বিপ্লব
- হাইব্রিড ধানের জাত আলোড়ন
- কম্পোস্ট তৈরির নানা কৌশল
- আলু মৌসুমের শুরুতেই মুন্সীগঞ্জে সারের মহৃল্য বস্তা...
- মানসম্পন্ন বীজ
- আতর ধানের গল্প
- ধানের গন্ধে ঘুম আসে না...
- উদ্যম
- কালাইয়ে চাষিবাজারে চাষী নেই
- পল্লী বিদ্যুৎ ও বিএডিসির নীতিমালায় পরিবর্তন
- চলনবিল অঞ্চলে নবান্ন উৎসবে প্রাণের মেলা
- আসন্ন বোরো মৌসুমে পর্যাপ্ত সেচ-বীজের ব্যবস্থা করুন
- নবান্নে নতুন মাত্রা ।। দিনাজপুরের গ্রামে গ্রামে উৎসব
- সুন্দরগঞ্জের চরাঞ্চলে রবি ফসল চাষাবাদের ধুম
- দৌলতপুরে ৩০ বস্তা সারসহ গ্রেফতার ১
- ফটে ফিচার ।। সংগ্রাম
- ফুল চাষ: লাভজনক কৃষিপণ্য
- গ্রামের মানুষ গ্রামীণ অর্থনীতি ।। জীবন জীবিকার পরি...
- স্ট্রবেরী চাষে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
- কৃষি উপকরণের দাম বাড়লেও আখের দাম বাড়েনি
- খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমল্পি^ত প্রয়াসে কৃষি...
- জমি অধিগ্রহণ : না’গঞ্জের গ্রামে হাজারো মানুষের সমাবেশ
- উত্তরাঞ্চলে প্রতি বছর এক ভাগ আবাদি জমি কমে যাচ্ছে
- কৃষিতে ভর্তুকি প্রত্যাহারের পরামর্শ বিশ^ব্যাংকের
- নারায়ণগঞ্জে ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে কৃষক বিক...
- ঝিনাইদহে সার ডিলার নিয়োগ নাটকের অবসান
- নাগেশ্বরীতে কৃষক পুনর্বাসনের টাকা পাচ্ছে না
- ফেনীতে রোপাআমনে খোলপোড়া রোগ, ফলন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা
- মির্জাপুরে সরিষার ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা
- খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষকদের নিরাপত্তা জরুরি
- বগুড়ায় কৃষি জমিতে বালির স্তর আবাদ করতে পারছে না কৃষক
- বেলাবতে ব্রি-২৮ ধানের বীজ সংকট
- কৃষকের স্বার্থে কৃষিপণ্যের আমদানি কমাইতে হইবে
- সার কৃষকের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে থাকায় আমনের উৎপাদন হ...
- ঈশ্বরদীতে গাজর চাষ
- খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে সিদ্ধান্ত
- শেরপুরে কৃষি পুনর্বাসনে অনিয়মের অভিযোগে
- ভেজাল সারসহ আটক ২
- চাল উৎপাদন খরচ কেজি প্রতি পাঁচ টাকা বেড়েছে
- ভান্ডারিয়ায় আমন ক্ষেতে পাতা মোড়া রোগ দিশেহারা কৃষক
- কৃষি-শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি আইন ও কিছু সুপারিশ
- কৃষকের মাথায় হাত
- রাজশাহীতে ধান কাটা শুরু ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা
- লোহাগাড়ার কৃষি উন্নয়নে টংকাবতী রাবারড্যাম প্রকল্প
- আসুন মুন্সীগঞ্জের আলু চাষিদের কথা ভাবি
- কৃষিঋণ বিতরণ বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এগিয়ে আসা প্রয়োজন
- রাজবাড়ীতে ব্যাপক সবজি চাষ
- সিংগাইরে আবাদি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে
- ডিজেলের জন্য ভর্তুকির টাকা
- কৃষির আধুনিকীকরণ জরুরি
- রাসায়নিক সারের সংকট মুহূর্তে ...
- রাউজানে ডিলারদের গুদামে ইউরিয়া গলে পানি হচ্ছে
- বোরো চাষে ডিজেল-ভর্তুকি দ্বিগুণ হচ্ছে সঠিক সময়ে অর...
- কৃষকের উন্নয়নে রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের দাবি ...
- বিদ্যুতের অভাবে আসন্ন সেচ মৌসুমে চাষাবাদ ব্যাহত হও...
- মঠবাড়িয়ায় মৎস্য চাষিদের মাঝে অর্থ বিতরণ
- লিবরেল জিংক ব্যবহারে সফল মাছ চাষিরা
- ধনে উৎপাদন প্রযুক্তি
- টমেটো চাষ ও পরিচর্যা
- হাজারো সমস্যায় জর্জরিত দেশের প্রাšিøক কৃষক
- রৌমারীতে কৃষি পুনর্বাসনের
- টিএসপি এসএসপি ও পটাশ সারের অগ্নিমূল্য
- আলফাডাঙ্গায় উঠতি আমন ধানে লেদা পোকার আক্রমণ উৎপাদন...
- চলন বিলের ৯ উপজেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমির সরিষা বিনষ্ট
- জলাবদ্বতা : গোয়ালন্দে আমন ও মাছ চাষ ব্যাহত
- মৌলভীবাজারের আমনক্ষেতে অজ্ঞাত রোগ এবারো আমনের মাঠ ...
-
▼
November
(99)
No comments:
Post a Comment