Thursday, January 29, 2009

শেরপুরে ভেজাল সারে বাজার সয়লাব

ডেসটিনি ।। শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতেই বগুড়ার শেরপুরে নিম্নমানের ভেজাল সারে বাজার সয়লাব হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন বানের পানির মতো ঢুকছে নিম্নমানের রকমারি ভেজাল সার। কতিপয় সার ব্যবসায়ী এসব ভেজাল সার উপজেলার গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে দিচ্ছে আর দেদারছে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এসব সারের কম দাম হওয়ায় অনেক কৃষকও তা মানসম্পন্ন সার মনে করেই হুমড়ি খেয়ে কিনতে দেখা গেছে। এমনকি না জেনে এসব ভেজাল সার দিয়েই তারা জমি প্রস্তুত ও বোরো লাগাচ্ছেন। ফলে ভেজাল সার ব্যবহার করায় এ বছর বোরো ফলনে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটতে পারেÑ এমনই আশঙ্কা করছে স্বয়ং খোদ কৃষি বিভাগ, স্থানীয় একাধিক সার ব্যবসায়ী ও অভিজ্ঞ চাষীরা। তবে ভেজাল ও নিম্নমানের সার প্রতিরোধে প্রশাসন এখনো কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত মঙ্গলবার শেরপুর শহর ও আশপাশের কয়েকটি এলাকায় সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, এ উপজেলায় বিসিআইসির অনুমোদনপ্রাপ্ত ১০ জন ডিলার ছাড়াও অন্তত ছোট-বড় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন সার ব্যবসায়ী রয়েছেন। সার ব্যবসায়ীদের মধ্যে হাতে গোনা দুই-একজন বাদে প্রায় প্রত্যেকের কাছেই কম-বেশি নিম্নমানের ভেজাল সার রয়েছে বলে কৃষকরা জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বারোদুয়ারি হাটের একজন ডিলার জানান, প্রতিদিন চারদিকে থেকে মিনি ট্রাক, ভটভটিসহ একাধিক যানবাহনযোগে রাত-দিন বস্তায় বস্তায় ভারতীয় নানারকম ভেজাল সার শেরপুর শহরে প্রবেশ করছে। পরে সেসব সার গুদামজাত করে সুযোগ বুঝে শেরপুরসহ পার্শ্ববর্তী ধুনট, কাজীপুর, নন্দীগ্রাম, রায়গঞ্জ, তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ছোট-বড় ও খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে পাঠানো হচ্ছে। তিনি আরো জানান, বর্তমান বাজারে প্রতি বস্তা ইউরিয়া ৫৮৫ টাকা, টিএসপি ২ হাজার টাকা, এমওপি ১ হাজার ৭৫০ টাকা, ড্যাপ ২ হাজার ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ভারতীয় ভেজাল টিএসপি ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮২০ টাকা, পটাশ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার তালতা গ্রামের কৃষক আবু সাঈদ, সাধুবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলাম, ভাদরার ইছানুর রহমানসহ একাধিক কৃষক জানান, এসব ভেজাল সারের কম দাম হওয়ায় কৃষকরা এসব ভেজাল সারই বেশি কিনছেন। আর সার ব্যবসায়ীরাও ভেজাল সারকে ভালো সার বলেই বিক্রি করছে বলে তারা জানান।
উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানিয়েছেন, এ উপজেলায় ভেজাল সার বিক্রির কোনো তথ্য তাদের জানা নেই। কোনো ব্যবসায়ী ভেজাল সার বিক্রি করছেÑ এমন তথ্য পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ভেজাল সার জমিতে ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদন কমে যাবে বলে তিনি স্বীকার করেন।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor