Monday, January 26, 2009

বৈরী আবহাওয়া ও ঘন কুয়াশায় বাঘায় রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

ডেসটিনি ।। নুরুজ্জামান, বাঘা (রাজশাহী)
বৈরী আবহাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে এ বছর রাজশাহীর বাঘা উপজেলার প্রধান অর্থকরী ফসল আম, গম, মসুর ও শিমের ফুল পচন ধরেছে। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার ফসল উৎপাদন হ্রাস পাবে এবং উৎপাদন অর্ধেকেরও কম হবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে যে রবি ফসল উৎপাদিত হচ্ছে তা পরিদর্শন করে ও কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এ বছর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে কৃষি উপকরণের মূল্য আগের চেয়ে এমনিতেই বেশি, তার ওপর কৃষকরা সময়মতো সার পাননি। ফলে তারা অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর কম ফসল উৎপাদন করেছেন। তারা জানান, ২০-২৫ দিন আগে এ অঞ্চলের প্রধান অর্থকরী ফসল আমসহ মসুর, গম এবং শিমে মুকুল ও ফুল আসতে শুরু করেছে। ফুল ফোটার সময় হঠাৎ টানা ১০-১২ দিন ঘন কুয়াশা হয়। এতে সদ্য ফোটা ফুলে পচন ধরে। এ ছাড়া কুয়াশা ছেড়ে যাওয়ার পর কুয়াশাযুক্ত ফুলগুলোতে রোদ পড়ে তা পুড়ে যায়। উপজেলার আমোদপুর গ্রামের কৃষক আকবর আলী, আজাহার, নাসির ও আশরাফপুর গ্রামের মহাসিন জানান, গত কয়েক দিন থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাদের জমির মসুর ও গমের ফুলে পচন দেখা দেয়। তারা ফসলে নানা ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করেছেন। এর পরও বিশেষ কোনো ফল পাননি। এ প্রসঙ্গে উপজেলার সবচেয়ে বেশি উৎপাদনকারী এলাকা পলাশী ফতেপুর চরের কৃষক ধলু মিয়া জানান, গত বছর তার ১৫ বিঘা জমি থেকে ৯০ মণ মসুর উৎপাদন হয়েছিল। এ বছর সার সংকট ও কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি ১২ বিঘা জমিতে মসুর চাষ করেছেন। তার পরও প্রথম অবস্থায় যে হারে ফুল দেখা দিয়েছিল আবহাওয়া অনুকূল থাকলে হয়তো এ স্বল্প জমি থেকে তিনি গতবারের সমান ফলন পেতেন।
এ ব্যাপারে বাঘা কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, গত বছর এখানে ৪১ হেক্টর জমিতে মসুর ও গম উৎপাদিত হয়েছিল। এ উপজেলাটি কৃষিপ্রধান এলাকা। এখানে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়। এ ছাড়া অন্যান্য রবি ফসল ও সবজির জন্যও এলাকাটি সমৃদ্ধ। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা আশা করে ছিলাম গতবারের চেয়ে এ বছর প্রতিটি ফসলেই উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা হবে না।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor