Monday, January 26, 2009

কৃষিপণ্য উৎপাদন, বাজারজাত, রফতানী ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং হর্টেক্স ফাউন্ডেশন

২৭.০১.০৯
ইত্তেফাক ।। কারার মাহমুদুল হাসান

বিশ্বব্যাংক-এর সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট ম্যাকনামারা ১৯৯২ সালে এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ঘনবসতিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশের জন্য কৃষিখাতের উপর বেশী জোর দেয়া প্রয়োজন। তার বক্তব্য: সার, জলসেচ, উচ্চফলনশীল বীজ ব্যবহার, কীটনাশক এবং অধিকজমি যান্ত্রিক চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হলে এদেশগুলোর খাদ্য ঘাটতি পূরণ খুব তাড়াতাড়ি সম্ভব। উপরোক্ত কথাগুলো বাংলাদেশের জন্য খুব বেশী করে প্রযোজ্য।

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের মানুষের আশা-আকাঙক্ষা, জীবন জিন্দেগী, আয়-রোজগার, আমোদ-উল্লাস- তথা জীবনধারণের পরতে পরতে কৃষি তথা কৃষি সংশ্লিষ্ট সার্বিক কর্মকাণ্ড অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মতো এতো সহজে এবং কমখরচে কৃষিপণ্য এবং বৃহত্তর আংগিকে কৃষি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পণ্য যথা মাছ, মুরগী, গবাদী পশু, ফলমুল, সাক-সবজী ইত্যাদি উৎপাদন করার সুযোগ-সুবিধাদি অন্য কোথাও আছে বলে আমাদের জানা নেই। ১৯৪৭ সালের প্রথম দেশভাগ এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার পর কৃষি সেক্টরে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তাকে খাটো করে দেখা যাবে না। তবে এটাও অস্বীকার করা যাবে না যে সামগ্রীক কৃষি সেক্টরে নিরন্তর যোগপোযোগী গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণের প্রক্রিয়ায় আরও পরিকল্পিত, কার্যকরী এবং নিয়মিত ফলোআপ এ্যাকশন গ্রহণের মাধ্যমে অন্তত: ৩০ থেকে ৫০ ভাগ উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করার সব রকম আলামত মজুদ ছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা, অবহেলা, অনভিজ্ঞতা এবং ক্ষেত্র বিশেষে কথিত চুরি-চামারীর কারণে কাংখিত গন্তব্যে পৌঁছার উদ্যোগ আয়োজনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। সে কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থা থেকে জাতি এখনও বেড়িয়ে আসতে পারেনি। এর মধ্যে আমরা অর্থাৎ অধিক ক্ষমতাধর সুবিধাভোগীরা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)কে নিজ হাতে বেয়াকুফের মতো প্রায় “ফোক্লা” করে তছনছ করে দিয়েছি, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহে সময়ে সময়ে বক্তৃতাবাজীতে পারঙ্গম, কথিত আর্থিক অনিয়ম ইত্যাদিতে সিদ্ধহস্ত লোকদেরকে অনেক সময় উদ্দেশ্যমূলকভাবে বড় বড় পদে বসিয়ে দিয়ে এসব কাজকর্মকে প্রায় স্থবির করে গবেষণা কাজে বছরের পর বছর জটিল অবস্থা সৃষ্টির কারণ ঘটিয়েছি। সে সঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডকে (কিছু কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া) গত কয়েক বছর যাবত যথাযথ দায়দায়িত্বের বাইরে সেচ-সার এ ভর্তুকি প্রদান কাজে এবং গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কৃষি উপদেষ্টার নেতৃত্বে গুটি ইউরিয়ার প্রশ্নসাপেক্ষ মাহাত্ব প্রচার ও প্রসারে এক ধরনের হুলস্থূল কাণ্ড ঘটিয়ে বছরের প্রায় অর্ধেককালই কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে ব্যাপিত রাখার সবরকম “আন্জাম” প্রদান করে বক্তৃতা-বিবৃতি, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, মিটিং-মিছিল ইত্যাদি সহজে ও নির্বিবাদে (সেসব কাজে সরকারী কোষাগার থেকে নির্বিবাদে টাকাকড়ি খরচ করা যায়) সম্পাদন করার কাজগুলোতে বেশী মনোযোগ প্রদান করা হয়েছে। আর আচানক বিষয় হলো, গত ১৫ই জানুয়ারী ২০০৯ তারিখে এক সেমিনারে বিআইডিএ-এর সর্বোচ্চ গবেষণা কর্মকর্তার বয়ানে উল্লেখ করা হয়েছে যে গত বোরো মৌসুমে কৃষকদের প্রাপ্য ডিজেলে ভর্তুকির প্রায় ৫০ কোটি টাকা মূলত: ডিএইসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারিগণ অবলীলাক্রমে এবং বেপরোয়াভাবে আত্মসাৎ করে বসে আছে। এতবড় আত্মসাতের দায়-দায়িত্ব ৫ই জানুয়ারী ২০০৯ পর্যন্ত কর্মরত কৃষিউপদেষ্টা ও সচিব সাহেব এড়াবেন কিভাবে? নতুন সরকার চলতি বোরো মৌসুমে এবং চলতি ক্যালেন্ডার বছরের অন্যান্য মৌসুমে সার ও ডিজেলের মতো কৃষি উপকরণে বেশ কয়েক হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদানের ঘোষণা প্রদান করেছেন।

কৃষিমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী এবং সরকারের অন্যান্য মন্ত্রিগণ দেশের কৃষি উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ব্যাপকভিত্তিক বেকার সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কার্যকরীভাবে সারাদেশে ’এগ্রোবেজড্ ইন্ডাষ্ট্রী ’ স্থাপনে সর্বাত্বক সহযোগিতা প্রদানের ঘোষণা দিয়ে চলেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও তার নির্বাচনপূর্ব এবং নির্বাচনপরবর্তী বিভিন্ন বক্তৃতায় সামগ্রিক কৃষি উন্নয়ন এবং পাশাপাশি ব্যাপকভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে অমৎড়নধংবফ শিল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ড পরিকল্পিতভাবে সম্প্রসারণের তাগিদ প্রদান করছেন।

সরকারের এতদসংক্রান্ত উদ্যোগে অত্যন্ত ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত হর্টিকালচার এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ঐড়ৎঃরপঁষঃঁৎব ঊীঢ়ড়ৎঃ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ঋড়ঁহফধঃরড়হ) সংক্ষেপে “হর্টেক্স ফাউন্ডেশন” মূলত: বিশ্বব্যাংক, আইডিএ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আর্থিক অনুদানে এবং বাংলাদেশ সরকারের তথা কৃষিমন্ত্রণালয়ের পরোক্ষ সহযোগিতায় ১৯৯৩ সনের ১৮ই ডিসেম্বর তারিখে স্থাপন করা হয় এবং বাস্তব কার্যক্রম শুরু করা হয় জুন ১৯৯৬-এর শেষ ক’ সপ্তাহে। এর অফিস ঢাকাস্থ ২২নং মানিক মিয়া এভিনিউতে অবস্থিত। সংস্থাটি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯১৩ সালের কোম্পানীজ এক্ট এ নিবন্ধনকৃত। এটা একটি ”নন-প্রফিট” সংস্থা যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে "ফবাবষড়ঢ়সবহঃ, ঢ়ৎড়সড়ঃরড়হ ধহফ সধৎশবঃরহম ড়ভ বীঢ়ড়ৎঃধনষব যড়ৎঃরপঁষঃঁৎধষ ঢ়ৎড়ফঁপবং, ঢ়ধৎঃরপঁষধৎষু যরময াধষঁব, হড়হ ঃৎধফরঃরড়হধষ পৎড়ঢ়ং ঃড় যরময ঢ়ৎরপব হড়হ-পড়হাবহঃরড়হধষ ভড়ৎবরমহ সধৎশবঃং" ২০০৩ সনে ঐড়ৎঃবী ঋড়ঁহফধঃরড়হ -এর মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেলস্ অব এসোশিয়েশন পরিমার্জন/পরিবর্ধন করে এর কার্যক্রম এগ্রোবিজনেস-এর আরও বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় বিস্তৃত ও বর্ধিত করা হয়। এর গভর্নিং বডি সাত সদস্য বিশিষ্ট বিভিন্ন কৃষিসংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত বেসরকারী সেক্টরের উদ্যোক্তাগণ (একটি এনজিওসহ) যারা বিধিবদ্ধ নিয়ম নীতির আওতায় ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি জেনারেল বডি কর্তৃক নির্বাচিত। কৃষিপণ্য রফতানী কার্যক্রমে সহযোগিতার লক্ষ্যে রফতানী উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যানকে গভর্নিং বডির একমাত্র সরকারী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি মূলত: কৃষি সংশ্লিষ্ট- সেহেতু এর সৃষ্টির প্রথম থেকেই কৃষিসচিব তাঁর পদবীর সুবাদে ঐড়ৎঃবী ঋড়ঁহফধঃরড়হ এর ঊী-ড়ভভরপড় -এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন, যাকে গভনিং বডির সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হতে হয়।

হর্টেক্স ফাউন্ডেশন স্থাপনের পর থেকে এগ্রোবিজনেস বিশেষত: হর্টিকালচারেল প্রডাক্টস্ উৎপাদন, উন্নয়ন ও বিদেশে রফতানীর সুযোগ সৃষ্টিতে এটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়। বিভিন্ন কৃষিসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী কৃষক গ্রুপ, বেসরকারীখাতে কৃষিপণ্য উৎপাদন ও কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছোটবড় ব্যক্তিবর্গ এমনকি মার্জিনেল ফার্মারস ও অন্যদেরকে ংঢ়ড়হংড়ৎ, ঢ়ৎড়সড়ঃব, ধংংরংঃ (আর্থিকভাবে) ইত্যাদি সহ দেশে বিদেশে ট্রেনিং, স্কীম তৈরীতে ও বিদেশে কৃষি পণ্যের রফতানী বাজার খোঁজে দেয়ার কাজে সহায়তা প্রদানসহ দেশের এক উল্লেখযোগ্য জনগোষ্ঠীর আয় রোজগার বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচন ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে এ ফাউন্ডেশন প্রভূত সহযোগিতা প্রদান করে আসছিল।

ইতিপূর্বে হর্টেক্স ফাউন্ডেশন আইডিএ ক্রেডিট নং - ২৩৯৩ বিডি’র "ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ ভড়ৎ ঐড়ৎঃরপঁষঃঁৎধষ ঊীঢ়ড়ৎঃ উবাবষড়ঢ়সবহঃ চৎড়লবপঃ" এবং সে-সংগে অমৎর-ইঁংরহবংং ঈড়সঢ়ড়হবহঃ ড়ভ অমৎরপঁষঃঁৎধষ ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃ ঝবৎারপবং (অঝঝচ - ওউঅ ঈৎবফরঃ ঘঙ ২২৩৩- ইউ)--এর আওতায় জুন ১৯৯৯ পর্যন্ত প্রকল্পটি হর্টেক্স ফাউন্ডেশন কৃষিমন্ত্রণালয়ের সহোযোগিতায় অত্যন্ত দক্ষতার সংগে কাজ চালিয়ে আসে। এ প্রকল্প দুটির আওতায় ক) কুমিল্লার চান্দিনায় আর্ন্তজাতিক মানের “মডেল জোন ফর এক্সপোর্ট অরিয়েন্টেড” কৃষিপণ্য, বিপণন, বাজারজাতকরণ সংশ্লিষ্ট মডেল জোন স্থাপন, খ) কৃষিপণ্য উৎপাদন কাজে ঈড়হঃৎধপঃ ভধৎসরহম পদ্ধতি চালু ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের হাই ভেল্যূ সম্পন্ন কয়েক জাতের কৃষি পণ্য উৎপাদন, গ) যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড ও সিংগাপুরসহ পৃথিবীর আরও কয়েকটি উন্নত দেশে কৃষি সংশ্লিষ্ট রহঃবৎহধঃরড়হধষ সধৎশবঃ রহঃবষষরমবহপব সরংংরড়হং স্থাপন এবং সেসব দেশে উচ্চমূল্যের আন্তর্জাতিক মানের বেশকিছু ভেরাইটির কৃষিপণ্য রফতানীর সুযোগ সৃষ্টিকরণ ঘ) পার্বত্য চট্রগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের বেবী পাইনএপল’ (ছোট জাতের সুমিষ্ট আনারস) উৎপাদন ও এনজিও ব্র্যাক-এর সহোযোগিতায় এসবের রফতানীর ব্যবস্থা চালুকরণ ঙ) আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং কার্টুন প্রস্তুত করে বেসরকরী সেক্টরের রফতানীকারকদের হড় ষড়ংং হড় ঢ়ৎড়ভরঃ ভিত্তিতে সরবরাহ করণসহ আরও বেশ কিছু যুগান্তকারী কার্যক্রম গ্রহণে সক্ষম হয়। আইডিএ’র আর্থিক সহযোগিতায় উল্লিখিত দুটি প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নের পর (ওউঅ) পরবর্তীতে অমৎরপঁষঃঁৎধষ ঝবৎারপবং ওহহড়াধঃরড়হ ধহফ জবভড়ৎস চৎড়লবপঃ (অঝওজচ- ঈৎবফরঃ ঘঙ - ৩২৮৪ - ইউ) নামে আরেকটি প্রকল্প কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক সহযোগিতায় সার্বিকভাবে ’ হর্টেক্স ফাউন্ডেশন’ বাস্তবায়ন করে- যার কার্যক্রম চালু ছিল জুলাই ১৯৯৯ থেকে মার্চ ২০০৩ পর্যন্ত । এ প্রকল্পের আওতায় ”হর্টিকাল্চার” সেক্টরে এবং বিশেষত আন্তর্জাতিক মানের ’হর্টিকাল্চার’ পণ্য বিদেশে রফতানী এবং দেশে ব্যাপকভিত্তিক ’উৎপাদন ও রফতানী’ যে চেইন গড়ে উঠে-তা এককথায় অসাধারণ। এর পর ঝসধষষ চৎড়লবপঃ ঋধপরষরঃরবং (ঝচঋ) ৎবষবাধহপব ঃড় পধঢ়ধপরঃু নঁরষফরহম, ঝধহরঃধৎু ্ চযুঃড়-ঝধহরঃধৎু (ঝচঝ) সবধংঁৎবং ধহফ ঊট সধৎশবঃ ঝঃধহফধৎফং নু ঊট ধহফ ঐড়ৎঃবী ঋড়ঁহফধঃরড়হ (ঔঁষু ০৬ ঃড় ঙপঃড়নবৎ ০৭) বাস্তবায়ন করা হয়।

হর্টিকালচার এক্সপোর্ট ডেভলোপমেন্ট ফাউণ্ডেশন সংক্ষেপে যা, ‘হর্টেক্স ফাউন্ডেশন’ নামে পরিচিত, ২০০৩ পর্যন্ত মোটামোটি ভালভাবেই চলছিল এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানসম্পন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন ও রফতানীতে উৎপাদনকারী, রফতানীকারী, উদ্যোক্তা এবং বেসরকারী সেক্টরে একটি বড়মাপের কৃষিপণ্য উৎপাদন ও রফতানী সংশ্লিষ্ট আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়ে ছিল। কিন্তু ২০০৪ এর পর থেকে দেখা দেয় এর মধ্যে নানান অনিয়ম, দুর্নীতি। ফলে ফাউন্ডেশনটা দেওলিয়া হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। একদিকে তখনকার সরকার তথা, কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, অসময়ে পদোন্নতি আর স্বজনপ্রীতি ফাউন্ডেশনটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপণীত করে ফেলে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের বর্তমান কান্ডারীগণ হর্টেক্স সম্পর্কে গভীর মনোযোগ দিবেন দেশবাসী তাই প্রত্যাশা করে। এ ফাউন্ডেশন যেন আরও ক্ষতিগ্রস্থ ও তছনছ হবার কোন রকম সুযোগ না পায়। কারণ এ প্রতিষ্ঠনের মাধ্যমে উন্নত ও আন্তর্জাতিকমানের বিশেষ বিশেষ ক্যাটাগরীর কৃষিপণ্য উৎপাদন কর্মকান্ডে আইডিএ, বিশ্বব্যাংক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও অন্যান্যরা ক্রমবর্ধমান সহোযোগিতা নিয়ে নিরন্তর এগিয়ে আসছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, উল্লিখিত বিষয়ে কৃষি এবং দেশের স্বার্থে আপনার সুদৃষ্টি কামনা করি। কারণ এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আগামী এক দেড় বছরের মধ্যে লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য বিদেশে বাজার সৃষ্টির পথ সুগম করতে পারে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor