Monday, January 26, 2009

মৌসুমভিত্তিক পানি দিয়ে বোরো আবাদ চলছে

ডেসটিনি ।। নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মোহনগঞ্জ উপজেলায় ইরি-বোরো চাষাবাদে নদ-নদীর পানির আওতায় থাকা সেচ কার্যে ব্যবহৃত কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর কৃষকের নির্ভরতা ক্রমেই বাড়ছে। সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের সেচ প্রকল্পগুলো। অভিজ্ঞ মহল মনে করে, হাওর অঞ্চলে কাক্সিক্ষত খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সেচযোগ্য সব জমি সেচের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি, কৃষকদের পানি ও সেচ যন্ত্র ব্যবহার এবং রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মোহনগঞ্জ উপজেলায় মোট জমির পরিমাণ ৬১ হাজার ৪৪০ একর। আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৩৯ হাজার ৮৮৫ একর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সেচ যন্ত্র ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে এক ফসলি জমির পরিমাণ ২৯ হাজার ৯২১ একরে ব্যবহৃত হয় ৮৭৫টি অগভীর নলকূপ, দুই ফসলি ৯ হাজার ৭৩২ একরে গভীর নলকূপ ৩৮টি, তিন ফসলি ২৪২ একর জমিতে লো-লিফ্ট পাম্প ৪০৫টি সেচ কার্যে ব্যবহৃত হয়। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ শোয়াইব আহম্মদ বলেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হাওরের জমিতে সেচ এলাকা বাড়াতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে হবে। সূত্র মতে, উপজেলার অধিকাংশ সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এবং মেরামতের অভাবে যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। হাওরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ক্ষুদ্র সেচের আওতায় প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর ভূ-উপরিভাগের পানি দিয়ে সেচ কার্য পরিচালনা করা সম্ভব। অন্যদিকে কৃষকদের গভীর-অগভীর ও লো-লিফ্ট পাম্পের অপরিকল্পিত ব্যবহারের ফলে প্রচুর পরিমাণ সেচের পানি অপচয় হয়। ভূ-উপরিভাগের পানি ব্যবহার করা হয় বলে সেচ জমি বাড়ছে না। হাওরের অনেক কৃষকের নলকূপ স্থাপনে বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই। তাই ভূ-উপরিভাগের পানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করে কৃষকের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor