Wednesday, September 10, 2008

মানিকগঞ্জে পদ্মার ভাঙনে দিশেহারা কৃষকদের ঋণ পরিশোধের তাগাদা

০৯.০৯.০৮
।।সমকাল।। মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

পদ্মা নদীর ভাঙনে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকাই বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনকবলিত এলাকার সহস্রাধিক কৃষক জমিজিরাত, বাড়িঘর হারিয়ে এখন পথের ভিখারি। এর মধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাংক ঋণ পরিশোধের তাগাদা। ঋণ পরিশোধ করা তো দহৃরের কথা, দু’বেলা দুমুঠো খাবার জোগানোই এখন তাদের জন্য ক®দ্বকর ব্যাপার।
সরেজমিনে জানা যায়, চাষাবাদ করে স্ট^াছন্দ্যে দিন কাটানোর জন্য শিবালয় সোনালী ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ নিয়েছিলেন পদ¥া নদীর তীরবর্তী আরুয়া ইউনিয়নের প্রায় ৭-৮ শ’ কৃষক। ১৫-১৬ বছর ধরে প™§ার অব্যাহত ভাঙনে এ ইউনিয়নের মান্দারখোলা, কাইজারটেক, বাঘুটিয়া, নয়াকান্দি, বরুরিয়া গ্রামসহ আরো অনেক গ্রামের সহস্রাধিক কৃষক চাষের জমি ও ঘরবাড়ি হারিয়ে সর্বস্ট^াšø হয়েছেন। ফলে ঋণগ্রহীতা ওই কৃষকরা এখন কৃষিঋণ খেলাপি। একেকজন ৫ হাজার থেকে ৩০-৩৫ হাজার টাকা পর্যšø ঋণ নিয়েছিলেন। এসব ঋণ সুদে-আসলে ™ি^গুণ থেকে তিন গুণ হয়েছে। স্ট^াভাবিকভাবেই ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে। কৃষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভাঙন চললেও ১৯৯৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর থেকে ভাঙনের তীব্রতা বৃ™িব্দ পায়। কৃষকরা যেসব জমিতে চাষাবাদ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলেন, তার অধিকাংশই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঋণের টাকা শোধ করবে কী করে।
আরুয়ার তারাপদ দাশ জানান, তিন একরের বেশি জমি ছিল, যা এখন নদীগর্ভে। তার ভাষায়, ‘আমার মতো যারা ঋণ নিয়েছে, তাদের মেরে ফেললেও টাকা দিতে পারবে না। এলাকার প্রায় সবারই এক অবস্ট’া।’ বৃ™ব্দ আফাজ উদ্দিন হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন। তিনি জানান, তার এক ডিসিমেল জমিও নেই। সব নদীর মধ্যে। রাস্টøায় থাকেন ছেলেমেয়ে নিয়ে। ঋণ শোধ করবেন কী করে। সব হারিয়েও নিস্টøার নেই এই কৃষকদের। সার্টিফিকেট মামলার ভয়ে সব সময় থাকেন আতগ্ধেক। সরকারের কাছে এসব কৃষকের একটাই আবেদন, ব্যাংক ঋণ মওকুফ করে তাদের মুক্ত করা হোক। আরুয়া ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান জানান, গত ১০-১৫ বছরের ভাঙনে ৮-১০ হাজার বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। প্রতিবছরই ২-৩ শ’ বিঘা জমি ভাঙছে। যারা ঋণ নিয়েছিল, তাদের ঋণ পরিশোধ করার কোনো উপায় নেই। কৃষকদের সুদসহ ঋণ মাফ না করলে তাদের তা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor