Sunday, September 7, 2008

পাউবোর প্রকল্কেপ্পর অসহায় শিকার বিল খুকশিয়ার ১৩ গ্রামের মানুষ আগে উদ্বৃত্ত ধান বিক্রি করতেন ।। এখন বিলে মাছ ধরেন মোমেনা

০৮.০৯.০৮
।। সমকাল ।। নূরুল ইসলাম খান, কেশবপুর

নিজেদের আড়াই বিঘা জমি থাকতেও কেশবপুর উপজেলার আড়ূয়া গ্রামের মোমেনা খাতুনের (৫০) পরিবারের আজ নুন আনতে পান্তা পুরায় অবস্থা। তিন বছর আগে নিজেদের জমি থেকে যে ধান তারা ঘরে তুলতেন, তাতে সারা বছরের খোরাকি মিটিয়েও কিছু বিক্রি করে দু-চার টাকা সঞ্চয়ও করতেন। কিন্তু পানি উল্পুয়ন বোর্ডের গৃহীত বিল খুকশিয়ার টিআরএম প্রকল্কপ্প (জোয়ার আধার প্রকল্কপ্প) তার মতো এলাকার হাজারো পরিবারের বছরওয়ারি নিশ্চিত খোরাকি সংস্ট’ানের সেই পথটি বল্পব্দ করে দিয়েছে। এর প্রভাবে এ অঞ্চলের ১৩ গ্রামের পরিবারগুলোকে দিন আনে দিন খাই অবস্ট’ার মুখে ফেলে দিয়েছে।
কেশবপুর সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দহৃরে পহৃর্বাঞ্চলে হরিনদীর পাশে বিল খুকশিয়ায় পানি উল্পুয়ন বোর্ড ২০০৫ সালে টিআরএম প্রকল্কপ্প গ্রহণ করে এলাকার জলাব™ব্দতা নিরসনের জন্য। বিলের পাশর্^বর্তী আড়ূয়া গ্রামের প্যারালাইসিসে আত্রক্রাšø সালামতের স্টúী মোমেনা খাতুন বলছিলেন তাদের আটপৌঢ়ে জীবনে হঠাৎ বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দেওয়া টিআরএম প্রকল্কেপ্পর কথা। সরেজমিন বিল খুকশিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, মোমেনা খাতুন প্রচ- রোদে বুকসমান পানির মধ্যে ঠেলা জাল বেয়ে মাছ ধরছেন। শুধু মোমেনা খাতুন নয়, পাউবোর প্রকল্কেপ্পর কারণে ক্ষতিগ্রস্টø তার মতো অনেকেই মাছ ধরছেন। মাছ ধরার ফাঁকে ফাঁকে মোমেনা খাতুন বলেন, আজ পরিবারের সদস্যদের মুখে ভাত জোগানোর জন্য স্ট^ামী-সšøান-সংসার ফেলে মাছ ধরতে আসতে হয়েছে তাকে। এর জন্য তিনি দায়ী করেন টিআরএম প্রকল্কপ্পকে। মোমেনার সংসারে ১১ জন সদস্য। স্ট^ামী অচল। বাধ্য হয়েই তিন বছর ধরে বিল খুকশিয়ার জোয়ারভাটার পানিতে মাছ ধরে সংসারের ঘানি টেনে যাচ্ছেন।
মোমেনার মতো এ গ্রামের আশিষ গোলদারের স্টúী সবিতা রানী, বিধান ম-লের স্টúী নয়নতারা, রনজিৎ বৈরাগীর স্টúী শিপ্রা রানী, বক্কর ফকিরের স্টúী আছিয়া, ইনতাজ ফকিরের স্টúী রোকেয়া, শাহাবুদ্দিনের স্টúী মঞ্জু আরাও এসেছেন ঠেলা জাল বেয়ে মাছ ধরতে। সবাই অভিযোগ করলেন, টিআরএম প্রকল্কেপ্পর মধ্যে তাদের জমি রয়েছে। সেখানে গত তিন বছর কোনো ফসল উৎপাদন করতে পারেননি কেউ।
এলাকার জলাব™ব্দতা নিরসনের নামে নেওয়া বিল খুকশিয়ায় পানি উল্পুয়ন বোর্ডের টিআরএম প্রকল্কপ্প কোনো উপকারেই আসেনি বলে জানালেন সুফলাকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মা¯দ্বার। তিনি জানান, টিআরএম প্রকল্কেপ্পর কুপ্রভাবে এলাকার গাছপালাও মরে যাচ্ছে। নারকেল গাছে আর ফল দিচ্ছে না। সুপারি গাছেরও একই অবস্ট’া। বিলে যেসব কৃষকের জমি আছে, তারা আজ হতদরিদ্র। এসব পরিবারের পুরুষ ও মহিলারা মিলে বিলের পানিতে মাছ ধরে সংসার চালাচ্ছেন। চেয়ারম্যান আরো বলেন, পাউবোর প্রকল্কেপ্প ক্ষতিগ্রস্টø এলাকার ১৩ গ্রামে ১৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ডিসেল্ফ^রে মেয়াদ শেষ হলেই টিআরএম প্রকল্কেপ্পর মুখ বল্পব্দ করে দেবে এলাকাবাসী।
অপরদিকে পানি উল্পুয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবু বক্কর খান লেন, বিল খুকশিয়ার কাটিং পয়েন্ট বল্পব্দ করে দিয়ে নতুন করে আরো একটি কাটিং পয়েন্ট করা হবে। বিল কপালিয়ায় নতুন করে টিআরএম প্রকল্কপ্প শুরু না হওয়া পর্যšø বিল খুকশিয়ার প্রকল্কপ্পটি পরোপুরিভাবে বল্পব্দ করা যাবে না।
অন্যদিকে বিল খুকশিয়ার কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, পানি উল্পুয়ন বোর্ড টিআরএম প্রকল্কেপ্পর শিকার হওয়ায় তাদের ক্ষতিপহৃরণ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সে ক্ষতিপহৃরণ আজও তারা পাননি। এ কারণে এলাকার ১৩ গ্রামের কৃষকরা পানি উল্পুয়ন বোর্ডের সি™ব্দাšেøর বিরু™েব্দ সোচ্চার হচ্ছেন টিআরএম প্রকল্কেপ্পর কাটিং পয়েন্ট বল্পব্দ করে ধান চাষ করার জন্য। ইতিমধ্যে কৃষকরা দু’দফা সমাবেশও করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রশু করলে আবু বক্কর খান বলেন, যখন প্রকল্কপ্প গ্রহণ করা হয় তখন ক্ষতিপহৃরণের বিষয়টি ছিল না। কিন্তু পরে প্রকল্কপ্প এলাকায় ধান উৎপাদনে কৃষকরা ব্যর্থ হলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানিয়ে ক্ষতিপহৃরণের সুপারিশ করা হয়। সে মোতাবেক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। এ সংত্রক্রাšø রিপোর্ট পেশের পর পাস হলেই কৃষকদের ক্ষতিপহৃরণ দেওয়া হবে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor