Thursday, September 4, 2008

ধামরাইয়ে জলাবদ্ধতায় ৮০০ বিঘা জমির ধান পচে যাচ্ছে : বিক্ষোভ

০২.০৯.০৮
।। যায়যায়দিন ।। ধামরাই (ঢাকা) সংবাদদাতা
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের কালানপুরে একটি সেতুর মুখ ভরাট করে বিসিক শিল্পনগরী নির্মাণ করায় ও একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্যরে পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্থানীয় চারটি গ্রামের প্রায় ৮০০ বিঘা জমির আমন ধানের চারা পানিতে তলিয়ে পচে গেছে। রবিবার এ ঘটনার প্রতিবাদে কৃষকরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে। এরপরও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে কৃষকরা অভিযোগ করেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ডাউটিয়া দীপ টেক্সটাইল লিমিটেডের বর্জ্যরে পানি ও মহাসড়কের একটি সেতুর মুখ ভরাট করে বিসিক শিল্পনগরী নির্মাণ করায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে স্থানীয় গোয়ালদি ডাউটিয়া, চর ডাউটিয়া ও কালামপুর গ্রামের প্রায় ৮০০ বিঘা আমন ধানের আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে অধিকাংশ জমির ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। গোয়ালদি গ্রামের নায়েব আলী এবার চার বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছিলেন। এতে তার খরচ হয়েছে ২২ হাজার টাকা। পানিতে তলিয়ে ইতিমধ্যে তার তিন বিঘা জমির ধানের চারা পচে নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি আবাদও নষ্ট হওয়ার পথে। তিনি ছাড়াও গোয়ালদি গ্রামের জিন্নত আলী, সুলতান আহম্মদ, রাজ্জাক আলী, ডাউটিয়ার আঃ সালাম, আফজাল হোসেন, কালামপুর গ্রামের আবুল হোসেন, ইয়ার হোসেনসহ তিন শতাধিক কৃষকের একই অবস্থা।

উৎপাদন হবে ৮০ কোটি টাকার কাঁচা মরিচ ফরিদপুরের মধুখালীতে মরিচের বাম্পার ফলন ফরিদপুর প্রতিনিধি ও মধুখালী সংবাদদাতা ফরিদপুরে এবার কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার মধুখালীর মরিচের বাজার থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০ লাখ টাকার কাঁচা মরিচ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে যাচ্ছে। জানা গেছে, চলতি খরিপ মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৫/২০ ট্রাক মরিচ বিভিন্ন জেলা শহরের চাহিদা মেটাচ্ছে। বাজারের পাইকারি মরিচের আড়তদাররা জানান, খরিপ মৌসুমে শুধু মধুখালীতে মৌসুমের তিন মাস ধরে আমরা মরিচ কিনে থাকি। মরিচের আড়তদার মেসার্স সুজন ভা-ারের মালিক নিয়ামত মোল্লা, মির্জা ফিরোজ ভা-ারের মালিক আহসানুজ্জামান জানান, মধুখালীর এ মরিচের বাজারে ৩৫/৪০টি পাইকারি আড়তদার রয়েছে। প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্তু চাষীদের কাছ থেকে মরিচ কেনা হয়।
বাজারের সমতা ভা-ারের মালিক আকবর হোসেন জানান, এ বাজার থেকে প্রতিদিন ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, সিলেট, যশোরের বেনাপোল, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা এসে ট্রাক ভরে মরিচ কিনে নিয়ে যায়। বর্তমান মৌসুমে মরিচের টন প্রতি প্রায় ২৭ হাজার থেকে ২৯ হাজার টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে আসা মেসার্স বায়তুল আমিন বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী আবির ম-ল জানান, আমরা বছরে শুধু খরিপ মৌসুমে এ বাজারের মরিচ কিনতে আসি। তিনি বলেন, এখানে মরিচ কেনায় বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই।
বাজারে মরিচ কিনতে আসা মিলটন (যশোরের মনিরামপুর), মন্টু (ঢাকার যাত্রাবাড়ী), নোয়াব মিয়া (ঢাকার আশুলিয়া) জানান, আমরা গত কয়েক বছর ধরে এ মরিচের বাজারে আসি এ অঞ্চলের মরিচ কিনতে। মরিচ চাষের খরচ প্রসঙ্গে মধুখালীর গাজনা ইউনিয়নরে আশাপুরের কৃষক আমিন মল্লিক, মো. ইসলাম, রওশান মল্লিক, আবু সাইদ বলেন, এক বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করতে জমিতে চার হাজার টাকার সার ও কীটনাশক দিতে হয়েছে। আর সারা মৌসুমে তো শ্রম দিচ্ছি। অন্যবারের তুলনায় এবার খরচের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে কিন্তু শুধু খরিপ মৌসুমেই মরিচের দাম পাই আর অন্য সময় দাম ঠিক মতো পাই না।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor