Friday, September 12, 2008

গ্যাস সংকটে যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন কমবে দেড় লাখ টন ঘাটতি পূরণে সার আমদানিতে সরকারের ব্যয় হবে ৯০০ কোটি টাকা

১৩.০৯.০৮
।।সমকাল।। আনোয়ার হোসেন মিন্টু, জামালপুর
গ্যাস সংকটের কারণে যমুনা সার কারখানার (যমুনা ফার্টিলাইজার কো¤ক্সানি লিমিটেড) ইউরিয়া উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে। চলতি অর্থবছরে কারখানায় উৎপাদন দেড় লাখ মেট্রিক টন কম হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘাটতি পহৃরণে ওই পরিমাণ সার বিদেশ থেকে আমদানি করতে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। গ্যাসপ্রবাহের চাপ কম থাকায় শুধু উৎপাদনই হ্রাস হচ্ছে না, কারখানায় ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। এ কারণে গত জুনেই কারখানা চারবার বল্পব্দ হয়ে যায়। গ্যাসপ্রবাহের চাপ অনিয়মিত ও অনির্ধারিতমাত্রায় ওঠানামার ফলে যে কোনো সময় কারখানার গুরুÍ^পহৃর্ণ যšúাংশ বিকল হয়ে যেতে পারে। বড় কোনো দুর্ঘটনায় কারখানা অনির্দি®দ্বকালের জন্যও বল্পব্দ হয়ে যেতে পারে। দেশের বৃহৎ ওই সার কারখানার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে এমনই আশঙ্কা করছেন এর ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী এবং পরিচালকরা।
বার্ষিক ৫ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতাস¤ক্সল্পু যমুনা সার কারখানা দেশের বৃহত্তম ও অত্যাধুনিক। এ কারখানার উৎপাদিত উল্পুতমানের দানাদার ইউরিয়া উত্তরবঙ্গের ১৬টি ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৪ জেলায় সরবরাহ করা হয়। ইউরিয়া উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে গ্যাস।
সহৃত্র জানায়, কারখানায় ওই গ্যাসের স্ট^াভাবিক চাপ (৩৭০ পিএসআইজি) ধরে রাখতে দৈনিক ৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফটি) গ্যাস দরকার হয়। কিন্তু গত জুন থেকে গ্যাসপ্রবাহের চাপ ২৮০ থেকে ৩০০ পিএসআইজির বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে প্টèান্ট লোড গড়ে ৬০ শতাংশের বেশি করা সল্ফ¢ব হচ্ছে না। ফলে দৈনিক ইউরিয়া উৎপাদন ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টনের স্ট’লে নেমে এসেছে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টনে। এ উৎপাদন ঘাটতি চলতে থাকলে কারখানার বার্ষিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। ফলে নির্ধারিত জেলাগুলোয় ইউরিয়ার চাহিদা পহৃরণ করতে সরকারকে কমপক্ষে দেড় লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার তুলনামহৃলক বেশি দামে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। এতে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে ৯০০ কোটি টাকা।
জানা যায়, গত আগ¯দ্ব থেকে সারের ‘মিনি পিক সিজন’ চলছে। এ সময় সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে সংশিè®দ্ব ২০ জেলার কৃষিক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে। বর্তমান মিনি পিক সিজনে মাসে ৫৭ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টন সার চাহিদা রয়েছে। কিন্তু অপ্রতুল গ্যাস সরবরাহের কারণে বর্তমানে ইউরিয়া উৎপাদন হচ্ছে মাসে মাত্র ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। ফলে কোনো জেলাতেই চাহিদামতো সার সরবরাহ করতে পারছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। এদিকে কারখানার প্রকৌশলী বিভাগ সহৃত্র জানায়, গ্যাসপ্রবাহের চাপের হঠাৎ ও অনির্ধারিত হারে ওঠানামার জন্য গত ৩ জুন ইউরিয়া রিয়েক্টর টপ কভার গ্যাসকেট অচল হয়ে যাওয়ায় প্টèান্ট ৬ দিনের জন্য বল্পব্দ হয়ে যায়। একই কারণে ১৩ জুন অ্যামোনিয়া প্টèান্টের বেনফিল্ড সেকশনের ‘এবজরবার ফ্লো’ করায় প্টèান্ট ট্রিপ করে। ১৩ জুন ট্রিম হিটার গ্যাসকেট ফেটে আগুন ধরে যায়। ২৩ জুন বিকল হয়ে যায় বিএফড¦িèউ পা¤ক্স এবং ২৭ জুন গ্যাস প্রেসার সর্বনিল্ফু চলে আসায় ইউরিয়া উৎপাদন ফের বল্পব্দ হয়ে যায়। এসব দুর্ঘটনায় সার উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে।
কারখানার ব্যবস্ট’াপনা পরিচালক (এমডি) মীর মুজাফ্ফর আলী সমকালকে বলেন, দেশের উত্তরবঙ্গের ১৬ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৪ জেলায় চাহিদা অনুযায়ী সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হলে কারখানায় চাহিদামাফিক গ্যাসপ্রবাহ ঠিক রাখা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। তাই যমুনা সার কারখানার নিরবচ্ছিল্পু স্ট^াভাবিক উৎপাদন প্রত্রিক্রয়া বজায় রাখার স্ট^ার্থে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্ট’া নিতে তিনি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor