Friday, September 5, 2008

উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয়

০৫.০৯.০৮
দৃষ্টিপাত
।। ডেসটিনি ।। মো. মিজানুর রহমান

কৃষি আমাদের অর্থনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেদিকে মনে রেখে আমাদের অর্থনীতিকে পরিচালিত করতে হয়। তাই তা সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ পটুয়াখালীতে এক সমাবেশে বলেছেন, আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্যের অভাব দূর করতে হবে। কথাটা যথার্থই বলেছেন এবং এর জন্য প্রয়োজন খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং খাবার পরিমাণ কমানো। শ্রমজীবী ছাড়া যারা কর্মজীবী, পেশাজীবী, ছাত্রছাত্রী, তাদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে, কারণ শ্রমজীবীদের পরিশ্রমের কারণে তাদের খাবারও বেশি প্রয়োজন। কিন্তু অন্য পেশার লোকদের ততটা দরকার হয় না। তাই তাদের সচেতন করতে হবে ভাত, আলুর পাশাপাশি শাকসবজি গ্রহণের অভ্যাস করতে। তবেই শস্যের ওপর প্রভাব কম পড়বে। ধান-গম আমাদের যা উৎপাদন হবে তাতেই আমাদের চরবে। আমাদের জনসংখ্যা বেশি, যে কারণে শ্রমজীবী মানুষও বেশি। তাই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হয়তো অতি সহজে করা সম্ভব হবে না। বর্তমান সরকার প্রধানসহ সবার কাছে আমাদের আবেদন, আপনাদের গোচরে আসছে কি না জানি না, তবে কথাটা বাস্তব আপনি এদেশের যে প্রান্তে যাবেন দেখবেন রাস্তাঘাটে যানজট লেগেই আছে। দেখে মনে হবে, এদেশে রিকশা ছাড়া আর অন্য কোনো কাজই আমাদের নেই। নেই কোনো কলকারখানা, কোনো পতিত জমি। সে কারণে দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করে তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা। কাজেই এ পেশা থেকে আমরা যতদিন মুক্তি না পাব, ততদিন যতই আমরা সচেতনতার কথা বলি না কেন কোনো ভাবেই আমাদের খাদ্যের অভাব দূর করা যাবে না। কারণ আমরা যারা পেশাজীবী আমরা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে কি হবে। রিকশাচালক তো খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করবে না। তার তো আমার মতো দু’জনের খাবারের প্রয়োজন। জন্মনিয়ন্ত্রণের দিকে দেখেন, আজকে আমরা যারা সন্তানের লেখাপড়ার ভরণ-পোষণ দিতে সক্ষম তাদের অনেকেরই মাত্র একটি বা দুটি সন্তান। অধিকাংশ রিকশাচালকের একাধিক স্ত্রী, তাদের সন্তান-সন্তুতিও আট থেকে দশটি। তাদের মাঝে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। আজকের কলকাতা শহরের দিকে লক্ষ্য করুন, যেখানে শুধু রিকশাই নয় মানুষ নিজে হেঁটে রিকশা টানত, আজ সেখানে সারা শহর ঘুরলে আপনি এক-দুটি ছাড়া রিকশা চোখে দেখবেন না। পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন গ্রামে দেখেছি তারা পরিকল্পিতভাবে চাষাবাদ করে এখন আর রিকশা চালায় না। তাদের খাদ্যাভ্যাসও পরিবর্তন করে ফেলেছে। তারা যে পরিমাণ খাবার খায় তা আমাদের তুলনায় চারভাগের একভাগ। দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর দিকে একটু লক্ষ্য করুন, খালি পতিত জায়গায় গড়ে উঠেছে বস্তি। রিকশা শ্রমজীবী মানুষগুলো এসব বস্তিতে নোংরা আবর্জনার মধ্যে বসবাস করছে। এদের পুঁজি করে গড়ে উঠেছে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক আসক্তের বড় বড় নেটওয়ার্ক।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor