Thursday, September 4, 2008

গ্রামে গ্রামে সার বণ্টন কমিটি চাই

উপসম্পাদকীয়
০২.০৯.০৮
।। সমকাল ।। জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ সেলিম
চলতি আমন মৌসুমের শুরুতে সৃ®দ্ব সার সংকট শেষপ্রান্তে এসে চরম আকার ধারণ করেছে। কৃষিপ্রধান তাই দেশে ধান চাষাবাদের ভরা মৌসুমে সার সংকটের এই বাস্তবতা মুষ্টিমেয় কতিপয় অসাধু ডিলার, মজুদদার, কালোবাজারির জন্য মৌসুমি আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচিত হলেও দেশবাসীর জন্য তা বিনামেঘে বজ্রপাত ছাড়া আর কিছুই নয়। নগদ টাকায় সার সংগ্রহ করতে না পারায় কৃষকদের শুষ্ক উদ্ভ্রান্ত মুখের দিকে তাকাতে কষ্ট যতই হোক, তাতে কৃষকদের সার প্রাপ্তির প্রত্যাশা পূরণের কোনো সম্ভাবনাই নেই। অথচ সরকার একটু আন্তরিক হলেই সার সংকটের সমাধান সম্ভব। যে কোনো সমস্যা সমাধানে সরকারের মৌসুমি পদক্ষেপ কোনোত্রক্রমেই দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনবে না। উল্লেখ্য, মাসাধিককাল আগেই সরকার ইউরিয়া সারের মূল্য এক দফায় কয়েক গুণ করেছে। সে সময় সরকার ইউরিয়া সারের মূল্য বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছিল, সারের ওপর ভর্তুকি কমাতে এবং ইউরিয়া সারের পাচার রোধকল্কেপ্প সারের মূল্য বৃদ্ধি ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। অর্থাৎ মহৃল্যবৃ™িব্দর কারণ ইউরিয়া সার আমদানির ক্ষেত্রে সরকারের আর্থিক সাশ্রয় ঘটবে এবং সারের দু®ক্স্রাপ্যতা দহৃরীভূত হবে; কিন্তু বাস্টøবতা বলছে ভিল্পু কথা। মহৃল্যবৃ™িব্দর কারণে সরকারের আর্থিক সাশ্রয় ঘটলেও কৃষকদের সার প্রাপ্যতা নির্বিঘœ কিংবা নিশ্চিত হয়নি। সরকারি সি™ব্দাšেøর কারণে কয়েক মাস আগের এক ব্যাগ (৫০ কেজি) ৩০০ টাকার সার বর্তমানে ৬০০ টাকায় কিনতে গিয়েও কৃষকদের সারের জন্য হাহাকার করে ফিরতে হচ্ছে; কিন্তু সরকারকে এ বিষয়ে বিশেষ তৎপর হতে দেখা যাচ্ছে না। অথচ সার সংকটের কারণে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হলে শেষ পর্যšø সরকারকেই বিপাকে পড়তে হবে। কেননা দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিলে তা থেকে উত্তরণের দায়দায়িÍ^ শেষ পর্যšø সরকারকেই বহন করতে হবে। সুতরাং কালবিলল্ফ^ না করে সরকারের উচিত সার সংকট সমাধানে বাস্টøবসল্ফ§ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এক তথ্যে জানা যায়, বর্তমানে দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৮ লাখ টনের কম নয়। অন্যদিকে রা®দ্ব্র খাতের কারখানাগুলোর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৩ লাখ টনের মতো হলেও বিভিল্পু কারণে বর্তমানে কারখানাগুলো থেকে ১৫ লাখ টনের বেশি ইউরিয়া উৎপাদন কোনোমতেই সল্ফ¢ব হচ্ছে না। এতে করে দেখা যাচ্ছে ইউরিয়া সারের চাহিদা পহৃরণে সরকারকে উচ্চমহৃল্যে প্রতি বছর প্রায় ১২-১৩ লাখ টন ইউরিয়া সার আমদানি করতে হচ্ছে। বলাবাহুল্য, বিদেশ থেকে ১ কেজি ইউরিয়া সার ত্রক্রয়ের পেছনে খরচ করতে হয় ৪৭ টাকার মতো। এতে করে সরকারকে প্রতি বছর কেবল ইউরিয়া সারের পেছনেই বিশাল অগ্ধেকর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়; কিন্তু এত কিছুর পরও যদি কৃষকদের সারপ্রাপ্টিø নিশ্চিত হতো তাহলেও দেশ অব্যাহত খাদ্য সংকটের অক্টোপাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারত; কিন্তু অবস্ট’াদৃ®েদ্ব মনে হচ্ছে, সার সংকট থেকে বেরিয়ে আসা আমাদের জন্য একেবারে অসল্ফ¢ব না হলেও তা যে বেশ সুকঠিন এবং সময়সাপেক্ষ তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের ধারণা, সার সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের উচিত স্ট’ানীয় সরকার ব্যবস্ট’ার সেই স্টøরের সত্রিক্রয় সহযোগিতা গ্রহণ করা, যে স্টøরের সঙ্গে এদেশের শতভাগ কৃষকের স¤ক্সৃক্ততা রয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদগুলোর সত্রিক্রয় সহযোগিতা গ্রহণের মাধ্যমে সরকারের পক্ষে সল্ফ¢ব কৃষক পর্যায়ে সরকারি মহৃল্যে যথাসময়ে প্রয়োজনমাফিক সার পৌঁছে দেওয়া; কিন্তু স্ট’ানীয় জনপ্রতিনিধিরা দেশের বৃহৎ স্ট^ার্থে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্য বাস্টøবায়নে সরকারের পাশে এসে দাঁড়াবে তেমন সল্ফ¢াবনা খুবই ক্ষীণ। অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলে। বিগত ইরি-বোরো মৌসুমে অনেক জনপ্রতিনিধির সার বিতরণ কার্যত্রক্রমে সংশিè®দ্বতা সেই সত্যই প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে ব্যতিত্রক্রম যে একেবারেই নেই, তাও অস্ট^ীকার করা যাবে না। এমন অনেক কৃষক পরিবার রয়েছেÑ যারা গ্রাম সরকারের অনুগত জাতীয়তাবাদী কাফেলায় শামিল হয়নি এই বিশেষ অপরাধে তারা কার্যমহৃল্যে বিগত মৌসুমে সারপ্রাপ্টিø থেকে শতভাগ বঞ্চিত হয়েছে। এখন অবশ্য গ্রাম সরকার নেই। এ অবস্ট’ায় সরকার যদি সেনাসদস্যদের উপস্টি’তিতে দেশের প্রতিটি গ্রামে সার বণ্টন সংত্রক্রাšø একটি করে কমিটি গঠন করে, যে কমিটির সর্বসল্ফ§ত সুপারিশের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে একজন কৃষক কোন মৌসুমে কোন কোন সার ঠিক কতটুকু ওঠাতে পারবে আর সে জন্য দরকার দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে অšøত একটি করে সরকারি সার গুদাম স্ট’াপন করা এবং গুদামগুলোতে পর্যাপ্টø সার সরবরাহ নিশ্চিত করা। এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা বেশ ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ হলেও এর কোনো বিকল্কপ্প আছে বলে মনে হয় না।
হ লেখক : নিবল্পব্দকার

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor