Sunday, September 7, 2008

বাণিজ্যিকভাবে দেশী মুরগির খামার করে সফল মিরপুরের আসলাম শেখ

০৮.০৯.০৮
।। ইত্তেফাক।। মিরপুর (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা

মাংসের চাহিদা মেটাতে অন্যান্য মাংসের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে যখন দেশে অজস্র ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির ফার্ম গড়ে উঠেছে, তখন এই ধারার বিপরীতে কুষ্টিয়া মিরপুরে সরকারি কোন সাহায্য ছাড়াই নয়ন পোল্ট্রি খামার বাণিজ্যিক ভাবে দেশী মুরগির ফার্ম করে রীতিমত নীরব বিপ্লবের সূচনা করেছে। কুষ্টিয়া- মেহেরপুর সড়কের মিরপুর উপজেলাস্থ চার মাইল নামক স্থানে নয়ন পোল্ট্রি খামারের অবস্থান। উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের তাঁতীবন্ধ গ্রামের মৃত জোনাব আলী শেখের ছেলে আশরাফুল হক ওরফে আসলাম শেখ এই ফার্মের মালিক। ফার্মের মালিক আসলাম শেখ জানান, তার গ্রামের থাইল্যান্ড ফেরত ইস্কান্দার হোসেনের অনুপ্রেরণায় কবুর হাটের আব্দুল মজিদ বাবলুর ফার্ম থেকে একদিন বয়সী মাত্র ১৪৬ টি দেশী মুরগির বাচ্চা এনে ফার্মের সূচনা করেন।

আসলাম শেখের ৩টি শেডে বর্তমানে ৯ হাজার মুরগি রয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার বাচ্চা, ৩ হাজার মাঝারী সাইজের এবং ৩ হাজার বিক্রি উপযোগী মুরগি রয়েছে। একদিনের বাচ্চার বয়স যখন ৪৮ দিন হয় তখন থেকেই বিক্রি শুরু হয়। এসময় একেকটি মুরগির ওজন ৭০০ থেকে ৭৫০ গ্রাম হয়। আসলাম শেখ আরো জানান, ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির তুলনায় দেশী মুরগির খাবার খরচ অর্ধেক, আবার ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির তুলনায় দেশী মুরগির চাহিদা এবং দাম দ্বিগুণ। এছাড়া কুষ্টিয়াতে দেশী মুরগির ফার্ম না থাকায় মাত্রাতিরিক্ত চাহিদা রয়েছে। নয়ন পোল্ট্রি ফার্মের মালিক আসলাম শেখের ভবিষ্যতে ব্যাপক ভাবে দেশী মুরগির ফার্মের সম্প্রাসারণ ঘটিয়ে মাংসের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে নয়ন পোল্ট্রি ফার্মে একজন ম্যানেজার সহ ৪ জন কর্মরত রয়েছে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor