১১.০৯.০৮
।। যায়যায়দিন ।। মুক্তকথা।। নুরুল ইসলাম নাহিদ
হাওর রক্ষা ও উন্নয়নের দায়িত্ব সরকারেরই হাওর উন্নয়ন এবং এর প্রাকৃতিক পরিবেশ সহায়ক একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও কার্যকর করার কোনো উদ্যোগ প্রকৃতপক্ষে আজো নেয়া হয়নি। ‘হাওর উন্নয়ন বোর্ড’ গঠন করে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও বাস্তবসম্মত পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং একটি প্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যমে অর্থ ব্যয়সহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি বহু পুরনো। ১৯৭৭ সালে হাওর উন্নয়ন বোর্ড নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হলেও বাস্তবে এর কোনো কাজ হয়নি। নামমাত্র এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান এখনো অর্থহীন ও অকার্যকর।
নুরুল ইসলাম নাহিদ
১. আমাদের মৌলিক খাদ্যসম্পদ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে দেশের হাওরগুলো। দেশের বহু অঞ্চলে হাওর-বিল-জলাশয় প্রভৃতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও প্রকৃত হাওর অঞ্চল বলতে যা বোঝায় তা আমাদের দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি জেলায় বিস্তৃত। এ সাতটি জেলার প্রায় ৫০টি উপজেলায় প্রধান হাওরগুলো রয়েছে। সাধারণভাবে বলা যায় নিচু সমতল ভূমি, বিল, জলাশয়, খাল প্রভৃতি জলাধারসহ বিস্তীর্ণ এক বৈচিত্র্যময় অঞ্চল হাওর। বর্ষাকালে চারদিকে অথৈ জলরাশি, সমুদ্রের মতো বিশাল দিগন্ত প্রসারিত হাওরের ঢেউ আচড়ে পড়ে সুদূর চার পাশের গ্রাম এবং জনবসতিগুলোতে। আবার শুষ্ক মৌসুমে বিস্তির্ণ মাঠÑ পানির অভাবে শত সমস্যায় দিন গুনতে হয় হাওরবাসীর।
২. হাওর অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীবন ধারণ ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে ভিন্ন। হাওরগুলো আমাদের সম্পদ সৃষ্টির এক বিশাল ও অফুরন্ত উৎস। খাদ্যশস্য বিশেষ করে ধান এবং মাছ প্রকৃতির সাধারণ নিয়মেই আজো জোগান দিয়ে যাচ্ছে, যা আধুনিক যুগে দুনিয়ার খুব কম জায়গায়ই তা পাওয়া যাবে। সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হয়েও বঞ্চিত পশ্চাৎপদ জীবন ধারণকারী হাওরবাসী আজো হাওরের মাটি ও পানি থেকে আমাদের ‘সভ্য সমাজ’র খাদ্য চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে।
জমি, পানি, পরিবেশ, প্রকৃতির ওপর কৃত্রিম চাপ সীমিত রেখেও আমাদের হাওর অঞ্চলের অপার সম্ভাবনাকে ব্যবহার করে এবং এর উন্নয়ন ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারলে আমাদের দেশের মৌলিক খাদ্য চাহিদা অর্থাৎ ধান এবং মাছ উৎপাদন বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব। এমনকি তা তুলনামূলকভাবে সহজে ও স্বল্প ব্যয়ে স্বল্প সময়ে। আমরা অনেক কথাই বলছি, তত্ত্ব ও তথ্য দিয়েই যাচ্ছি। কিন্তু উন্নয়ন ও অগ্রগতির মৌলিক জায়গাগুলোতে দৃষ্টি দেয়ার সময় আমাদের নেই।
৩. কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে দিনে দিনে এ সম্ভাবনা সীমিত হয়ে আসছে। সম্প্রতি আমরা খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পারলাম বিশ্বের খাদ্য উৎপাদন, বাজার, উচ্চমূল্য এবং এর দু®প্রাপ্যতা আমাদের জন্য যে কোনো বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব এ বিরাট সম্ভাবনা ও সম্পদের দিকটির গুরুত্ব এবং তা ব্যবহার করে আমাদের খাদ্যনিরাপত্তাকে সুদৃঢ় করা, এমনকি এ সম্পদ রক্ষা ও উন্নয়ন করার তাৎপর্যটি উপলব্ধি করতে অনেকটাই অক্ষম।
৪. সম্প্রতি ‘নাগরিক সংহতি’ ও ‘সাপ্তাহিক বৃত্তের বাইরে’-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় অর্থনীতিবিদ ও হাওর বিশেষজ্ঞ এম তাহের উদ্দিনের উত্থাপিত মূল প্রবন্ধে দেখানো হয়েছেÑ সমগ্র বাংলাদেশে উৎপাদিত মোট আমন ধানের এক পঞ্চমাংশ এবং বোরোর এক-তৃতীয়াংশ আসে হাওর থেকে। হাওর অঞ্চলের ফসল ফলানো, পরিচর্যা এবং যথাসময় ফসল তোলা এখনো প্রধানত নির্ভর করে প্রকৃতির ‘দয়ার’ ওপর। যে বছর ভালো ফসল হয়, কৃষক মাঠের ফসল নিরাপদে ঘরে তুলে আনতে পারেনÑ সারাবছর থাকে মুখে হাসি এবং সুখ ও শান্তি। বিপরীত পরিস্থিতির চিত্র অনুমান করতে তো বেগ পাওয়ার কথা নয়।
৫. বিভিন্ন তথ্যে দেখা যায়, অনেক হাওরেই প্রচুর চাষযোগ্য জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৫ কিলোমিটার চওড়া নেত্রকোনা জেলার পুটিয়ার হাওর এবং সুনামগঞ্জ জেলার শনির হাওরের আয়তন ৬ হাজার ৭০ হেক্টর, এ দুটি হাওরের উদাহরণ হিসেবে বলা যায় গ্রামবাসীর অর্থাৎ স্থানীয় কৃষকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এ দুই হাওরের প্রায় ৪০ ভাগ জমি প্রতিবছর অনাবাদি পড়ে থাকে। এর সহজ কারণ হলো, সময়মতো প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে বোরো ফসল চাষ করাই একমাত্র সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এখানে তুলনামূলকভাবে তিন ধরনের জমির মধ্যে উঁচু জমিতে সেচের অভাবে এবং নিচু জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে এই প্রায় ৪০ ভাগ জমি অনাবাদি থেকে যায়।
৬. একটু গভীর মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়, শুধু প্রকৃতির ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে যদি দেশের মোট আমন ধানের এক-পঞ্চমাংশ এবং বোরো ধনের এক-তৃতীয়াংশ মাত্র ৭টি জেলার হাওর থেকে উৎপাদন করা যায়, তাহলে বিরাজমান বহু ধরনের সমস্যার সমাধান করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করলে আমাদের দেশের মোট খাদ্য উৎপাদন কতো ভাগ বৃদ্ধি করা সম্ভবÑ তা নিশ্চয়ই বিবেচনায় নিতে হবে। কিন্তু প্রতিবছর যখন প্রাকৃতিক দুযোর্গের কারণে অথবা প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অভাবে ফসল নষ্ট হয়ে যায়, তখন বহু কথাবার্তা হলেও মাসখানেক পরে তা আমরা ভুলে যাই। সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে স্বল্প, মধ্যম, দীর্ঘমেয়াদি কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে আমরা অগ্রসর হই না। প্রকৃতির দয়ায় ফসল উৎপাদন অথবা নিষ্ঠুর ছোবলে ধ্বংস হয়ে এর পর ভালোমন্দ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে ‘আলোচনা’-এর পর আবার তা চাপাপড়ে পুনরাবৃত্তির যে চক্রের বেড়াজালে আমরা আবদ্ধ এটা থেকে বেরিয়ে আসার কোনো মৌলিক ও কার্যকর চেষ্টা আমাদের নেই।
৭. হাওর উন্নয়ন এবং এর প্রাকৃতিক পরিবেশ সহায়ক একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও কার্যকর করার কোনো উদ্যোগ প্রকৃতপক্ষে আজো নেয়া হয়নি। ‘হাওর উন্নয়ন বোর্ড’ গঠন করে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও বাস্তবসম্মত পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং একটি প্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যমে অর্থ ব্যয়সহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি বহু পুরনো। ১৯৭৭ সালে হাওর উন্নয়ন বোর্ড নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হলেও বাস্তবে এর কোনো কাজ হয়নি। নামমাত্র এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান এখনো অর্থহীন ও অকার্যকর।
৮. একদিকে হাওরের সার্বিক দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা নেই। অন্যদিকে দেশের সার্বিক উন্নয়ন লক্ষ্য ও পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বিত করে এ ধরনের একটি পৃথক পরিকল্পনা ও বাজেট বরাদ্দ অনুপস্থিত। এজন্য একটি দায়িত্বশীল দক্ষ, সৎ প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশে খাদ্য (ধান) উন্নয়ন বৃদ্ধি এবং ঘাটতি পূরণ, এমনকি উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদনের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বিশেষ সুযোগ ও উপাদান এ হাওরেই এখনো নিহিত।
৯. অন্যদিকে হাওরগুলোতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ জমি এখনো অনাবাদি থেকে যায় বলে স্থানীয় কৃষকরা দাবি করছেন। শুষ্ক মৌসুমে সেচের যথেষ্ট ব্যবস্থা করে এই জমিগুলো উৎপাদনের কাজে লাগানো সম্ভব।
১০. এছাড়া যখন বোরো ধান লাগানোর সময় নয়, তখন স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্যান্য ফসল যেমনÑ রবিশস্য প্রভৃতি উৎপাদনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। এজন্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষণার ভূমিকা জরুরি।
১১. বোরো জমিতে চাষাবাদের জন্য যথেষ্ট পানি ধরে রাখা এবং বৈশাখে আকস্মিক বন্যা, পাহাড়ি ঢল, পোকার আক্রমণ, সময়মতো সার, উপযুক্ত বীজ ইত্যাদি বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথেষ্ট পূর্ব থেকে প্রস্তুতি, অর্থ বরাদ্দ, জনবল, আবহাওয়ার পূর্বাভাষ সবই পরিকল্পিতভাবে করে ফসল উৎপাদন থেকে ঘরে তোলা পর্যন্ত নিশ্চিত করতে হবে।
১২. হাওরের পরিবেশের সঙ্গে মানানসই অধিক উৎপাদনশীল বীজ এবং আবহাওয়া, বন্যা, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা প্রভৃতি মোকাবেলা করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সহযোগিতার জন্য গবেষণা এবং সমর্থন প্রয়োজন।
১৩. কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান একটি জরুরি বিষয়। মহাজনের চড়া সুদে ঋণ এবং মাঠের ফসল আগেই বন্দক দিয়ে কৃষকের যে দুর্ভোগ ও ক্ষতির সম্মুখীন হয় তার প্রতিকার করা জরুরি। সরকারি ভর্তুকির বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে। ভর্তুকি দিয়ে যে উৎপাদন হবেÑ তা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কেনার জন্য ডলার এবং উচ্চমূল্য ও অন্যান্য ঝুঁকির তুলনায় অনেক সহজ এবং কৃষক ও কৃষিবান্ধব।
১৪. বোরো ফসল রক্ষার জন্য যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন, বাঁধ নির্মাণের জন্য তা সময়মতো পাওয়া যায় না, অসময়েও যা পাওয়া যায়, তাও খুবই অপ্রতুল, এতে ফসল রক্ষা করা সম্ভব হয় না। সেসঙ্গে অপচয়, দুর্নীতি ও লুটপাট তো আছেই। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সিলেটে গত বছর বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪৫ লাখ টাকা; কিন্তু এসেছে মাত্র ২৭ লাখ টাকা। সুনামগঞ্জের ১০টি উপজেলার ১ লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান রক্ষায় বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬০ কোটি টাকা। কিন্তু পাওয়া গেছে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। জানা যায়, গত ১৫ বছরে শুধু সুনামগঞ্জ জেলায় বাঁধ নির্মাণ আর সংস্কার করতে ২০ কোটি টাকা চুরি-দুর্নীতি হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং তাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জন্য প্রতিবছরের বাজেটে বিরাট অঙ্কের টাকা বরাদ্দ থাকে। হাওরের জন্য পৃথক বা সুনির্দিষ্ট করা বিশেষ থাকে বলে মনে হয় না। তাদের সুবিধা হলো, বর্ষাকালে পানিতে কাজ, পানিতে মাপ, পানি থাকতেই টাকা ব্যয় এবং পানি শুকিয়ে গেলে ‘সবই ভাসিয়ে নিয়ে গেছে’ ‘আমরা কী করবো’Ñ এই হলো জনগণের অর্থ বরাদ্দ অপচয় ও দুর্নীতি লুটপাটের সাধারণ নিয়ম। এসবই গ্রামের মানুষ জানে এবং আরো সুনির্দিষ্ট করে জানে। অনেক রসাত্মকভাবে তারা বলতেও পারে।
১৫. আমি সপ্তম সংসদের সদস্য থাকার সময় আমার এলাকায় হাওর উন্নয়নের জন্য বহু চেষ্টা-তদবির করে উচ্চ পর্যায়ের বড় বড় প্রকৌশলীদের মুডিয়া হাওর, দামড়ী হাওর, হাকালুকি (আংশিক) হাওর প্রভৃতি এলাকায় নিয়ে গিয়ে জনগণের মতামত তাদের সামনে প্রকাশ করিয়ে কিছু পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণের চেষ্টা করি। কিন্তু এতো বিলম্বে তা বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন হয় যে, ততোদিনে আমার সদস্যপদের মেয়াদই শেষ হয়ে যায়। কিছু ‘নির্ধারিত বিশেষ লোক’ অন্যভাবে এসব অর্থ তাদের প্রয়োজনমতো কাজে লাগিয়ে নিয়েছে বলে সবাই জানে, হাওরের কিছুই হয়নি।
১৬. হাওর বা বিলের কোনো এলাকা দিয়ে যদি উন্নয়নের জন্য কোনো পরিকল্পনা গ্রহণের এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সাহায্যের জন্য মন্ত্রণালয়ের ঘরে ঘরে ঘোরেন তাহলে কতো যে বিচিত্র অভিজ্ঞতা ও বিরক্তিকর মজা পাবেন, তার একটি উদাহরণ দিই। হাওরের কোনো বিলে যদি খাসজমি ভূমিহীনদের দেয়ার জন্য বা মৎস্যজীবীকে মাছ চাষ, মাছ ধরা প্রভৃতি কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা করে দিতে চেষ্টা করে তাহলে আইনি পথে তা করা প্রায় অসম্ভব। তারপর আরো মজার বিষয় হলো, একই বিলে বা একই জমিতে অর্ধডজন মন্ত্রণালয়ের মালিকানা ও কর্তৃত্বের দৌরাত্ম্য। আপনার ঘুরতে ঘুরতে ধর্যচ্যুতি পর্যন্ত টিকে থাকার পর তবেই আপনি নিষ্ক্রান্ত হবেন। একই বিল বা জমিতে ভূমির মালিক ভূমি মন্ত্রণালয়, পানির মালিক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ধান বা ফসলের মালিক কৃষি মন্ত্রণালয়, মাছের মালিক মৎস্য মন্ত্রণালয়, পশু-হাঁস-পাখির মালিক পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়, গাছ ও বনের মালিক বন মন্ত্রণালয়Ñ এসবই হাওরের স্বাভাবিক পরিবেশ ও সম্পদ। এসবকে অর্থাৎ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং ক্ষমতাবান আমলা ও সংশ্লিষ্টদের একমত করে কোনো কাজ করার ঝক্কি দয়া করে একটিবার উপলব্ধি করার চেষ্টা করেন প্রিয় পাঠক। সেসঙ্গে কোনো এলাকায় বালু বা পাথর যদি থাকে, তবে তো খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ও আপনাকে আটকাবে। এখন অনুমান করুন এতো জটিলতার মধ্যে সাধারণ মানুষ বা কৃষক হাওরের সম্পদ উন্নয়ন ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন বাড়াবে কী করে, নিজেইবা টিকে থাকবে কিভাবে। তার সঙ্গে সারা দেশের জনগণের একটু দয়া প্রার্থনা করে একটিবার বিচার করতে বলিÑ যদিও দু’চারজন এমপি পাঁচ বছর ধরে এ ধরনের হাজারটা কাজের পেছনে ঘোরেন, তাহলে তাদের ‘টাকা মারার’ সময়টা থাকে কোথায়? সব সংসদেই খুঁজলে হয়তো এমন দু’চারজন ‘বোকা’ এমপি পাওয়া যাবে।
১৭. হাওরের বিলগুলোতে এবং সাধারণভাবে খাল-জলাশয় বা যেখানেই পানি সেখানেই মাছ। আমাদের ছোটবেলা হাওরে সর্বত্র যে মাছ দেখেছি, আজ তা নতুন প্রজন্মের কাছে অবিশ্বাস্য গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। কোনো পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধি ও প্রকৃত প্রটেকশন না থাকায় দুনিয়ার সবচেয়ে মিষ্টি পানির সুস্বাদু মাছ আজ অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, ডাকিরা, বিলুপ্তির দিন গুনছে। লাখ লাখ মৎস্যজীবী আজ অসহায়, আয়-রোজগারহীন। শহরের টাকাওয়ালারা বিল দখল করে মেশিন লাগিয়ে পানি সেচে মাছের বংশ শেষ করে দিচ্ছে। এমনকি মাটি খুঁড়ে কাদার নিচে আশ্রয় নেয়া মাছগুলো খুঁজে বের করে সমূলে বংশ ধ্বংস করে দিচ্ছে।
১৮. বর্ষাকালে পানিতে সবকিছুই ভেসে যায়। প্রচ- ঢেউয়ের হাত থেকে বাড়িঘর রক্ষা করাও হাওর অঞ্চলের মানুষের এক বড় অস্তিত্বের সংগ্রাম। আবার শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে বিল-খাল-জলাশয় শুকিয়ে যায়। পানি পাওয়া যায় না সেচের জন্য। মাছ নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে না পানির অভাবে। এ বিশাল পরিমাণ মিষ্টি পানি প্রতিবছর আমাদের বর্ষাকালে সবই ভাসিয়ে নিয়ে যায় এবং শুষ্ক মৌসুমে হাহাকার। এর জন্য আমরা কোনো ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টাও কী শুরু করতে পারি না? খাল-বিল-নদী-জলাশয় খনন করেও তো শুরু করা যেতে পারে।
১৯. এ পৃথিবীতে মোট যতো পানি আছে, তার ৯৭.৫ ভাগ লবণাক্ত অর্থাৎ ব্যবহারের অনুপযোগী। বাকি ২.৫ ভাগের ১ ভাগ মানুষের ব্যবহার-উপযোগী। ১.৫ ভাগ বরফ হিমবাহে আবৃত। তাই এই ১ ভাগ মিষ্টি পানি আমাদের মানব জাতির জন্য কতো গুরুত্বপূর্ণÑ তা ব্যাখ্যার দরকার নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্য, এ অফুরন্ত মিষ্টি পানি আমরা কাজে লাগাতে পারি না, বরং বন্যায় প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত হই। এ পানি আমাদের দেশের ওপর দিয়ে গিয়ে সমুদ্রের লবণাক্ত পানির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। এ পানি ধরে রাখা, সারা বছর ব্যবহার করার কোনো পরিকল্পনা তো আমাদের নেই। অন্তত বিল, খাল, নদী, জলাশয়গুলো কিছুটা হলেও খনন করে এ পানি ধরে রাখতে পারলে আমরা শুষ্ক মৌসুমে ফসল ফলাতে পারি, মাছ চাষ ও প্রাকৃতিক মাছ রক্ষায় তা সহায়ক হতে পারে।
২০. হাওরের হাজার প্রজাতির মাছের মধ্যে সীমিত কয়েকটি প্রজাতি এখনো বৈরী প্রাকৃতিক পরিবেশ ও লোভী মানুষের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক নিয়মে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। শীতকালে শত শত প্রজাতির অতিথি পাখির কথা বাদ দিলেও আমাদের হাওরগুলোতে অসংখ্য প্রজাতির স্থানীয় পাখিতে ছিল ভরা। জীববৈচিত্র্যের নয়নাভিরাম সেই দৃশ্য এখন বলতে গেলে প্রায় অনুপস্থিত। চিহ্ন সীমিত সংখ্যক প্রজাতির পাখি এখনো টিকে আছে। এছাড়া নানা ধরনের জলজ ও উভচর প্রাণী বিলুপ্ত প্রায়।
২১. হাওরগুলোতে গরু ও মহিষ ছিল প্রচুর। গরু-মহিষের জন্য গোচারণ ভূমি নেই। খাদ্য নেই। বর্ষাকালে দাঁড়ানোর মতো শুকনো কোনো জায়গা থাকে না।
২২. হাওরে বহু ধরনের গাছ ও প্রাকৃতিক বন ছিল। এসব বনে পাখিসহ নানা ধরনের প্রাণীর আশ্রয় ও বাসস্থান ছিল। বর্ষাকালে মাছের প্রজননের জন্য ছিল সহায়ক। মানুষের জন্য কাঠ এবং নানা প্রয়োজনে এসব গাছ ও বন ছিল উপকারী। এসবই আজ বিলুপ্ত। পানিতে বা শুকনায় জন্মায় এমন ধরনের গাছ ও বন যেমন : জারুল, হিজল, তমাল, বেত প্রভৃতি এখনো পরিকল্পিতভাবে লাগানো ও রক্ষণাবেক্ষণ যে জরুরি, তা কি কারো মাথায় আছে।
২৩. হাওর অঞ্চল সবদিক থেকে পশ্চাৎপদ যেমন : শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রভৃতি। শিক্ষার হার কম। এছাড়া প্রাথমিক স্তরে ঝরে পড়ার হার, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ এখানে। রাস্তাঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থা অবর্ণনীয়। চিকিৎসাসেবা দু®প্রাপ্য। বর্ষার প্লাবনের সময়ে কোনো কর্মসংস্থান থাকে না, আশ্বিন-কার্তিকে নিদান-অভাব-মঙ্গা নিত্য সহচর। এ রকম সময়ে এ হাওরের মানুষদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য কাজ ও খাদ্য সাহায্য প্রয়োজন। এরা বেঁচে থাকলে যথাসময় ফসল ফলিয়ে জাতিকে এবারের মতো বারবার বাঁচিয়ে দেবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অমানবিক পশ্চাৎপদ পরিস্থিতির পরিবর্তন জাতীয় পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে সেখানে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করা প্রয়োজন।
২৪. বর্তমান যুগে শুধু আমাদের দেশ নয়, সারা বিশ্বের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা উপলব্ধি করছিÑ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে, নিজস্ব ব্যবস্থায় তা নিশ্চিত করা ছাড়া প্রকৃত কোনো স্বাধীনতা বা নিরাপত্তার সুযোগ আমাদের নেই। আমরা চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকভাবে পরনির্ভরশীল, অনেকের স্বার্থও জড়িত। তাই ঋণগ্রস্ত হয়ে বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী কিছু সংস্থার পরামর্শের বাইরে যাওয়ার কথা বিবেচনা করতেও প্রস্তুত নই। কিন্তু আমাদের জনগণ, যারা তাদের অন্তর দিয়ে দেশের জন্য, মানুষের জন্য এবং নিজের জন্য খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সম্পদ সৃষ্টি করতে সাধারণ শ্রম দিয়ে যাচ্ছে, তাদের সহায়তা এবং আমাদের নিজস্ব সম্পদ ও উপাদানগুলো নিজেদের চাহিদা ও বাস্তবতার সঙ্গে সমন্বয় করে আধুনিক জ্ঞান কাজে লাগিয়ে যদি আমরা অগ্রসর হতে পারি তাহলেÑ আমাদের হাওরগুলোই আরো বহু বছর ধরে মাছ-ভাতের জোগান দিতে সক্ষম হবে।
২৫. অথবা আমাদের অদূরদর্শিতা, অদক্ষতা, লোভ-স্বার্থপরতা, প্রকৃতি ও পরিবেশকে অবহেলা ও ইচ্ছাকৃতভাবে (জেনে, না জেনে) ধ্বংস করা, সর্বোপরি বিশ্ব পরিবেশ দূষণ ও পরিবেশ বিপর্যয়ের এ মহাদুর্যোগের মধ্যে আমাদের ভবিষ্যৎ কী হবে? দুনিয়ার ব্যবহারযোগ্য মিঠা পানির এক উল্লেখযোগ্য অংশ আমাদের দেশের ওপর দিয়ে বন্যায় প্লাবিত করে সমুদ্রে চলে যাচ্ছে প্রতিবছর। আর শুষ্ক মৌসুমে আমরা হাহাকার করছি এ পানির জন্য। এ পানির অভাবে আমাদের খাদ্যশস্য, মাছ, পশুপাখি, খাল-বিল, নদীনালা, বন, গাছপালা সবই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, আমরা কি তা দূর থেকে দেখে দেখে শুধু ‘বাণী’ দিয়ে যাবো, নাকি বাস্তবে কিছু করার মতো উপলব্ধি ও সক্রিয়তা অর্জন করবো।
২৬. হাওরবাসীর সঙ্গে আমি কাজ করি। তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক একাত্ম। আমি তাদের জীবন ও আকাক্সক্ষার একটি মাত্র অংশ এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
নুরুল ইসলাম নাহিদ: রাজনীতিক ও কলাম লেখক।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
About Me
- Participatory Research & Action Network- PRAN
- প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।
Krishi Khobor
-
▼
2008
(356)
-
▼
September
(203)
- চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের চাষাবাদ অনিশ্চিত
- দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় সারের দাবিতে কৃষক বি...
- ব্যাংককে বাধ্যতামূলক আবর্তক শস্য ঋণ দিতে হবে
- পাবনায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাশরুম চাষ শুরু
- আলুর বাজারে ধস : জয়পুরহাটে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মাথা...
- নড়াইলে সারের দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
- বাজারে আসছে হাইব্রিডের নতুনজাত এসএল ৮ ।। ফলন হেক্ট...
- অবশেষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকই নির্মাণ করলেন কালভার্ট
- এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা মঠবাড়িয়ায় জোয়ারের পানি...
- আরও দুটি সারকারখানা হচ্ছে দেশে
- কালীগঞ্জের পোল্ট্রি শিল্পে চলছে ক্রান্তিকাল
- বকশীগঞ্জে ৫ টন ভেজাল সার আটক
- কলার চারা রোপণের সেরা সময় আশ্বিন মাস
- মরিচের সঙ্গে ভুট্টার আবাদ
- কৃষির ওপর নির্ভর করে মঙ্গা মোকাবিলার চেষ্টা
- জীবননগরে ধানক্ষেতে ছত্রাক : কৃষক দিশেহারা
- এবার ওরা ঘুরে দাঁড়াবেই
- সিদ্ধান্ত ভালো কিন্তু ছিদ্র বন্ধ হবে তো?
- রাজশাহীর ৮৮ ডিলারের গুদামে ১১ কোটি টাকার সার অবিত্...
- বকশীগঞ্জে ৫ টন ভেজাল সার আটক : তিনদিনেও মামলা হয়নি
- পীরগাছায় আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ
- রাজিবপুরে আমন চারা সংকট
- সন্তোষজনক নয় ভেষজ উদ্ভিদ চাষাবাদের অগ্রগতি
- অন্যের জমিতে ধান ও সবজি চাষ করে মুকুল এখন স্বাবলম্বী
- ভেড়ামারায় জি.কে. প্রকল্প এলাকার কৃষকরা সেচ ও সার স...
- এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ হেমেন্দ্র দত্তের কৃষি খামার এবা...
- গঙ্গাচড়ায় মঙ্গা মোকাবেলায় ব্রিধান ৩৩ চাষে কৃষকদের ...
- উত্তরাঞ্চলে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সুযোগ না থ...
- চিংড়ি শিল্প রক্ষায় সরকারী উদ্যোগ প্রয়োজন
- পরিবেশ বান্ধব চাষাবাদ
- সোনারগাঁয়ে বিষাক্ত বর্জ্যে ১০০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট
- কর্মসৃজন কর্মসহৃচি : নাজিরপুর কচুরিপানা ব্যবহারে ক...
- জামালপুরে বন্যার পর ফের আমন রোপণের উদ্যোগ কৃষকের ঘ...
- শৈলকূপায় ২২০ বস্টøা সারসহ আটক ৩
- ফুলবাড়িয়ায় আনারস চাষে হরমোন প্রয়োগ আকার রং বদলে গে...
- কৃষিতে জৈব সারের প্রয়োজনীয়তা ও বাণিজ্যিক প্রসারে জ...
- বিলুপ্তির পথে কৃষিবান্ধব জলজ প্রাণী শামুক
- কম্পিউটারে উদ্ভিদের রোগ নির্ণয়
- চাল উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে নতুন সংস্করণ ‘ভ¬াদ...
- কুষ্টিয়ায় কচু নিয়ে চাষীরা বিপাকে
- জাম্বুরা: পাহাড়ে আর্থিক সাফল্যের হাতছানি
- কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা
- নীলফামারীতে দাম পড়ে যাওয়ায় আলু নিয়ে কৃষক ও ব্যবসায়...
- চুয়াডাঙ্গা পান বরজে পচন
- কৃষি ও কৃষকের সুখবর কোথায়
- রংপুরে পাট কেনায় সাড়া নেই
- গলাচিপায় মাছ ধরার টোপ ‘বিষ’
- ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষি শ্রমিকদের আগাম শ্রম বিক্রি
- বিএডিসিতে ধানবীজ সরবরাহ মহৃল্য না পেয়ে বিপাকে জামা...
- বান্দরবানে সারের দাবিতে মিছিল
- ভরসা কোল্ড ষ্টোরের পঁচে যাওয়া আলুর ক্ষতিপূরণ দেওয়া...
- রিকশাচালকদের কৃষি উৎপাদনে নিয়োজিত করুন
- কলারোয়ায় পাচারকালে সার আটক ।। গ্রেফতার ১
- নাটোরের হাজার পুকুরের গ্রাম বদলে দিয়েছে অর্থনীতি
- কৃষকের ভাগ্যোন্নয়ন : সুদূর পরাহত নয়
- কৃষিঋণ: কৃষির জন্য খুবই ইতিবাচক একটি সিদ্ধান্ত
- পুঠিয়ায় অবৈধ পাওয়ার ক্রাসার দিয়ে আখ মাড়াই
- কৃষিঋণ বিতরণ
- চাষি ক্ষেতে চালাইছে হাল
- কুড়িগ্রামে নকল সার কারখানার সন্ধান
- কৃষক
- সব ব্যাংকে কৃষিঋণ বিতরণের নির্দেশ বর্গা ও প্রান্তি...
- কৃষিখাতে ঋণের জোগান বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশংসনীয় সি...
- আপদকালীন ধানচাষ জনপ্রিয় হচ্ছে মাগুরার কৃষকরা এবার ...
- সব ব্যাংকে কৃষিঋণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বর্গাচাষীর...
- ওলকপি
- কালীগঞ্জে নার্সারির ব্যবসায় আজ অনেকে স্বাবলম্বী
- নারিকেল বীজ বপনের এখনই সময়
- মানবসম্পদ উন্নয়নে চাই কৃষি শিক্ষা
- আদিবাসীদের জীবন, সংগ্রাম ও জীবিকায় কৃষি
- রিকশাচালকদের কি কৃষি উৎপাদনে নিয়োজিত করা যায় না?
- সব ব্যাংকের জন্য কৃষিঋণ দেয়া বাধ্যতামূলক
- দেশি বিদেশি সব ব্যাংকের জন্য কৃষি ঋণ বাধ্যতামূলক
- বিএমডিএ ২০ লাখ তাল ও খেজুর বীজ রোপণ করবে উত্তরাঞ্চলে
- মাধবপুরে বিপুল পরিমাণ ভেজাল সার ও কীটনাশক উদ্ধার
- সারের দাবিতে ফের কৃষকদের বিক্ষোভ ফরিদপুর ভাটিয়াপাড়...
- প্রসঙ্গ কুশি ধান : লোকবিজ্ঞান ও কৃষি গ্রামীণ অর্থনীতি
- লাখ টন সার কেনার সিদ্ধান্ত
- সারের অভাবে চুয়াডাঙ্গায় শীতকালীন আগাম সবজি চাষ হুম...
- সব ব্যাংকেরই কৃষিঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক
- সিডর বিধ্বস্ত পিরোজপুরে পেয়ারা চাষীদের দীর্ঘশ্বাস ...
- ফরিদপুরে সারের দাবিতে দিনভর বিক্ষোভ ভাংচুর, বিএস অ...
- মধুপুরের কলার রাজ্য
- হবিগঞ্জে নকল সার কারখানা : ৫ হাজার বস্টøা ভেজাল সা...
- সার সংকটে দিশেহারা বোয়ালমারীর কৃষক ফের রাস্টøায়, গ...
- মংলাবন্দরে চরায় আটকে যাওয়া সারবোঝাই জাহাজ ২ সপ্তাহ...
- দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রবি মওসুমে ৮ লক্ষাধিক হেক্টর জম...
- ভারতীয় চোরাচালানকৃত ভেজাল সারে বাজার সয়লাব
- আলুবীজ আমদানি সম্পর্কে
- ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে মিজান এখন কোটিপতি
- গুদাম থেকে ৮৪ বস্তা আটক ।। বোয়ালমারীতে সারের দাবিত...
- চট্টগ্রাম বন্দরে ৫ শ’ টন সার নিয়ে জাহাজডুবি
- কাসলং অরণ্য কোথায় গেল
- কৃষি অফিস বলছে, করার কিছু নেই মেহেরপুরে আউশক্ষেতে ...
- কোথায় লাগাবেন কি গাছ
- ২ লাখ টাকা পুঁজিতে কোটিপতি
- দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কুমির চাষে সাফল্য
- বালাই দমনে দরকার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা
- শাক সবজি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা
- ভেষজ: গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ উদ্ভিদ অর্জুন হৃদরোগে অত্য...
-
▼
September
(203)
No comments:
Post a Comment