০৮.০৯.০৮
।।ইত্তেফাক।। মাটি ও মানুষের কৃষি
শুধু ধান চাষ করে দেশের খাদ্য ঘাটতি মেটানো সম্ভব নয়। তাই এর পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পের দিকে আমাদের লক্ষ্য দিতে হবে। কিন্তু উন্নয়নের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা থাকলেও সাধ্য নেই অর্থের অভাবে। খাদ্য সংকট দেশ ও বিদেশে চরম পর্যায়ে। তাই কৃষি শিল্পের উন্নয়ন খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। মরণঘাতি এভিয়ান ইন্ফ্লুয়েনজা (বার্ড ফ্লু) এর কবলে পোল্ট্্ির শিল্প আজ ধ্বংসের মুখে। সম্ভাবনাময় এই শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি আমাদের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তাই এ সময় ডেইরি শিল্পের উন্নয়ন ও পরিবর্ধন আমাদের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে দেখা দিয়েছে। অতি অল্প সময়ে এ শিল্পের খানিকটা উন্নতি হলেও সার্বিক ও আর্থিকভাবে সরকারি ও ব্যক্তিগত সচেতনতা ও সহযোগিতায় এ শিল্পের পরিপূর্ণ উন্নয়ন সম্ভব। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারি ও অবস্ট্রেটিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামছুদ্দিন এর “ফিল্ড ফার্র্টিলিটি ক্লিনিক” বাংলাদেশে
র দুধের সমস্যা সমাধানে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের পশু সম্পদকে এ প্রযুক্তির আওতাধীনে কৃত্রিম প্রজনন করালে বছরে আরও দু’লক্ষ বাছুর বেশি পাওয়া সম্ভব এবং গড়ে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি হবে যা অব্যাহত থাকলে গিগগিরই বিদেশ থেকে প্রতি বছর ৮০০ কোটি টাকার দুধ আমদানি বন্ধ করা সম্ভব। ফলে দেশ দুধে স্বয়ংসম্পুর্ণ হবে। এমনকি দেশে দুধের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে ও দুধ রফতানি করা যাবে, যাতে দেশের আর্থিক সাশ্রয় হবে ১২০০ কোটি টাকার ও বেশি ।
এই প্রযুক্তিটি “ফিল্ড ফার্র্টিলিটি ক্লিনিক” এ শতভাগ সাফল্যেও পরে বর্তমানে মাঠ পর্যায়েও সাফল্যের সাথে কাজ করছে। ‘ইউএসডিএ’ এর আর্থিক সহায়তায় “ফিল্ড ফার্র্টিলিটি ক্লিনিক” প্রকল্পটি ১৯৯৫ সালে প্রথম শুরু হয় এবং ২০১১ সাল পর্যš- এটি চলবে। এটি মূলত মাঠ পর্যায়ে কয়েকটি নিয়মে চলে-
দুধের প্রজেস্টেরন ইলাইযা (এনজাইম-লিংক্ড ইমিউনো সরবেন্ট এসে) পদ্ধতিতে পরিমাপ করে গাভী গর্ভবতী কিনা তা নির্ণয় করা, গাভী নিয়মিত গরম হয় কিনা তা নির্ণয় করা, উন্নত ও উর্বর ষাড় নির্বাচন করা, গাভীর গর্ভধারনের ক্ষমতা নির্ণয় করা, গর্ভধারনের হার বৃদ্ধি করা, গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং ভেটেরিনারিয়ানের সাহায্যে গাভীর নিয়মিত পরিচর্যা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান।
এ প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহের কানিহারি, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, চট্্রগ্রাম ও সাতক্ষীরা জেলায় ১০০০টি ছোট খামারীর মাঝে চার জন ভেটেরিনারিয়ান এর সাহায্যে এই সেবা দেয়া হয়। তারা প্রতিদিন ১০টি করে ২৫ দিনে ২৫০টি ফার্ম পরিদর্শন করবে। যার ফলস্বরূপ মাত্র কয়েক বছরেই গড়ে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় ১ কেজি। শুধু তাই নয় গরুর মতো ছাগলেও এ প্রযুক্তিতে বাচ্চা উৎপাদন করা যায়। যা ইতোমধ্যে ব্রাকের সহায়তায় এ পর্যš- ৫০ হাজার ছাগলের কৃত্রিম প্রজনন করানো হয়েছে এবং সফলতা পাওয়া গেছে প্রায় শতভাগ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ময়মনসিংহের কানিহারিতে মহিষে কৃত্রিম প্রজনন সফলতার সাথে শুরু হয়েছে।
এই পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য উন্নত ষাড়ের শুক্রাণু ব্যবহার ও সুস্থ গাভীতে প্রয়োগে করতে পারলে বছরে বাচ্চা উৎপাদন দু’লক্ষেরও বেশি পাওয়া সম্ভব। সেজন্য ইলাইযা পদ্ধতিতে দুধে প্রজেষ্টেরন হরমোন পরিমাপ করে গাভীর গর্ভ ও রোগ নির্ণয় করা হয়। বাকৃবির “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক”এ উক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে শতভাগ সাফল্য পেয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ব্যাপকহারে এ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে শিগগিরই ডেইরি শিল্পের কাঙ্খিত স্বপ্নে পৌঁছানো সম্ভব।
দুধ “আদর্শ খাদ্য” হিসাবে সবর্জন স্বীকৃত। আমাদের দেশে এর প্রকট সংকট রয়েছে। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে আমাদের রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই ডেইরি শিল্পের উন্নতি ছাড়া সামনে চলা আমাদের জন্য যথারীতি বিপদ সংকেত। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে গ্রীষ্মে পিপাসা মেটানোর জন্য মিনারেল ওয়াটার ও বিভিন্ন ঠাণ্ডা পানীয়র বাজারমূল্য প্রায় ১কেজি দুধের মূল্যের কাছাকাছি। অথচ এসব পানীয়তে পুষ্টি পরিপুরক হিসাবে তেমন কিছু নেই। কিন্তু পরিশুদ্ধ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে যদি এসব পানীয় এর বিকল্প হিসাবে গরুর দুধ বাজারে ছাড়া হতো তাহলে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান এবং স্বাস্থ্যবান জাতি গড়তে পারতাম। এ চিš-ায় “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা বজায় থাকলে খুব শিগগিরই বাংলাদেশ এ শিল্প থেকে বছরে আয় করবে শত কোটি ডলার।
“ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” এর প্রযুক্তির প্রসঙ্গে প্রফেসর ড. শামছুদ্দিন বলেন- বাংলাদেশে ডেইরি উন্নয়নের সুন্দর সম্ভবনা রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে খামারীদের সংগঠিত করে ও নতুন নতুন ডেইরি ফিল্ড ও মিল্ক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলে একদিকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি সম্ভব এবং অন্যদিকে দেশে দুধের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা অসম্ভবের কিছু নয়।
এজন্য ইতোমধ্যে খামারীদের সংগঠিত করা হয়েছে, খামারীদের উৎপাদনমুখী সেবা ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, অল্পদিনের মধ্যেই গরু ও মহিষের জন্য সময়মত ও ব্যাপকহারে কৃত্রিম প্রজনন শুরু করা হবে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দুটি সমিতি নিবন্ধিত করা হয়েছে এবং সাতক্ষীরায় খামারীগণ সমিতির দুধ ব্রাকের আড়ংকে দেয় যার ফলে আড়ং লিটার প্রতি ১.৪০ টাকা “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” কে দিচ্ছে যা দিয়ে খামারের সকল গরুর প্রয়োজনীয় টিকা ও কৃমিনাশক সরবরাহ করা হয় এজন্য খামারীদের “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” এর সেবার খরচ বহুলাংশে পরিশোধ করার সুযোগ পাচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে স¤প্রসারণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা আর্থিক ও সার্বিকভাবে একাš- কাম্য।
- মোঃ শাহীন আলম, ময়মনসিংহ শুধু ধান চাষ করে দেশের খাদ্য ঘাটতি মেটানো সম্ভব নয়। তাই এর পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পের দিকে আমাদের লক্ষ্য দিতে হবে। কিন্তু উন্নয়নের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা থাকলেও সাধ্য নেই অর্থের অভাবে। খাদ্য সংকট দেশ ও বিদেশে চরম পর্যায়ে। তাই কৃষি শিল্পের উন্নয়ন খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। মরণঘাতি এভিয়ান ইন্ফ্লুয়েনজা (বার্ড ফ্লু) এর কবলে পোল্ট্্ির শিল্প আজ ধ্বংসের মুখে। সম্ভাবনাময় এই শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি আমাদের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তাই এ সময় ডেইরি শিল্পের উন্নয়ন ও পরিবর্ধন আমাদের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে দেখা দিয়েছে। অতি অল্প সময়ে এ শিল্পের খানিকটা উন্নতি হলেও সার্বিক ও আর্থিকভাবে সরকারি ও ব্যক্তিগত সচেতনতা ও সহযোগিতায় এ শিল্পের পরিপূর্ণ উন্নয়ন সম্ভব। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারি ও অবস্ট্রেটিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামছুদ্দিন এর “ফিল্ড ফার্র্টিলিটি ক্লিনিক” বাংলাদেশের দুধের সমস্যা সমাধানে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের পশু সম্পদকে এ প্রযুক্তির আওতাধীনে কৃত্রিম প্রজনন করালে বছরে আরও দু’লক্ষ বাছুর বেশি পাওয়া সম্ভব এবং গড়ে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি হবে যা অব্যাহত থাকলে গিগগিরই বিদেশ থেকে প্রতি বছর ৮০০ কোটি টাকার দুধ আমদানি বন্ধ করা সম্ভব। ফলে দেশ দুধে স্বয়ংসম্পুর্ণ হবে। এমনকি দেশে দুধের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে ও দুধ রফতানি করা যাবে, যাতে দেশের আর্থিক সাশ্রয় হবে ১২০০ কোটি টাকার ও বেশি ।
এই প্রযুক্তিটি “ফিল্ড ফার্র্টিলিটি ক্লিনিক” এ শতভাগ সাফল্যেও পরে বর্তমানে মাঠ পর্যায়েও সাফল্যের সাথে কাজ করছে। ‘ইউএসডিএ’ এর আর্থিক সহায়তায় “ফিল্ড ফার্র্টিলিটি ক্লিনিক” প্রকল্পটি ১৯৯৫ সালে প্রথম শুরু হয় এবং ২০১১ সাল পর্যš- এটি চলবে। এটি মূলত মাঠ পর্যায়ে কয়েকটি নিয়মে চলে-
দুধের প্রজেস্টেরন ইলাইযা (এনজাইম-লিংক্ড ইমিউনো সরবেন্ট এসে) পদ্ধতিতে পরিমাপ করে গাভী গর্ভবতী কিনা তা নির্ণয় করা, গাভী নিয়মিত গরম হয় কিনা তা নির্ণয় করা, উন্নত ও উর্বর ষাড় নির্বাচন করা, গাভীর গর্ভধারনের ক্ষমতা নির্ণয় করা, গর্ভধারনের হার বৃদ্ধি করা, গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং ভেটেরিনারিয়ানের সাহায্যে গাভীর নিয়মিত পরিচর্যা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান।
এ প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহের কানিহারি, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, চট্্রগ্রাম ও সাতক্ষীরা জেলায় ১০০০টি ছোট খামারীর মাঝে চার জন ভেটেরিনারিয়ান এর সাহায্যে এই সেবা দেয়া হয়। তারা প্রতিদিন ১০টি করে ২৫ দিনে ২৫০টি ফার্ম পরিদর্শন করবে। যার ফলস্বরূপ মাত্র কয়েক বছরেই গড়ে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় ১ কেজি। শুধু তাই নয় গরুর মতো ছাগলেও এ প্রযুক্তিতে বাচ্চা উৎপাদন করা যায়। যা ইতোমধ্যে ব্রাকের সহায়তায় এ পর্যš- ৫০ হাজার ছাগলের কৃত্রিম প্রজনন করানো হয়েছে এবং সফলতা পাওয়া গেছে প্রায় শতভাগ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ময়মনসিংহের কানিহারিতে মহিষে কৃত্রিম প্রজনন সফলতার সাথে শুরু হয়েছে।
এই পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য উন্নত ষাড়ের শুক্রাণু ব্যবহার ও সুস্থ গাভীতে প্রয়োগে করতে পারলে বছরে বাচ্চা উৎপাদন দু’লক্ষেরও বেশি পাওয়া সম্ভব। সেজন্য ইলাইযা পদ্ধতিতে দুধে প্রজেষ্টেরন হরমোন পরিমাপ করে গাভীর গর্ভ ও রোগ নির্ণয় করা হয়। বাকৃবির “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক”এ উক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে শতভাগ সাফল্য পেয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ব্যাপকহারে এ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে শিগগিরই ডেইরি শিল্পের কাঙ্খিত স্বপ্নে পৌঁছানো সম্ভব।
দুধ “আদর্শ খাদ্য” হিসাবে সবর্জন স্বীকৃত। আমাদের দেশে এর প্রকট সংকট রয়েছে। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে আমাদের রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই ডেইরি শিল্পের উন্নতি ছাড়া সামনে চলা আমাদের জন্য যথারীতি বিপদ সংকেত। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে গ্রীষ্মে পিপাসা মেটানোর জন্য মিনারেল ওয়াটার ও বিভিন্ন ঠাণ্ডা পানীয়র বাজারমূল্য প্রায় ১কেজি দুধের মূল্যের কাছাকাছি। অথচ এসব পানীয়তে পুষ্টি পরিপুরক হিসাবে তেমন কিছু নেই। কিন্তু পরিশুদ্ধ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে যদি এসব পানীয় এর বিকল্প হিসাবে গরুর দুধ বাজারে ছাড়া হতো তাহলে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান এবং স্বাস্থ্যবান জাতি গড়তে পারতাম। এ চিš-ায় “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা বজায় থাকলে খুব শিগগিরই বাংলাদেশ এ শিল্প থেকে বছরে আয় করবে শত কোটি ডলার।
“ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” এর প্রযুক্তির প্রসঙ্গে প্রফেসর ড. শামছুদ্দিন বলেন- বাংলাদেশে ডেইরি উন্নয়নের সুন্দর সম্ভবনা রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে খামারীদের সংগঠিত করে ও নতুন নতুন ডেইরি ফিল্ড ও মিল্ক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলে একদিকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি সম্ভব এবং অন্যদিকে দেশে দুধের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা অসম্ভবের কিছু নয়।
এজন্য ইতোমধ্যে খামারীদের সংগঠিত করা হয়েছে, খামারীদের উৎপাদনমুখী সেবা ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, অল্পদিনের মধ্যেই গরু ও মহিষের জন্য সময়মত ও ব্যাপকহারে কৃত্রিম প্রজনন শুরু করা হবে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দুটি সমিতি নিবন্ধিত করা হয়েছে এবং সাতক্ষীরায় খামারীগণ সমিতির দুধ ব্রাকের আড়ংকে দেয় যার ফলে আড়ং লিটার প্রতি ১.৪০ টাকা “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” কে দিচ্ছে যা দিয়ে খামারের সকল গরুর প্রয়োজনীয় টিকা ও কৃমিনাশক সরবরাহ করা হয় এজন্য খামারীদের “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” এর সেবার খরচ বহুলাংশে পরিশোধ করার সুযোগ পাচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে স¤প্রসারণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা আর্থিক ও সার্বিকভাবে একাš- কাম্য।
- মোঃ শাহীন আলম, ময়মনসিংহ শুধু ধান চাষ করে দেশের খাদ্য ঘাটতি মেটানো সম্ভব নয়। তাই এর পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পের দিকে আমাদের লক্ষ্য দিতে হবে। কিন্তু উন্নয়নের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা থাকলেও সাধ্য নেই অর্থের অভাবে। খাদ্য সংকট দেশ ও বিদেশে চরম পর্যায়ে। তাই কৃষি শিল্পের উন্নয়ন খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। মরণঘাতি এভিয়ান ইন্ফ্লুয়েনজা (বার্ড ফ্লু) এর কবলে পোল্ট্্ির শিল্প আজ ধ্বংসের মুখে। সম্ভাবনাময় এই শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি আমাদের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তাই এ সময় ডেইরি শিল্পের উন্নয়ন ও পরিবর্ধন আমাদের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে দেখা দিয়েছে। অতি অল্প সময়ে এ শিল্পের খানিকটা উন্নতি হলেও সার্বিক ও আর্থিকভাবে সরকারি ও ব্যক্তিগত সচেতনতা ও সহযোগিতায় এ শিল্পের পরিপূর্ণ উন্নয়ন সম্ভব। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারি ও অবস্ট্রেটিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামছুদ্দিন এর “ফিল্ড ফার্র্টিলিটি ক্লিনিক” বাংলাদেশের দুধের সমস্যা সমাধানে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের পশু সম্পদকে এ প্রযুক্তির আওতাধীনে কৃত্রিম প্রজনন করালে বছরে আরও দু’লক্ষ বাছুর বেশি পাওয়া সম্ভব এবং গড়ে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি হবে যা অব্যাহত থাকলে গিগগিরই বিদেশ থেকে প্রতি বছর ৮০০ কোটি টাকার দুধ আমদানি বন্ধ করা সম্ভব। ফলে দেশ দুধে স্বয়ংসম্পুর্ণ হবে। এমনকি দেশে দুধের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে ও দুধ রফতানি করা যাবে, যাতে দেশের আর্থিক সাশ্রয় হবে ১২০০ কোটি টাকার ও বেশি ।
এই প্রযুক্তিটি “ফিল্ড ফার্র্টিলিটি ক্লিনিক” এ শতভাগ সাফল্যেও পরে বর্তমানে মাঠ পর্যায়েও সাফল্যের সাথে কাজ করছে। ‘ইউএসডিএ’ এর আর্থিক সহায়তায় “ফিল্ড ফার্র্টিলিটি ক্লিনিক” প্রকল্পটি ১৯৯৫ সালে প্রথম শুরু হয় এবং ২০১১ সাল পর্যš- এটি চলবে। এটি মূলত মাঠ পর্যায়ে কয়েকটি নিয়মে চলে-
দুধের প্রজেস্টেরন ইলাইযা (এনজাইম-লিংক্ড ইমিউনো সরবেন্ট এসে) পদ্ধতিতে পরিমাপ করে গাভী গর্ভবতী কিনা তা নির্ণয় করা, গাভী নিয়মিত গরম হয় কিনা তা নির্ণয় করা, উন্নত ও উর্বর ষাড় নির্বাচন করা, গাভীর গর্ভধারনের ক্ষমতা নির্ণয় করা, গর্ভধারনের হার বৃদ্ধি করা, গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং ভেটেরিনারিয়ানের সাহায্যে গাভীর নিয়মিত পরিচর্যা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান।
এ প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহের কানিহারি, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, চট্্রগ্রাম ও সাতক্ষীরা জেলায় ১০০০টি ছোট খামারীর মাঝে চার জন ভেটেরিনারিয়ান এর সাহায্যে এই সেবা দেয়া হয়। তারা প্রতিদিন ১০টি করে ২৫ দিনে ২৫০টি ফার্ম পরিদর্শন করবে। যার ফলস্বরূপ মাত্র কয়েক বছরেই গড়ে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় ১ কেজি। শুধু তাই নয় গরুর মতো ছাগলেও এ প্রযুক্তিতে বাচ্চা উৎপাদন করা যায়। যা ইতোমধ্যে ব্রাকের সহায়তায় এ পর্যš- ৫০ হাজার ছাগলের কৃত্রিম প্রজনন করানো হয়েছে এবং সফলতা পাওয়া গেছে প্রায় শতভাগ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ময়মনসিংহের কানিহারিতে মহিষে কৃত্রিম প্রজনন সফলতার সাথে শুরু হয়েছে।
এই পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য উন্নত ষাড়ের শুক্রাণু ব্যবহার ও সুস্থ গাভীতে প্রয়োগে করতে পারলে বছরে বাচ্চা উৎপাদন দু’লক্ষেরও বেশি পাওয়া সম্ভব। সেজন্য ইলাইযা পদ্ধতিতে দুধে প্রজেষ্টেরন হরমোন পরিমাপ করে গাভীর গর্ভ ও রোগ নির্ণয় করা হয়। বাকৃবির “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক”এ উক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে শতভাগ সাফল্য পেয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ব্যাপকহারে এ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে শিগগিরই ডেইরি শিল্পের কাঙ্খিত স্বপ্নে পৌঁছানো সম্ভব।
দুধ “আদর্শ খাদ্য” হিসাবে সবর্জন স্বীকৃত। আমাদের দেশে এর প্রকট সংকট রয়েছে। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে আমাদের রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই ডেইরি শিল্পের উন্নতি ছাড়া সামনে চলা আমাদের জন্য যথারীতি বিপদ সংকেত। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে গ্রীষ্মে পিপাসা মেটানোর জন্য মিনারেল ওয়াটার ও বিভিন্ন ঠাণ্ডা পানীয়র বাজারমূল্য প্রায় ১কেজি দুধের মূল্যের কাছাকাছি। অথচ এসব পানীয়তে পুষ্টি পরিপুরক হিসাবে তেমন কিছু নেই। কিন্তু পরিশুদ্ধ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে যদি এসব পানীয় এর বিকল্প হিসাবে গরুর দুধ বাজারে ছাড়া হতো তাহলে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান এবং স্বাস্থ্যবান জাতি গড়তে পারতাম। এ চিš-ায় “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা বজায় থাকলে খুব শিগগিরই বাংলাদেশ এ শিল্প থেকে বছরে আয় করবে শত কোটি ডলার।
“ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” এর প্রযুক্তির প্রসঙ্গে প্রফেসর ড. শামছুদ্দিন বলেন- বাংলাদেশে ডেইরি উন্নয়নের সুন্দর সম্ভবনা রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে খামারীদের সংগঠিত করে ও নতুন নতুন ডেইরি ফিল্ড ও মিল্ক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলে একদিকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি সম্ভব এবং অন্যদিকে দেশে দুধের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা অসম্ভবের কিছু নয়।
এজন্য ইতোমধ্যে খামারীদের সংগঠিত করা হয়েছে, খামারীদের উৎপাদনমুখী সেবা ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, অল্পদিনের মধ্যেই গরু ও মহিষের জন্য সময়মত ও ব্যাপকহারে কৃত্রিম প্রজনন শুরু করা হবে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দুটি সমিতি নিবন্ধিত করা হয়েছে এবং সাতক্ষীরায় খামারীগণ সমিতির দুধ ব্রাকের আড়ংকে দেয় যার ফলে আড়ং লিটার প্রতি ১.৪০ টাকা “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” কে দিচ্ছে যা দিয়ে খামারের সকল গরুর প্রয়োজনীয় টিকা ও কৃমিনাশক সরবরাহ করা হয় এজন্য খামারীদের “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” এর সেবার খরচ বহুলাংশে পরিশোধ করার সুযোগ পাচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে স¤প্রসারণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা আর্থিক ও সার্বিকভাবে একাš- কাম্য।
- মোঃ শাহীন আলম, ময়মনসিংহ শুধু ধান চাষ করে দেশের খাদ্য ঘাটতি মেটানো সম্ভব নয়। তাই এর পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পের দিকে আমাদের লক্ষ্য দিতে হবে। কিন্তু উন্নয়নের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা থাকলেও সাধ্য নেই অর্থের অভাবে। খাদ্য সংকট দেশ ও বিদেশে চরম পর্যায়ে। তাই কৃষি শিল্পের উন্নয়ন খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। মরণঘাতি এভিয়ান ইন্ফ্লুয়েনজা (বার্ড ফ্লু) এর কবলে পোল্ট্্ির শিল্প আজ ধ্বংসের মুখে। সম্ভাবনাময় এই শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি আমাদের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তাই এ সময় ডেইরি শিল্পের উন্নয়ন ও পরিবর্ধন আমাদের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে দেখা দিয়েছে। অতি অল্প সময়ে এ শিল্পের খানিকটা উন্নতি হলেও সার্বিক ও আর্থিকভাবে সরকারি ও ব্যক্তিগত সচেতনতা ও সহযোগিতায় এ শিল্পের পরিপূর্ণ উন্নয়ন সম্ভব। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারি ও অবস্ট্রেটিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামছুদ্দিন এর “ফিল্ড ফার্র্টিলিটি ক্লিনিক” বাংলাদেশের দুধের সমস্যা সমাধানে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের পশু সম্পদকে এ প্রযুক্তির আওতাধীনে কৃত্রিম প্রজনন করালে বছরে আরও দু’লক্ষ বাছুর বেশি পাওয়া সম্ভব এবং গড়ে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি হবে যা অব্যাহত থাকলে গিগগিরই বিদেশ থেকে প্রতি বছর ৮০০ কোটি টাকার দুধ আমদানি বন্ধ করা সম্ভব। ফলে দেশ দুধে স্বয়ংসম্পুর্ণ হবে। এমনকি দেশে দুধের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে ও দুধ রফতানি করা যাবে, যাতে দেশের আর্থিক সাশ্রয় হবে ১২০০ কোটি টাকার ও বেশি ।
এই প্রযুক্তিটি “ফিল্ড ফার্র্টিলিটি ক্লিনিক” এ শতভাগ সাফল্যেও পরে বর্তমানে মাঠ পর্যায়েও সাফল্যের সাথে কাজ করছে। ‘ইউএসডিএ’ এর আর্থিক সহায়তায় “ফিল্ড ফার্র্টিলিটি ক্লিনিক” প্রকল্পটি ১৯৯৫ সালে প্রথম শুরু হয় এবং ২০১১ সাল পর্যš- এটি চলবে। এটি মূলত মাঠ পর্যায়ে কয়েকটি নিয়মে চলে-
দুধের প্রজেস্টেরন ইলাইযা (এনজাইম-লিংক্ড ইমিউনো সরবেন্ট এসে) পদ্ধতিতে পরিমাপ করে গাভী গর্ভবতী কিনা তা নির্ণয় করা, গাভী নিয়মিত গরম হয় কিনা তা নির্ণয় করা, উন্নত ও উর্বর ষাড় নির্বাচন করা, গাভীর গর্ভধারনের ক্ষমতা নির্ণয় করা, গর্ভধারনের হার বৃদ্ধি করা, গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং ভেটেরিনারিয়ানের সাহায্যে গাভীর নিয়মিত পরিচর্যা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান।
এ প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহের কানিহারি, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, চট্্রগ্রাম ও সাতক্ষীরা জেলায় ১০০০টি ছোট খামারীর মাঝে চার জন ভেটেরিনারিয়ান এর সাহায্যে এই সেবা দেয়া হয়। তারা প্রতিদিন ১০টি করে ২৫ দিনে ২৫০টি ফার্ম পরিদর্শন করবে। যার ফলস্বরূপ মাত্র কয়েক বছরেই গড়ে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় ১ কেজি। শুধু তাই নয় গরুর মতো ছাগলেও এ প্রযুক্তিতে বাচ্চা উৎপাদন করা যায়। যা ইতোমধ্যে ব্রাকের সহায়তায় এ পর্যš- ৫০ হাজার ছাগলের কৃত্রিম প্রজনন করানো হয়েছে এবং সফলতা পাওয়া গেছে প্রায় শতভাগ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ময়মনসিংহের কানিহারিতে মহিষে কৃত্রিম প্রজনন সফলতার সাথে শুরু হয়েছে।
এই পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য উন্নত ষাড়ের শুক্রাণু ব্যবহার ও সুস্থ গাভীতে প্রয়োগে করতে পারলে বছরে বাচ্চা উৎপাদন দু’লক্ষেরও বেশি পাওয়া সম্ভব। সেজন্য ইলাইযা পদ্ধতিতে দুধে প্রজেষ্টেরন হরমোন পরিমাপ করে গাভীর গর্ভ ও রোগ নির্ণয় করা হয়। বাকৃবির “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক”এ উক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে শতভাগ সাফল্য পেয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ব্যাপকহারে এ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে শিগগিরই ডেইরি শিল্পের কাঙ্খিত স্বপ্নে পৌঁছানো সম্ভব।
দুধ “আদর্শ খাদ্য” হিসাবে সবর্জন স্বীকৃত। আমাদের দেশে এর প্রকট সংকট রয়েছে। প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে আমাদের রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই ডেইরি শিল্পের উন্নতি ছাড়া সামনে চলা আমাদের জন্য যথারীতি বিপদ সংকেত। ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে গ্রীষ্মে পিপাসা মেটানোর জন্য মিনারেল ওয়াটার ও বিভিন্ন ঠাণ্ডা পানীয়র বাজারমূল্য প্রায় ১কেজি দুধের মূল্যের কাছাকাছি। অথচ এসব পানীয়তে পুষ্টি পরিপুরক হিসাবে তেমন কিছু নেই। কিন্তু পরিশুদ্ধ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে যদি এসব পানীয় এর বিকল্প হিসাবে গরুর দুধ বাজারে ছাড়া হতো তাহলে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান এবং স্বাস্থ্যবান জাতি গড়তে পারতাম। এ চিš-ায় “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা বজায় থাকলে খুব শিগগিরই বাংলাদেশ এ শিল্প থেকে বছরে আয় করবে শত কোটি ডলার।
“ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” এর প্রযুক্তির প্রসঙ্গে প্রফেসর ড. শামছুদ্দিন বলেন- বাংলাদেশে ডেইরি উন্নয়নের সুন্দর সম্ভবনা রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে খামারীদের সংগঠিত করে ও নতুন নতুন ডেইরি ফিল্ড ও মিল্ক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলে একদিকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি সম্ভব এবং অন্যদিকে দেশে দুধের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা অসম্ভবের কিছু নয়।
এজন্য ইতোমধ্যে খামারীদের সংগঠিত করা হয়েছে, খামারীদের উৎপাদনমুখী সেবা ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, অল্পদিনের মধ্যেই গরু ও মহিষের জন্য সময়মত ও ব্যাপকহারে কৃত্রিম প্রজনন শুরু করা হবে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দুটি সমিতি নিবন্ধিত করা হয়েছে এবং সাতক্ষীরায় খামারীগণ সমিতির দুধ ব্রাকের আড়ংকে দেয় যার ফলে আড়ং লিটার প্রতি ১.৪০ টাকা “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” কে দিচ্ছে যা দিয়ে খামারের সকল গরুর প্রয়োজনীয় টিকা ও কৃমিনাশক সরবরাহ করা হয় এজন্য খামারীদের “ফিল্ড ফার্টিলিটি ক্লিনিক” এর সেবার খরচ বহুলাংশে পরিশোধ করার সুযোগ পাচ্ছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে স¤প্রসারণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা আর্থিক ও সার্বিকভাবে একাš- কাম্য।
- মোঃ শাহীন আলম, ময়মনসিংহ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
About Me

- Participatory Research & Action Network- PRAN
- প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।
Krishi Khobor
-
▼
2008
(356)
-
▼
September
(203)
- চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের চাষাবাদ অনিশ্চিত
- দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় সারের দাবিতে কৃষক বি...
- ব্যাংককে বাধ্যতামূলক আবর্তক শস্য ঋণ দিতে হবে
- পাবনায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাশরুম চাষ শুরু
- আলুর বাজারে ধস : জয়পুরহাটে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মাথা...
- নড়াইলে সারের দাবিতে কৃষকদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
- বাজারে আসছে হাইব্রিডের নতুনজাত এসএল ৮ ।। ফলন হেক্ট...
- অবশেষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকই নির্মাণ করলেন কালভার্ট
- এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা মঠবাড়িয়ায় জোয়ারের পানি...
- আরও দুটি সারকারখানা হচ্ছে দেশে
- কালীগঞ্জের পোল্ট্রি শিল্পে চলছে ক্রান্তিকাল
- বকশীগঞ্জে ৫ টন ভেজাল সার আটক
- কলার চারা রোপণের সেরা সময় আশ্বিন মাস
- মরিচের সঙ্গে ভুট্টার আবাদ
- কৃষির ওপর নির্ভর করে মঙ্গা মোকাবিলার চেষ্টা
- জীবননগরে ধানক্ষেতে ছত্রাক : কৃষক দিশেহারা
- এবার ওরা ঘুরে দাঁড়াবেই
- সিদ্ধান্ত ভালো কিন্তু ছিদ্র বন্ধ হবে তো?
- রাজশাহীর ৮৮ ডিলারের গুদামে ১১ কোটি টাকার সার অবিত্...
- বকশীগঞ্জে ৫ টন ভেজাল সার আটক : তিনদিনেও মামলা হয়নি
- পীরগাছায় আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ
- রাজিবপুরে আমন চারা সংকট
- সন্তোষজনক নয় ভেষজ উদ্ভিদ চাষাবাদের অগ্রগতি
- অন্যের জমিতে ধান ও সবজি চাষ করে মুকুল এখন স্বাবলম্বী
- ভেড়ামারায় জি.কে. প্রকল্প এলাকার কৃষকরা সেচ ও সার স...
- এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ হেমেন্দ্র দত্তের কৃষি খামার এবা...
- গঙ্গাচড়ায় মঙ্গা মোকাবেলায় ব্রিধান ৩৩ চাষে কৃষকদের ...
- উত্তরাঞ্চলে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সুযোগ না থ...
- চিংড়ি শিল্প রক্ষায় সরকারী উদ্যোগ প্রয়োজন
- পরিবেশ বান্ধব চাষাবাদ
- সোনারগাঁয়ে বিষাক্ত বর্জ্যে ১০০ হেক্টর জমির ধান নষ্ট
- কর্মসৃজন কর্মসহৃচি : নাজিরপুর কচুরিপানা ব্যবহারে ক...
- জামালপুরে বন্যার পর ফের আমন রোপণের উদ্যোগ কৃষকের ঘ...
- শৈলকূপায় ২২০ বস্টøা সারসহ আটক ৩
- ফুলবাড়িয়ায় আনারস চাষে হরমোন প্রয়োগ আকার রং বদলে গে...
- কৃষিতে জৈব সারের প্রয়োজনীয়তা ও বাণিজ্যিক প্রসারে জ...
- বিলুপ্তির পথে কৃষিবান্ধব জলজ প্রাণী শামুক
- কম্পিউটারে উদ্ভিদের রোগ নির্ণয়
- চাল উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে নতুন সংস্করণ ‘ভ¬াদ...
- কুষ্টিয়ায় কচু নিয়ে চাষীরা বিপাকে
- জাম্বুরা: পাহাড়ে আর্থিক সাফল্যের হাতছানি
- কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা
- নীলফামারীতে দাম পড়ে যাওয়ায় আলু নিয়ে কৃষক ও ব্যবসায়...
- চুয়াডাঙ্গা পান বরজে পচন
- কৃষি ও কৃষকের সুখবর কোথায়
- রংপুরে পাট কেনায় সাড়া নেই
- গলাচিপায় মাছ ধরার টোপ ‘বিষ’
- ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষি শ্রমিকদের আগাম শ্রম বিক্রি
- বিএডিসিতে ধানবীজ সরবরাহ মহৃল্য না পেয়ে বিপাকে জামা...
- বান্দরবানে সারের দাবিতে মিছিল
- ভরসা কোল্ড ষ্টোরের পঁচে যাওয়া আলুর ক্ষতিপূরণ দেওয়া...
- রিকশাচালকদের কৃষি উৎপাদনে নিয়োজিত করুন
- কলারোয়ায় পাচারকালে সার আটক ।। গ্রেফতার ১
- নাটোরের হাজার পুকুরের গ্রাম বদলে দিয়েছে অর্থনীতি
- কৃষকের ভাগ্যোন্নয়ন : সুদূর পরাহত নয়
- কৃষিঋণ: কৃষির জন্য খুবই ইতিবাচক একটি সিদ্ধান্ত
- পুঠিয়ায় অবৈধ পাওয়ার ক্রাসার দিয়ে আখ মাড়াই
- কৃষিঋণ বিতরণ
- চাষি ক্ষেতে চালাইছে হাল
- কুড়িগ্রামে নকল সার কারখানার সন্ধান
- কৃষক
- সব ব্যাংকে কৃষিঋণ বিতরণের নির্দেশ বর্গা ও প্রান্তি...
- কৃষিখাতে ঋণের জোগান বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশংসনীয় সি...
- আপদকালীন ধানচাষ জনপ্রিয় হচ্ছে মাগুরার কৃষকরা এবার ...
- সব ব্যাংকে কৃষিঋণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বর্গাচাষীর...
- ওলকপি
- কালীগঞ্জে নার্সারির ব্যবসায় আজ অনেকে স্বাবলম্বী
- নারিকেল বীজ বপনের এখনই সময়
- মানবসম্পদ উন্নয়নে চাই কৃষি শিক্ষা
- আদিবাসীদের জীবন, সংগ্রাম ও জীবিকায় কৃষি
- রিকশাচালকদের কি কৃষি উৎপাদনে নিয়োজিত করা যায় না?
- সব ব্যাংকের জন্য কৃষিঋণ দেয়া বাধ্যতামূলক
- দেশি বিদেশি সব ব্যাংকের জন্য কৃষি ঋণ বাধ্যতামূলক
- বিএমডিএ ২০ লাখ তাল ও খেজুর বীজ রোপণ করবে উত্তরাঞ্চলে
- মাধবপুরে বিপুল পরিমাণ ভেজাল সার ও কীটনাশক উদ্ধার
- সারের দাবিতে ফের কৃষকদের বিক্ষোভ ফরিদপুর ভাটিয়াপাড়...
- প্রসঙ্গ কুশি ধান : লোকবিজ্ঞান ও কৃষি গ্রামীণ অর্থনীতি
- লাখ টন সার কেনার সিদ্ধান্ত
- সারের অভাবে চুয়াডাঙ্গায় শীতকালীন আগাম সবজি চাষ হুম...
- সব ব্যাংকেরই কৃষিঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক
- সিডর বিধ্বস্ত পিরোজপুরে পেয়ারা চাষীদের দীর্ঘশ্বাস ...
- ফরিদপুরে সারের দাবিতে দিনভর বিক্ষোভ ভাংচুর, বিএস অ...
- মধুপুরের কলার রাজ্য
- হবিগঞ্জে নকল সার কারখানা : ৫ হাজার বস্টøা ভেজাল সা...
- সার সংকটে দিশেহারা বোয়ালমারীর কৃষক ফের রাস্টøায়, গ...
- মংলাবন্দরে চরায় আটকে যাওয়া সারবোঝাই জাহাজ ২ সপ্তাহ...
- দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রবি মওসুমে ৮ লক্ষাধিক হেক্টর জম...
- ভারতীয় চোরাচালানকৃত ভেজাল সারে বাজার সয়লাব
- আলুবীজ আমদানি সম্পর্কে
- ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে মিজান এখন কোটিপতি
- গুদাম থেকে ৮৪ বস্তা আটক ।। বোয়ালমারীতে সারের দাবিত...
- চট্টগ্রাম বন্দরে ৫ শ’ টন সার নিয়ে জাহাজডুবি
- কাসলং অরণ্য কোথায় গেল
- কৃষি অফিস বলছে, করার কিছু নেই মেহেরপুরে আউশক্ষেতে ...
- কোথায় লাগাবেন কি গাছ
- ২ লাখ টাকা পুঁজিতে কোটিপতি
- দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কুমির চাষে সাফল্য
- বালাই দমনে দরকার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা
- শাক সবজি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা
- ভেষজ: গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ উদ্ভিদ অর্জুন হৃদরোগে অত্য...
-
▼
September
(203)
No comments:
Post a Comment