Sunday, September 7, 2008

মাগুরায় সবজি চাষে নীরব বিপ্লব

০৮.০৯.০৮
।। ইত্তেফাক ।। দীপক রায় চৌধুরী, মাগুরা সংবাদদাতা

মাগুরায় সবজি চাষে নীরব বিল্পব ঘটেছে। কৃষকেরা নিজ উদ্যোগে পতিত জমি এবং উঁচু জমি যেখানে ধানের আবাদ হয় না সে সব জমি এখন সবজি চাষের আওতায় এনে এক যুগান্তকারী কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছে। কৃষকরা জানান, তাদের উৎপাদিত কৃষি সবজি প্রচুর উৎপাদিত হয় এবং নিজেদের এলাকার চাহিদা মিটিয়ে আরো বিপুল পরিমাণ অন্য জেলায় পাঠিয়ে আর্থিক সচ্ছলতা আসছে। আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকালে এসব সবজি উৎপাদনের উপযুক্ত সময়।

আঠারো খাদা, নিজ নান্দুখালী, কাঠাখাল, বাগডাংগা, কালিনগর, মাধবপুর, জারিয়া, জয়নগর, খামারপাড়া, বেলনগর, লক্ষ্মীকান্দর, রামনগর, আড়পাড়া, বুনাগাতী, গংগারামপুর, পুটিয়া, নহাটা মোহাম্মদপুর প্রভৃতি গ্রামে বেশি সবজি চাষ হয়।

কৃষকরা জানান লাল শাক, পুঁই শাক, উশী, চিচিংগা, ঢেঁড়শ, বেগুন, পটল, করল্লা, ঝিংগা প্রভৃতি উৎপাদন করে থাকে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মণ সবজি মাগুরা শহরের কাঁচা বাজারে আমদানী হয়। এছাড়া সপ্তাহের দু-দিনের হাটবারে গ্রামের প্রতি হাটেও ব্যাপক আমদানী ঘটে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় আমদানী করা হয়। মাগুরার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় ট্রাকযোগে ফড়িয়ারা এগুলো অন্যান্য স্থানে সরবরাহ করে। কিন্তু উৎপাদনকারী কৃষককে বিক্রি করতে হয় পাইকারী বাজারে অর্ধেক দামে। তারা আরো জানান এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।

জেলা কৃষি দপ্তরসূত্রে জানা যায়, জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা এবার দুই হাজার ৪শ’ ২০ হেক্টর জমি থাকলেও চাষ হয়েছে অনেক বেশী দুই হাজার ৮শ’ ৬৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে মাগুরা সদরে সর্বাপেক্ষা বেশি এক হাজার দুশো হেক্টর জমি।

সবজি চাষিরা জানান, এ কাজে পরিশ্রম অপেক্ষাকৃত কম। এ কাজে শ্রমিক লাগে অনেক বেশি, তাই প্রায় পাঁচ হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয় এখানে। বালক/বালিকারাও এ কাজে সহায়তা করে থাকে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor