Saturday, September 6, 2008

যশোরে চিতলের পোনার ব্যবসা জমজমাট

০৭.০৯.০৮
।।যায়যায়দিন।।
ফখরে আলম যশোর

জায়গাটির নাম ছিল বাবলাতলা। এখন নাম হয়েছে চিতলপট্টি। প্রতিদিন সকালে এই চিতলপট্টিতে চিতল মাছের পোনার হাট বসে। যশোরের চাঁচড়া এলাকার শিক্ষিত যুবকরা প্রতিদিন বিক্রি করে লাখ টাকার নানা সাইজের চিতল পোনা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানের ঘের পুকুর মালিকরা কিনে নিয়ে যায় সেই পোনা। চিতল পোনার ব্যবসা এখন জমজমাট। অনেকেই এ পোনার ব্যবসা করে ভাগ্য বদল করেছে। অন্যান্য মাছের চেয়ে দাম বেশি বলে মৎস্য চাষীরা চিতলের ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।
সরেজমিন চিতলপট্টি ঘুরে দেখা যায়, খুলনা-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে চিতল পোনার হাট বসেছে। বড় বড় এলুমিনিয়ামের হাঁড়িতে জিইয়ে বিক্রি করা হচ্ছে দু ইঞ্চি থেকে ছয় ইঞ্চি সাইজের পোনা। দাম অন্যান্য পোনার চেয়ে বেশি। সাইজ ভেদে ৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা। পোনা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যমুনা ও পদ্মা নদী থেকে প্রথমে ডুবুরিরা চিতলের রেণু সংগ্রহ করে। নদীতে ডুবুরিয়া ড্রাম পেতে রাখে। সেখানেই চিতল ডিম দেয়। এরপর রেণু হলেই ডুবুরিয়া তা সংগ্রহ করে। চাঁচড়া এলাকার ব্যবসায়ীরা সেই রেণু বরিশাল, ভোলা, চরফ্যাশন, রাজশাহীর চরঘাট, সিরাজগঞ্জ থেকে কিনে নিয়ে আসে। প্রতি হাজারের দাম ১৩/১৪ হাজার টাকা। এ রেণু এনে ‘হাফায়’ রাখা হয়। খেতে দেয়া হয় ডিমের কুসুম, কেঁচো, পোকা। ৮/১০ দিন পর তা বিক্রি করা হয় নার্সারি মালিকের কাছে। নার্সারি মালিকরা ২০/৩০ দিন ওই রেণু লালন-পালন করেন। তাদের খেতে দেয়া হয় রুই কাতলা মৃগেলের পোনা। এরপর চিতলপট্টির ব্যবসায়ীরা পোনা কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করেন। চাঁচড়ার যুবক সুইট এইচএসসি পাস। হারুন অর রশীদ এইচএসসি পাস। আতর আলী লেখাপড়া জানে না। এরাই চিতল পোনা বিক্রি করেন। এ ব্যবসায়ীরা বললেন, প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পোনা কেনা-বেচা হয়। সাতক্ষীরা, খুলনা, পটুয়াখালী, পঞ্চগড়, তেঁতুলিয়া ছাড়াও বিভিন্ন স্থানের ক্রেতারা পোনা কিনে নিয়ে যায়। প্রতিদিন লাখ টাকার ১০/১৫ হাজার পোনা বিক্রি হয়। পোনা ব্যবসায়ীরা বললেন, চিতলের দাম বেশি বলে এখন অনেকেই এর চাষ করছেন। তারা ঋণ সুবিধার পাশাপাশি চিতল পোনার একটি স্থায়ী বাজারের দাবি জানান।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor