Sunday, September 7, 2008

তারাগঞ্জে প্রতিবছর অসংখ্য গবাদিপশু মারা যায় II অসচেতনতা ও ভুল চিকিৎসা

০৮.০৯.০৮
।।ইত্তেফাক।। তারাগঞ্জ সংবাদদাতা

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় প্রতিবছর অসংখ্য গবাদিপশু নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। ফলে বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তারাগঞ্জে পশুসম্পদ বাড়ছে না। অযতœ অবহেলা অসচেতনতা ও পল্লী চিকিৎসকও হাতুড়ে ডাক্তার কবিরাজদের ভুল চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ যথাসময়ে না পাওয়ায় অকালে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার গবাদি পশু মারা যায়।

উপজেলা পশু হাসপাতালের তথ্য অনুসারে বর্তমানে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে গরুর সংখ্যা এক লাখ ৫৩ হাজার, ছাগল ৫৬ হাজার, ভেড়া ২৮ হাজার। এখানে মানুষ গবাদিপশু পালনে তেমন সচেতন না। সঠিক সময়ে গবাদি পশুকে টিকা ও ভ্যাকসিন দেন না। এমনকি গবাদিপশুর বাচ্চা প্রসবকালে ডাক্তাদের পরামর্শও তেমন গ্রহণ করেন না। অবহেলা উদাসীনতা এবং অসচেতনার পাশাপাশি পল্লী চিকিৎসক ও হাতুড়ে ডাক্তার কবিরাজদের ভুল চিকিৎসায় উপজেলায় গবাদিপশু নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে।

এদিকে উপজেলায় দুধের খামার গড়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকলেও সরকারি ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তাও সম্ভব হচ্ছে না।

উপজেলায় ২৬টি গাভির, ২৫টি ছাগলের ও ৭টি ভেড়ার খামার রয়েছে।

তারাগঞ্জ পশুসম্পদ হাসপাতালের ভেটেরনারী সার্জন ডাক্তার সিরাজুল হক জানান দক্ষতা যোগ্যতা বা বৈধতা না থাকলেও তারাগঞ্জ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ৪০/৪৫ জন হাতুড়ে ডাক্তার, কবিরাজ, পল্লী চিকিৎসক গবাদিপশুর চিকিৎসা করছে। এদের ভুল চিকিৎসার ফলে লাখ লাখ টাকার পশু সম্পদ নষ্ট হচ্ছে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor