Friday, January 30, 2009

‘হামার আবাদ বুঝি শ্যাষ হয়া যায়’

৩১.০১.০৯
সমকাল ।। আবদুল খালেক ফারুক, কুড়িগ্রাম

‘৫ দিন থাকি জমিত পানি পাই না, জমি ফাটি গেইচে; হামার আবাদ বুঝি শ্যাষ হয়া যায়’Ñ বোরো চারা রোপণের পরেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে শুকনা, খরখরে জমির দিকে তাকিয়ে কৃষক রিয়াজুল দীর্ঘশ^াস ছেড়ে এসব কথা বলেন। রাজারহাটের ছাটমাধাই গ্রামের প্রাšিøক কৃষক রিয়াজুলের মতো অনেকেই বোরো চারা রোপণ করে সেচের পানি না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। আবার অনেকেই জমি তৈরি করে বসে আছেন; পানি পাচ্ছেন না। পল্কèী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে মৌসুমের শুরুতেই সেচ সংকটে পড়েছেন কুড়িগ্রামের কৃষকরা।
বৃহস্টক্সতিরার কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের মুক্তারাম, গঙ্গাদাস, রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেন্দ্রা ও ছাটমাধাই গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, পানির অভাবে অনেক কৃষক জমি তৈরি ও চারা রোপণ করতে পারছেন না। আবার কেউ সেচ নিয়ে জমিতে চাষ দেওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে পানি। ফলে কোনো মতে চারা রোপণের পর কয়েক দিন সেচ দিতে না পারায় চারা লাল বর্ণ ধারণ করছে। গঙ্গাদাস গ্রামের উজ্জল, খালেকুজ্জামান ও ছোবান জানান, চারার বয়স ৪০ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো পাল্ফেক্সর মালিকরা পানি দিতে পারেননি। ফলে জমিতে এখনো চারা লাগাতে পারেননি। পাল্ফক্স মালিক আবদুল লতিফ জানান, বাড়তি চাহিদা মেটাতে ১০ কেভির ট্রান্সফরমার পরিবর্তন করে ১৫ কেভির ট্রান্সফরমার নেওয়ার জন্য ১ মাস ধরে অফিসে ঘুরেও কাজ হচ্ছে না। মুক্তারামের মনির উদ্দিন বলেন, ‘পানি নিয়া বড় বিপদে আছি বাহে’। ছোটমাধাই গ্রামের সুধীর চন্দ্র বলেন, ‘জমিত হাল দিয়া ৩ দিন থাকি মেশিনের মালিকের ওটে ঘুরবার নাগছি, পানির সিরিয়াল পাওয়া যাবার নাগছে না। পাল্ফেক্সর মালিক সুনীল জানান, দিনের ১১ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না, তাই কৃষকের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। সময় যত যাচ্ছে, কৃষকের উ™ে^গ তত বাড়ছে, বাড়ছে পানি নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ। কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্কèী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (গ্রাহকসেবা) খালিদ মাহমুদ জানান, পিক আওয়ারে ১৮ মেগাওয়াট চাহিদার স্ট’লে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ২৪ ঘণ্টার ১১ ঘণ্টাই লোডশেডিং দেওয়ার কারণে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন।
সংযোগ পেতে নানা বিড়ল্ফ^না
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্কèী বিদ্যুৎ সমিতি সহৃত্রে জানা গেছে, বিগত বোরো মৌসুমে এ দুটি জেলায় ৮ হাজার ২৫৩টি সেচ পাল্ফেক্স বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। আরো প্রায় ৪ হাজার আবেদনকারী সংযোগের জন্য আবেদন করলেও ট্রান্সফরমার, তার ও মিটার সংকটের কারণে সংযোগ দেওয়া সল্ফ¢ব হয়নি। এ বছর আরো ২ হাজার কৃষক সংযোগের জন্য আবেদন করেন। বিদ্যুৎ স্ট^ল্কপ্পতার কারণে সরকারি নীতিমালা হচ্ছে ৭ শতাংশের বেশি অতিরিক্ত সংযোগ দেওয়া যাবে না। তবে বিশেষ বিবেচনায় আরো কিছু সংযোগ দেওয়া হবে। যদিও এ বছর সব মিলে ১ হাজার ৬৮৫টির বেশি নতুন সংযোগ দিচ্ছে না পল্কèী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। বাকি আবেদনকারী তাই প্রতিদিন অফিসে এসে ধরনা দিলেও লাভ হচ্ছে না।
তাছাড়া সৌভাগ্যত্রক্রমে সংযোগ পাওয়ার জন্য যারা মনোনীত হয়েছেন, প™ব্দতিগত জটিলতার কারণে মাসের পর মাস অফিসে ঘুরেও কাগ্ধিক্ষত সংযোগটি নিতে পারছেন না। রাজারহাটের বালাকান্দি গ্রামের বাদশা মিয়া জানান, গত বছর জামানতের ১১ হাজার ৪৮৭ টাকা জমা দিয়েও সংযোগ পাননি। এবার নতুন নিয়মে ট্রান্সফরমার বাবদ ২৬ হাজার ১০৭ টাকা জমা দিয়েও ১২ দিনেও সংযোগ পাননি। মুক্তারামের ছাত্তার জানান, তারের টাকা জমা দিয়ে ১০/১২ দিন ধরে অফিসে ঘুরে কোনো কিনারা করতে পারছেন না।
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্কèী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মুহাল্ফ§দ মনজুর উর রশীদ জানান, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সল্ফ¢ব দ্র“ততম সময়ে সংযোগ দেওয়ার চে®দ্বা করছেন তারা। এ ক্ষেত্রে তাদের কোনো গাফিলতি নেই।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor