Thursday, January 29, 2009

সোয়া দুই লাখ টন সার বিএডিসির গলার কাটা

২৯.০১.০৯
ডেসটিনি ।। শফিকুল ইসলাম

সোয়া দুই লাখ টন সার বিএডিসির গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা প্রায় ১৮০০ কোটি টাকার সোয়া ২ লাখ মেট্রিক টন টিএসপি ও এমওপি সার নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। চড়া দামে আমদানি করা এ সার এখন গুদামে পড়ে আছে। এ কারণে বিএডিসিকে ব্যাংক সুদসহ বিপুল অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এদিকে বেশি দামের এ সার বিএফএর ডিলারদের বিক্রিতে অনীহা ও সার বিতরণ ব্যবস্থায় উপজেলা ও জেলা সার মনিটরিং কমিটির দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে বিএডিসি সূত্র দাবি করেছে। তবে বেসরকারি আমদানিকারকরা বিএডিসির এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলছেন, স্বাভাবিক নিয়মেই কম দামে আমদানি করা সার অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই আগে বিক্রি হচ্ছে। এখানে বেসরকারি আমদানিকারকদের করার কিছু নেই।
বিএডিসি সূত্রে জানা গেছে, ফসলের অধিক ফলনের জন্য সেচ মৌসুমে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) ও এমওপি (মিউরেট আব পটাস) সার প্রয়োগের উপযুক্ত সময়। এ সময় ফসলে সার দিতে না পারলে ফলন হ্রাস পায়।
সূত্রমতে, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি ও ৭৫ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি করে বিএডিসি। তিউনেশিয়া ও বেলারুশ থেকে এ সার আমদানি করা হয়। যার দাম প্রায় ১ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা। সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এ সার আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু এ সার সংস্থাটির গুদামে পড়ে আছে। কোনো সার বিক্রি করতে পারছে না বিএডিসি।
বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) ডিলারদের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে এ সার বিক্রির কথা থাকলেও তারা তা করছে না। এমনকি এ সার বিক্রিতে সরকার বা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ থাকলেও তার তোয়াক্কা করছে না বিএফএ।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor