Friday, January 30, 2009

জ্বালানি তেল সারের দাম কমায় উৎফুল্ল কৃষক এখন উদ্বিগ্ন

৩০.০১.০৮
সমকাল ।। সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

জ্বালানি তেল ও সারের মহৃল্য কমানোর কারণে উজ্জীবিত সিরাজগঞ্জের কৃষক ব্যাপক হারে বোরোধানের আবাদ শুরু করলেও ঘন কুয়াশা আর বিরূপ আবহাওয়া তাদের উ™ি^¹ু করে তুলেছে। ইতিমধ্যে জেলাজুড়ে রোপণ করা বোরোধান বিবর্ণ হয়ে লালচে বাদামি রং ধারণ করছে। বীজতলায়ও একই ধরনের প্রভাব পড়েছে। কোনো কোনো জমিতে সদ্য রোপণ করা ধানের চারা পচতে শুরু করেছে। দীর্ঘস্ট’ায়ী ঘন কুয়াশা, অপর্যাপ্টø সহৃর্যালোক আর তাপমাত্রা বৃ™িব্দ না পাওয়ায় বোরো আবাদে ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে। ফলে কৃষকরা ফলন বিপর্যয়ের আশগ্ধকা করছেন।
উত্তরাঞ্চলের শস্যভা-ার হিসেবে খ্যাত চলনবিল অঞ্চলের সর্বত্র কৃষক এ বছর ব্যাপক হারে বোরোধানের চাষ শুরু করলেও দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিরূপ আবহাওয়ার দরুন অনেকেই ‘পরিস্টি’তি পর্যবেক্ষণ’ করছেন। মধ্য চলনবিল অঞ্চলের লালুয়া মাঝিড়া গ্রামের কৃষক ফরিদুল জানান, গত বছরের এই সময়ে তার ৮ বিঘা জমিতে বোরোধানের চাষ করলেও এ বছর তিনি তা করছেন কিছুটা ঢিমেতালে। তার জমির আশপাশের অনেক কৃষক বোরো আবাদ করলেও অধিকাংশ জমির ফসল লালচে হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো জমির চারা পচেও গেছে। যে কারণে ঘন কুয়াশা কেটে না যাওয়া পর্যšø তিনি অপেক্ষা করার কথা ভাবছেন। একই গ্রামের কৃষক ইসলাম উদ্দীন জানান, দুমর্হৃল্যের বাজারে তিনি জমি চাষ করে সেচ দিয়ে জমি প্রস্ট‘ত করেছেন ১০ দিন আগে। কিন্তু একই কারণে তিনিও জমিতে বোরোর চারা লাগাতে পারছেন না। এ সময় কিছুটা দীর্ঘ হলে তাকে আবারো জমি প্রস্ট‘ত করতে হবে। কামারসন গ্রামের আবদুল কুদ্দুস জানালেন, ইতিমধ্যেই তিনি দেড় বিঘা জমিতে বোরোধানের চাষ করলেও প্রায় স¤ক্সহৃর্ণ জমির ধান লালচে হয়ে গেছে। কোনো কোনো ধানের গোড়া পচে যেতে শুরু করেছে। জেলার উল্কèাপাড়া, রায়গঞ্জ, কাজীপুরসহ প্রায় সবক’টি উপজেলাজুড়েই চলছে এমন অবস্ট’া।
সিরাজগঞ্জে এ বছর ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও জ্বালানি তেল ও সারের মহৃল্য হ্রাস করায় বোরো আবাদের জমির পরিমাণ এ বছর আরো বাড়বে। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়ার দরুন বোরো আবাদ ক্ষতিগ্রস্টø হতে পারে। জেলা কৃষি বিভাগের মতে, সাধারণত প্রতিবছর শীতকালের এ সময়ে নিল্ফুচাপের প্রভাবে ২/১ দিন বৃ®িদ্বপাত হয়ে থাকলেও এ বছরে তার ব্যত্যয় ঘটেছে। বৃ®িদ্ব হওয়ার সল্ফ¢াবনাও দেখা যাচ্ছে না। সহৃত্রমতে মৌসুমের এ সময় বৃ®িদ্ব হলে প্রকৃতিতে বোরো আবাদের উপযোগী পরিবেশের সৃ®িদ্ব হতো দ্র“ত। বোরাধান দ্র“ত বৃ™িব্দর জন্য ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। তাপমাত্রা এর কাছাকাছি থাকলে ধানের চারা সবুজ বর্ণ এবং সতেজ হয়ে ওঠে। কিন্তু বর্তমানে এ অঞ্চলে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এর পাশাপাশি সল্পব্দ্যার পর থেকেই ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করে। আর কৃষি বিভাগের মতে, এই মুহহৃর্তে কুয়াশা কেটে তাপমাত্রা বৃ™িব্দ পেলেই বোরোধানের জমিগুলো সজীব হয়ে উঠবে। আর কুয়াশা দীর্ঘস্ট’ায়ী হলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে কৃষকদের।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor