Friday, January 30, 2009

ঘন কুয়াশায় শেরপুরে অধিকাংশ আলু ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি

৩১.০১.০৯
ডেসটিনি ।। শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে শেরপুরে শীতকালীন ফসল আলু ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এমনকি ক্ষেতে ওষুধ প্রয়োগ করেও রোগ দমন করা যাচ্ছে না। বরং দিন দিন তা নতুন মাত্রায় মারাত্মক আকার ধারণ করে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কয়েক সপ্তাহ ধরেই মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য কৃষকদের নিয়ে গ্রুপি মিটিং, লিফলেট বিতরণ, বাড়তি ট্রেনিংসহ বিভিন্ন পরামর্শমূলক দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলে উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি শীত মৌসুমে ৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আলু, ১ হাজার ৩৪০ হেক্টর বোরো বীজতলা, ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সরিষা, ১ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন শাক-সব্জি চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার দাপটে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে লাগানো আলু ক্ষেতগুলো শীতকালীন ছত্রাকনাশক রোগ লেট ব্রাইটে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এতে ক্ষেতের আলু গাছগুলো কুঁকড়ে মাটিতে পড়ে গেছে। অব্যাহত ওষুধ প্রয়োগ করেও কৃষকরা তা দমাতে পারছেন না। এমনকি রোগটি আরো নতুন জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে।
উপজেলার তালতা গ্রামের কৃষক আবু সাঈদ জানান, তিনি গত বছর ১০ বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছিলেন। তবে সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকটা মূলধনের সংকট দেখা দেয়। তবুও তিনি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছেন। কিন্তু ক্ষেতের গাছগুলো রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন পরপর দুই থেকে আড়াই টাকার ওষুধ কিনে তা ক্ষেতে ¯েপ্র করতে হচ্ছে। তাতেও রোগ দমছে না। শেষ পর্যন্ত কী হবে তা উপরওয়ালাই জানেন।
সাধুবাড়ির শহিদুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী, মামুরশাহীর দুলাল হোসেন, ঘোলাগাড়ীর নুরুল ইসলাম, মাকোরকোলার হায়দার আলী, মতিয়ার রহমান জানান, অব্যাহত ঘন কুয়াশার কারণে তাদের আলু ক্ষেতগুলো প্রায় সম্পূর্ণভাবে নষ্টের পর্যায়ে। কিছু ভালো থাকলেও সেগুলোও লেটব্লাইটে আক্রান্ত হচ্ছে। ওষুধ ¯েপ্র করেও রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে পারছেন না।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor