Thursday, January 29, 2009

বীজের যোগান, প্রশিক্ষণ ও সংরক্ষণের মাধ্যমেই পিঁয়াজের ঘাটতি দূর করা সম্ভব

২৯.০১.০৯
বিশেষজ্ঞদের অভিমত
ইত্তেফাক ।। মুন্না রায়হান

প্রতিবছর দেশে পিঁয়াজের ঘাটতি প্রায় ৭ লাখ টন। এর পুরোটাই ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হয়। অথচ মানসম্মত বীজের যোগান, কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পিঁয়াজ সংরক্ষণ করা গেলে এই ঘাটতি অনেকটাই দূর করা যাবে বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

গত বছর দেশে ১ দশমিক ৫৬ লাখ হেক্টর জমিতে ৮ দশমিক ৮৪ টন পিঁয়াজ উৎপাদন হয়। কিন্তু প্রতিবছর দেশে পিঁয়াজের চাহিদা ১৫ লাখ ৭৫ টন। ঘাটতি প্রায় ৭ লাখ টন। এই ঘাটতি মেটাতে গত ৬ মাসে ভারত থেকে ৩ লাখ ২৬ হাজার টন পিঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হয়েছে ৩০ টন পিঁয়াজ।

জানা গেছে, মানসম্মত বীজের অভাবে উৎপাদন কম হওয়া ও বিভিন্ন কৃষি উপকরণের দাম আকাশছোঁয়া হলেও সেই অনুপাতে দাম না পাওয়ায় কৃষকরা পিঁয়াজ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। নানা কৃষি উপকরণের মধ্যে শুধুমাত্র মানসম্মত পিঁয়াজের বীজের কেজি ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে বেড়ে এখন সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সূত্র জানায়, গত বছর বিএআরসির ‘মশলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির এ্যাকশন প্লান্ট’ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়নি। যে কারণে বিএআরসির তত্ত্বাবধানে যে ১১ লাখ টন পিঁয়াজের বীজ ছিল তা কৃষকদের মধ্যে ভালোভাবে বন্টন করা হয়নি।

পিঁয়াজের ফলন আশানুরূপ না হওয়ার আরেকটি কারণ প্রকৃত চাষীদের প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হওয়া। প্রতিবছর সরকার পিঁয়াজ চাষীদের যে প্রশিক্ষণ দেয় বিভিন্ন কারণে তা থেকে প্রকৃত চাষীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

মশলা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদুল হক বলেন, কৃষকদের মানসম্মত বীজের যোগান, যথাযথ প্রশিক্ষণ ও পিঁয়াজ সংরক্ষণ করা গেলে দেশে পিঁয়াজের ঘাটতি অনেকটাই দূর করা যাবে। তিনি বলেন, ক্ষেত থেকে পিঁয়াজ তোলার পর উপযুক্ত যতেœর অভাবে ১৫ শতাংশ পিঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রতি হেক্টর জমিতে ৬ টন পিঁয়াজ উৎপাদন হয়। অথচ ভারতে একই পরিমাণ জমিতে বড় আকারের পিঁয়াজ ২৫ টন ও পাকিস্তানে ১৪ টন উৎপাদন হয়। কৃষকদের ভালো বীজ সরবরাহ করে ও তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরাও পিঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে পারি।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor