Monday, October 6, 2008

কৃষিক্ষেত্রে কুমিল্লা মডেলের পুনর্মূল্যায়ন

০৫.১০.০৮
ইত্তেফাক ।। ড. এ.এইচ.এম. জেহাদুল করিম

বাংলাদেশের কৃষিকার্য মূলত: ঐতিহ্যিকভাবেই পারিবারিক ভিত্তিতে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং প্রথাগতভাবে আমাদের দেশের কৃষকেরা বিভিন্ন আর্থিক, প্রাকৃতিক ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও, তাঁদের বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য উৎপাদন করে আসছিল। কিন্তু ক্রমাগতভাবে জনসংখ্যার চাপের কারণে, আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা কৃষি ক্ষেত্রে অধিক ফসল উৎপাদনের উপায় খুঁজে বের করতে সচেষ্ট হয়; এবং এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে, কুমিল্লা মডেল বলে কথিত এই বিশেষ উদ্যোগ আমাদের কৃষি ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী সাফল্য এনে দেয়। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আমাদের দেশের দরিদ্র কৃষকেরা বিভিন্ন ধরনের নতুন প্রজাতির ধান উৎপাদন করতে শুরু করে এবং জমিতে একর প্রতি উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে তাঁদের পারিবারিক কাঠামো-ভিত্তিক ঐতিহ্যিক উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে সম্পূর্ণভাবে বেরিয়ে এসে, উন্নততর প্রযুক্তি-নির্ভর উৎপাদন কাঠামোর মধ্যে প্রবেশ করে। এই আধুনিক উৎপাদন কৌশল যে সমগ্র দেশের কৃষিক্ষেত্রে এক অনন্য ভূমিকা রাখে সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই, এবং বলাই বাহুল্য যে, এই মডেল অতি দ্রুত গ্রামীণ বাংলার ছোট ছোট পারিবারিক পর্যায়ের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষীদেরকে সংঘবদ্ধভাবে এক আধুনিক কৃষি উৎপাদনের প্রতি উৎসাহিত করে। কুমিল্লা প্রোগ্রামের আওতায় অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর, আমাদের দেশে পর্যাক্রমিকভাবে ইজ-৮, ইজ-১০, ইজ-২০ এমনি বিভিন্ন ধরনের অগনিত উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ধান উৎপাদন শুরু হয়; এবং ইরি চাষের মাধ্যমে কৃষি জমিতে ধানের উৎপাদন একর প্রতি ২০ থেকে ৬০ এ উন্নীত করা হয়। কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই ধরনের যুগান্তকারী পরিবর্তন দেশের কৃষি গবেষক এবং সেই সাথে, এদেশের সাধারণ চাষীদেরকেও বেশ উৎসাহিত করে। কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে কুমিল্লা মডেলটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়, যা মূলতঃ একটি সমন্বিত সমবায় মডেল হিসাবে পরিগণিত হয়। কুমিল্লা প্রোগ্রাম মূলতঃ এবৎসধহ জবরভবংংরধহ গড়ফবষ-কে অনুসরণ করে, কৃষক সমবায় সমিতি গঠন, উপজেলা শিক্ষা ও উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন, উপজেলা সেচ পদ্ধতি চালু করা এবং সেই সাথে গ্রামীণ সমাজ উন্নয়নের প্রচেষ্টাও শুরু করে।

প্রথম থেকেই, কুমিল্লা পদ্ধতির পরীক্ষা-নিরীক্ষা দুইটি ধারায় চলতে থাকে ঃ এর প্রথমটি পরিচালিত হয়, গ্রামীণ ক্ষুদ্র সমবায়ীদের দ্বারা সংঘটিত কৃষক সমবায় সমিতি গঠন, এবং দ্বিতীয়টি হলো, উপজেলা ভিত্তিক সমবায় সমিতি স্থাপন, যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল গ্রামীণ সমবায়গুলোতে কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত স্বল্প গভীর এবং গভীর নলকূপের মাধ্যমে পাতালের পানি উত্তোলনের সুবিধা প্রদান করা।

কৃষিক্ষেত্রে কৃষক সমবায় সমিতিগুলোকে ভিত্তি করে, গ্রামীণ চাষীদের উচ্চ ফলনশীল বীজ, সার ও কৃষি সরঞ্জাম সরবরাহ করার নীতি অনুসৃত হয়; এবং সেই সাথে কৃষিক্ষেত্রে কৃষকদেরকে সহায়তা করার জন্য ছোট-খাট কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। কৃষক সমবায় ও উপজেলা সমবায় মূলতঃ কৃষকদেরকে বিভিন্ন আঙ্গিকে কৃষি সহায়তা দেবার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছিল এবং এর প্রধান উদ্দেশ্যেই ছিল গ্রামের ক্ষুদ্র চাষীদেরকে উপজেলাভিত্তিক সরকারি কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত করা। এই কার্যক্রমের অংশ হিসাবে, উপজেলা ট্রেনিং কর্মকর্তা গ্রামীণ পর্যায়ে সমবায়ের জন্য, একজন ম্যানেজার ও একজন পরিচালক নিয়োগ করে। বিভিন্ন গ্রামীণ সমবায় সমিতিতে নিয়োজিত এইসব ম্যানেজার ও পরিচালকগণ উপজেলায় এসে কেন্দ্রীয়ভাবে ট্রেনিং গ্রহণ করে, এবং দক্ষতা অর্জন করে। ধারণা করা হয়েছিল যে উপজেলায় ট্রেনিংপ্রাপ্ত এইসব ব্যক্তিদের এই ট্রেনিং এবং সংগৃহীত জ্ঞান গ্রামে অবস্থিত কৃষক সমবায় সমিতির কার্যকরী পরিষদের কর্মকর্তা ও সাধারণ সদস্যদের মধ্যে সঞ্চারণ করবেন। ১৯৮০-র দিকে কৃষি উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে সমগ্র বাংলাদেশেই এই মডেলটি ব্যবহৃত হয় এবং আমাদের তথ্য অনুসারে উক্ত সময়ের মধ্যে দেশের ৪৭৫টি উপজেলার মধ্যে ২৬৭টি উপজেলাতেই এই কার্যক্রম চালু করা হয়।

যাইহোক, আমাদের পূর্বোক্ত আলোচনায় যে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে তা হলো এই যে কুমিল্লা সমবায় উদ্যোগ মূলতঃ কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে, অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে গৃহীত হয়। কৃষি গবেষণার বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায় যে, বিভিন্ন সময়ে এটি কৃষি উন্নয়নের অন্যান্য সংস্থার সাথেও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত থেকেছে। তবে উদাহরণ থেকে দেখা যায় যে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুমিল্লা প্রোগ্রামের নামে যে কৃষক সমবায় সমিতিগুলো গড়ে তোলা হয় কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে সেগুলোর কার্যকারীতা খুবই কম। আমাদের বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায় যে কুমিল্লা প্রোগ্রাম পক্ষান্তরে ক্ষুদ্র ও ভূমিহীন চাষীদের কোন উপকারেই আসে নাই, বরং নিয়ম-নীতির ক্ষেত্রে, এই সমিতিগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও ভূমিহীন চাষীরা কার্যত সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। বাংলাদেশের মত একটি গরীব দেশে যেখানে শতকরা ৪৮ ভাগই ভূমিহীন কৃষক সেখানে কুমিল্লা মডেল অনুসৃত সমবায় সমিতি মূলতঃ শুধুমাত্র ধনী ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত কৃষকদেরই সুবিধা প্রদান করে আসছে।

বাংলাদেশের গ্রামীণ পর্যায়ে গবেষণার মাধ্যমে দেখা যায় যে গ্রামের ধনী ব্যক্তিরা বংশ পরম্পরায় অত্যন্ত সংগঠিতভাবে গ্রামে এই ধরনের কৃষি সমবায় সমিতিগুলোকে বংশ পরম্পরায় নিয়ন্ত্রিত করে থাকে। গবেষণা সংক্রান্ত এক জরীপের তথ্য থেকে জানা জানা যায় যে কুমিল্লা প্রোগামের আওতায় কৃষক সমবায় সমিতিগুলোর মধ্যে শতকরা পঞ্চাশ জনই মাঝারী ও ধনী কৃষক। জানা যায় যে বর্তমানে কুমিল্লা সমবায় সমিতিতে যারা টিকে আছে তারা শুধুমাত্র ঋণ বিতরণের মাধ্যমেই টিকে আছে এবং কোনক্রমেই ঋণ বিতরণ ব্যতীত কৃষি কাজের অন্য কোন ক্ষেত্রে এই সমিতিগুলো কোন সুবিধা প্রদান করতে পারে না। ঋণের ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে দেখা যায় যে এইসব সমিতিগুলোতে যখনই কোন ঋণ আসে তখনই সাথে সাথে এর সাথে সম্পৃক্ত ধনী কৃষকেরা নিজেরাই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এই অর্থ করায়ত্ব করে। অন্যদিকে, সমবায় সমিতিগুলো সেচ প্রক্রিয়ায় কোন সুবিধাই প্রদান করতে পারে নাই, বরং আমার জানা মতে বড় কৃষক ও জোতদার কৃষকগণ নিজেরাই তাঁদের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় সেচের জন্য স্বল্পন্নোত অল্প গভীর নলকূপ ক্রয় করেছে এবং অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তিরা অর্থের বিনিময়ে গ্রামের মাঝারী ও ছোট-বড় কৃষকদেরকে সেচের সুবিধা দিতে থাকে। এই ক্ষেত্রেও গরীব কৃষকেরা তাদের জমিতে সেচ প্রয়োগের ক্ষেত্রেও কুমিল্লা সমবায়ের কোন সহায়তা পায় না।

কিন্ত অতি সম্প্রতি কুমিল্লা মডেলের বিভিন্ন দিক নিয়ে পুনঃমূল্যায়নের প্রশ্ন এসেছে, এবং পুনঃমূল্যায়ন করতে গেলে বলতে হয় যে, ১৯৬০ এর দশকে কুমিল্লা মডেল অনেকটা পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে উদ্ভাবন করা হয়েছিল। গ্রামের ধনী কৃষকেরা সমবায়ের নামে দরিদ্রদেরকে তাদের সাথে সম্পৃক্ত রাখছে এবং ধনীরা পরোক্ষভাবে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করছে। দেশ স্বাধীন হবার পূর্বে, এই মডেলটি স্বৈরাচারী আইয়ূব সরকারের বুনিয়াদী গণতন্ত্রের এক কাল্পনিক মডেলের সাথে সম্পর্কিত করে সাধারণ কৃষকদেরকে ভাঁওতাবাজীর চাষাবাদে সংশ্লিষ্ট করার প্রয়াসে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হয়। বলাই বাহুল্য যে ফসল উৎপাদনের পরিমাণের ক্ষেত্রে বিশাল পরিবর্তন আনবার কারণে প্রারম্ভিক পর্যায়ে এই মডেল সমগ্র বাংলাদেশের কৃষক সমাজের সকলেই অত্যন্ত উৎসাহের সাথে গ্রহণ করে। কিন্তু প্রয়োগিক দিক থেকে এর ভবিষ্যৎ সমস্যার কথা অনুধাবন করেই ১৯৯১ সালে হংকং থেকে প্রকাশিত আমার এক গবেষণায় প্রবন্ধে আমি কৃষিক্ষেত্রে কুমিল্লা মডেলের সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছিলাম, যে, ওঃ ংযড়ঁষফ নব হড়ঃবফ ঃযধঃ ঃযব সড়ফবষ ভড়ৎসঁষধঃবফ নু ঈড়সরষষধ, ংযড়ঁষফ হড়ঃ নব ঃযব ভরহধষ ধহংবিৎ ঃড় ঃযব ধমৎধৎরধহ ফবাবষড়ঢ়সবহঃ রহ ইধহমষধফবংয. ওঃং াধষরফরঃু সধু ভঁৎঃযবৎ নব ঃবংঃবফ ধহফ ফবভরহরঃবষু ঃযবৎব ংযড়ঁষফ বাড়ষাব হবি রফবধং রহ রঃং ভৎধসবড়িৎশ। সত্যিকারভাবে কুমিল্লা মডেলের ক্ষেত্রে আজ এই বাস্তবতাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কেননা কুমিল্লা পদ্ধতিতে চাষের জন্য প্রয়োজন হয় যান্ত্রিক সেচ-পদ্ধতি এবং সেইসাথে অধিক মূল্যের রাসায়নিক সার। এই রাসায়নিক সার আমাদেরকে আমদানী করতে হয় পাশ্চাত্য দেশ থেকে যা পরোক্ষভাবে আমাদের কৃষকদের অনেকটা পাশ্চাত্ত নির্ভরশীল হতে বাধ্য করে। শুধু তাই নয়, অধিক পরিমাণে রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে দেশের কৃষি জমিগুলো প্রাকৃতিকভাবে উর্বরা শক্তি হারিয়ে ফেলছে এবং ধারণা করা যায় যে এক পর্যায়ে ভবিষ্যতে এই জমিগুলোর নিজস্ব উৎপাদন ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হবে। অন্যদিকে প্রচুর পরিমাণে পানি নির্ভরশীল এই কৃষি উৎপাদন মূলতঃ পাতালের পানিকে নির্দয়ভাবে তুলে আনার প্রবণতা বৃদ্ধি করেছে। সম্প্রতি প্রচুর পরিমানে পাতালের পানি উত্তোলন করবার কারণেই, পানিতে আর্সেনিক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে কিনা সেটিও গবেষণা করে দেখবার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

যাইহোক, কৃষি ক্ষেত্রে কুমিল্লা মডেলের অবদান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এই উদ্যোগের প্রতি আস্থাভাজন হয়ে আমাদের দেশের সাধারণ কৃষকগণ ষাট ও সত্তরের দশকে, আধুনিক কৃষিকে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যে, আধুনিক কৃষির জন্য বর্তমানে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে যান্ত্রিক প্রযুক্তি ভিত্তিক চাষ, উচ্চ-মূল্যের আমদানী করা বিদেশী সার, কীটনাশক ওষুধ, পাতালের পানি উত্তোলনের জন্য স্বল্পোন্নত অথবা গভীর নলকূপ। দরিদ্র কৃষকেরা এই ধরনের কৃষি উপকরণাদি প্রায়ঃশই সংগ্রহ করতে অক্ষম, এবং এর ফলশ্রুতিতে তাঁরা তাঁদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খন্ডিত জমিগুলোকে ধনী চাষীদের নিকট বিক্রয় করে নিজেরা হয়ে পড়ে সর্বশান্ত। এটি একটি বিশেষ ‘ঘূর্ণায়মান চক্র’ যা আধুনিক প্রযুক্তির নামে মূলতঃ আমাদের দেশের ধনী কৃষকদের ধনী এবং দরিদ্রদেরকে অতি-দরিদ্র করে তুলছে। তাই আমার ব্যক্তিগত ধারণা যে, আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি চাষ পরোক্ষভাবে পাশ্চাত্যের বহুজাতিভিত্তিক কৃষি উপকরণ প্রস্তুতকারক শিল্প-কারখানার মালিক, শিল্পপতি এবং ক্ষমতাধারী পশ্চিমা রাষ্ট্রসমূহকে আর্থিক দিক থেকে শক্তিশালী করে তুলছে।

পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে, বর্তমানে আমাদের দেশে কুমিল্লা মডেল অনুসৃত শতকরা ৭৫ ভাগ জমিতে উচ্চ ফলনশীল বীজের ধান চাষ করা হচ্ছে এবং মাত্র ২৫ ভাগ জমিতে স্থানীয় জাতের ধান চাষ করা হয়। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কুমিল্লা মডেলের চাষ পদ্ধতি তাই আংশিক পরিহার করে আমাদের স্থানীয় জাতের চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এই পরিমাণকে পূর্বের ২৫ ভাগ স্থানীয় জাতের চাষের সাথে আরো অতিরিক্ত ২৫ ভাগ জমি অন্তর্ভুক্ত করে, মোট ৫০ ভাগ জমিতেই স্থানীয় জাতের ধান চাষ করা যেতে পারে। এতে করে আমাদের জমিগুলো উর্বরতা ফিরে পাবে এবং সেইসাথে দরিদ্র কৃষকেরা ঐতিহ্যক কৃষিকাজে উৎসাহিত হবে। উচ্চ-ফলনশীল ধান যেহেতু আমদানীই করতে হয়, সুতরাং এই ক্ষেত্রে আমদানীর পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি করে দেশের খাদ্য সমস্যাকে মোকাবিলা করা যাবে বলে আমার ধারণা।

[লেখকঃ সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, এবং প্রফেসর, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়]

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor