Saturday, October 11, 2008

গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে অভাবনীয় সাফল্য

১০.১০.০৮
ডেসটিনি ।। সেনবাগ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা

মাত্র একদিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে ইচ্ছা শক্তি; অনবদ্য চেষ্টা আর মননকে কাজে লাগিয়ে অসাধ্যকে সাধন করে নোয়াখালী জেলার মডেল কৃষকের খ্যাতি অর্জন করেছেন সেনবাগ উপজেলার কৃষক মো. সাহাবউল্লা, গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সাহাবউল্লা যেমন এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন, তেমনি হয়েছেন লাভবান। ইতিমধ্যে সারাদেশে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। সম্মাননা হিসেবে তিনি পেয়েছেন সরকারি-বেসরকারি বহু লোকের সান্নিধ্য। কৃষি বিভাগের ব্লক সুপার ভাইজার থেকে শুরু করে কৃষিমন্ত্রী পর্যন্ত এসেছে তার সাফল্য স্বচক্ষে দেখার জন্য। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুও এক ঝলক দেখে গেছেন সাহাবউল্লার এ সাফল্য। যার সম্মাননা হিসেবে ইতিমধ্যে সরকারিভাবে এক মাসের বিদেশে ট্যুর করার সুযোগ পেলেন। ২০০৬ সালে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে সেনবাগ পৌর শহরের আমতলী নামক স্থানে ৩৬ শতাংশ জায়গা লিজ নেন। সেখানে চাষ করেন বারি টমেটো-৩ ও বারি-৪। তার খরচ হয় ৭০/৮০ হাজার টাকা। ২০০৬ সালের সাফল্য দেখে ২০০৭ সালেও অনুরূপভাবে টমেটো চাষ করেন; কিন্তু ওই বছর লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেশি ছিল। তিনি এতে পিছ পা না হয়ে, এ বছরও একই জায়গায় একইভাবে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করেন। এর পাশাপাশি সাহাবউল্লা চকোরী, আলাবী জাতের খিরা এবং শসা চাষ করেন। তিনি জানান, ৩৬ শতাংশ একটি উঁচু জায়গা লিজ নিয়ে সেখানে সর্বমোট ৭০০টি হাইব্রিট গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চারা লাগান এবং একই জমিতে ৮০০টি চমক, চকোরী, আলাবী জাতের খিরা এবং শসা গাছ লাগান। রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারজাত শুরু করেন।
ফলন ভালো হওয়ায় এবং দর ঠিক মতো পাওয়ায় কৃষক সাহাবউল্লা বেশ খুশি। সম্প্রতি সাহাবউল্লার সবজি ক্ষেতে গেলে তিনি জানান, টমেটো, শসা ও খিরা সবজি ক্ষেত রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য খরচ বাবদ তার প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ ক্ষেত থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার টমেটো ও খিরা বিক্রি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তাকে এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষি বিভাগের লোকজন সার্বক্ষণিক দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন বলে তিনি জানান। তার এ সফলতা দেখে এলাকার বেকার যুবকরা তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। তিনি তাদের উদ্দেশ্য বলেন, কেউ বেকার না থেকে এ ধরনের কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করলে একদিকে যেমন বেকারত্ব দূর হবে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কৃষক সাহাবউল্লার মতো অন্য যে কেউ এগিয়ে এলে তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা দেয়া হবে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor