Monday, October 6, 2008

মরিচের চারা বিক্রি করে লাখপতি

০৫.১০.০৮
মাটি ও মানুষের কৃষি
ইত্তেফাক ।। মনিরুল ইসলাম শাহীন

বজলু মোক্তার ছিলেন অস্বচ্ছল চাষী। সাধ্য ও সুযোগ না থাকায় লেখাপড়া করতে না পেরে অনেকটা বেকার জীবন কাটাতেন। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে কৃষিকাজ করে সংসার চালাতে বজলু মোক্তার চোখে অন্ধকার দেখতেন। অথচ নিজের বুদ্ধি ও পরিশ্রমে আজ তিনি ভাগ্যের চাকা পাল্টে দিয়েছেন। সংসারে এনেছেন সুখ ও স্বচ্ছলতা। সংসার চালাচ্ছেন বেশ নিশ্চিšে-।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার প্রত্যš- গ্রামের নাম সাপলেজা। দক্ষিণাঞ্চলের সুখ-দুঃখের সঙ্গী বলেশ্বর নদীর পূর্বতীরের একটি জনপদ। এ গ্রামের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী বজলু মোক্তার। আজ থেকে ২০ বছর আগে নিজস্ব সামান্য জমিতে বোম্বাই মরিচের বীজতলা তৈরি করে চারা বিক্রি শুরু করেন। এভাবে প্রথম বছরই মরিচের চারা বিক্রি করে স্বচ্ছলতার মুখ দেখেন তিনি। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। মরিচের চারা বিক্রি করেই লাখ লাখ টাকার মালিক বজলু। প্রতি বছর তার সাংসারিক খরচের পরও সঞ্চয় করছেন। বাড়াচ্ছেন কৃষি জমির পরিমাণ।

নিজে স্বাবলম্বী হয়েই বসে থাকেননি বজলু। নিজের সাফল্যের অভিজ্ঞতা দিয়ে এলাকার ৫০০ পরিবারকে সাফল্যের সন্ধান দিয়েছেন। সাপলেজা গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতেই যেন এখন এক একটা বোম্বাই মরিচের বীজতলা। দূর-দূরাš- থেকে চারা ব্যবসায়ীরা সাপলেজায় আসেন মরিচের চারা কিনতে। বজলু নিজেও নৌকায় করে মরিচের চারা বিক্রি করেন পার্শ্ববর্তী ভাণ্ডারিয়া, পাথরঘাটা, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে। ভাই মানিক, জলিল, চাঁন মিয়া, ফারুককে নিয়ে চলে তার চারা বিক্রির কাজ।

নৌকায় করে মোরেলগঞ্জে চারা বিক্রি করতে আসা বজলু মোক্তার জানান, পাকা বোম্বাই মরিচ থেকে বীজ সংগ্রহ করা হয় বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে। খোলা জায়গায় জৈব সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে বাঁশের তৈরি ঝাঁকা সাজানো হয়। এক একটি ঝাঁকায় শ্রবণ-ভাদ্র মাসে ২০ থেকে ২৫টি বীজ রোপণ করা হয়।

পৌষ-মাঘ মাসে চারা বিক্রি শুরু হয়। নৌকায় করে বিভিন্ন হাটে-বাজারে নিয়ে যাওয়া হয় চারা। প্রতিটি ঝাঁকা বিক্রি হয় ৫০ টাকায়। এক কেজি মরিচ বীজের ১০ হাজার পর্যš- চারা হয়। চারা রোপণের ৪০ থেকে ৫০ দিন পর মরিচ তোলা হয়। একাধারে এক একটি বোম্বাই মরিচ গাছ থেকে ৪ থেকে ৫ মাস মরিচ সংগ্রহ করা যায়।

বজলু মরিচ চারা বিক্রি করে এখন কৃষি জমির মালিক হয়েছেন। করেছেন পাকা বাড়ি। দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। বজলুর বড় ছেলে লেখাপড়ার ফাঁকে তারা চারা বিক্রিতে সাহায্য করে। সরকারের কাছে বজলু মোক্তারের প্রত্যশা তার মত উদ্যোগী চাষীদের সরকার সহযোগিতা করলে ব্যক্তিগত স্বচ্ছলতার পাশাপাশি অর্থনীতিতে কৃষির অবদান আরও বাড়বে। Ñমনিরুল ইসলাম শাহীনবজলু মোক্তার ছিলেন অস্বচ্ছল চাষী। সাধ্য ও সুযোগ না থাকায় লেখাপড়া করতে না পেরে অনেকটা বেকার জীবন কাটাতেন। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে কৃষিকাজ করে সংসার চালাতে বজলু মোক্তার চোখে অন্ধকার দেখতেন। অথচ নিজের বুদ্ধি ও পরিশ্রমে আজ তিনি ভাগ্যের চাকা পাল্টে দিয়েছেন। সংসারে এনেছেন সুখ ও স্বচ্ছলতা। সংসার চালাচ্ছেন বেশ নিশ্চিšে-।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার প্রত্যš- গ্রামের নাম সাপলেজা। দক্ষিণাঞ্চলের সুখ-দুঃখের সঙ্গী বলেশ্বর নদীর পূর্বতীরের একটি জনপদ। এ গ্রামের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী বজলু মোক্তার। আজ থেকে ২০ বছর আগে নিজস্ব সামান্য জমিতে বোম্বাই মরিচের বীজতলা তৈরি করে চারা বিক্রি শুরু করেন। এভাবে প্রথম বছরই মরিচের চারা বিক্রি করে স্বচ্ছলতার মুখ দেখেন তিনি। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। মরিচের চারা বিক্রি করেই লাখ লাখ টাকার মালিক বজলু। প্রতি বছর তার সাংসারিক খরচের পরও সঞ্চয় করছেন। বাড়াচ্ছেন কৃষি জমির পরিমাণ।

নিজে স্বাবলম্বী হয়েই বসে থাকেননি বজলু। নিজের সাফল্যের অভিজ্ঞতা দিয়ে এলাকার ৫০০ পরিবারকে সাফল্যের সন্ধান দিয়েছেন। সাপলেজা গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতেই যেন এখন এক একটা বোম্বাই মরিচের বীজতলা। দূর-দূরাš- থেকে চারা ব্যবসায়ীরা সাপলেজায় আসেন মরিচের চারা কিনতে। বজলু নিজেও নৌকায় করে মরিচের চারা বিক্রি করেন পার্শ্ববর্তী ভাণ্ডারিয়া, পাথরঘাটা, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে। ভাই মানিক, জলিল, চাঁন মিয়া, ফারুককে নিয়ে চলে তার চারা বিক্রির কাজ।

নৌকায় করে মোরেলগঞ্জে চারা বিক্রি করতে আসা বজলু মোক্তার জানান, পাকা বোম্বাই মরিচ থেকে বীজ সংগ্রহ করা হয় বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে। খোলা জায়গায় জৈব সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে বাঁশের তৈরি ঝাঁকা সাজানো হয়। এক একটি ঝাঁকায় শ্রবণ-ভাদ্র মাসে ২০ থেকে ২৫টি বীজ রোপণ করা হয়।

পৌষ-মাঘ মাসে চারা বিক্রি শুরু হয়। নৌকায় করে বিভিন্ন হাটে-বাজারে নিয়ে যাওয়া হয় চারা। প্রতিটি ঝাঁকা বিক্রি হয় ৫০ টাকায়। এক কেজি মরিচ বীজের ১০ হাজার পর্যš- চারা হয়। চারা রোপণের ৪০ থেকে ৫০ দিন পর মরিচ তোলা হয়। একাধারে এক একটি বোম্বাই মরিচ গাছ থেকে ৪ থেকে ৫ মাস মরিচ সংগ্রহ করা যায়।

বজলু মরিচ চারা বিক্রি করে এখন কৃষি জমির মালিক হয়েছেন। করেছেন পাকা বাড়ি। দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। বজলুর বড় ছেলে লেখাপড়ার ফাঁকে তারা চারা বিক্রিতে সাহায্য করে। সরকারের কাছে বজলু মোক্তারের প্রত্যশা তার মত উদ্যোগী চাষীদের সরকার সহযোগিতা করলে ব্যক্তিগত স্বচ্ছলতার পাশাপাশি অর্থনীতিতে কৃষির অবদান আরও বাড়বে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor