Monday, October 6, 2008

কৃষকরা ব্যাংক থেকে তিন বছর মেয়াদে ঋণ পাবেন

০৬.১০.০৮
সমকাল ।। সমকাল প্রতিবেদক

সব সময় ফসল উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত কৃষকরা ব্যাংক থেকে তিন বছর মেয়াদে ঋণ পাবেন। এখন থেকে দেশে কার্যরত দেশি-বিদেশি সব ব্যাংককে কৃষিঋণ বিতরণ করতে হবে। তাদের মোট সল্ফ¢াব্য বিনিয়োগের একটি অংশ কৃষিঋণের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গত সোমবার একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কৃষকদের ঋণ দিতে হয়রানি বল্পব্দ করাই এর লক্ষ্য। এতে যেসব ব্যাংক এখন পর্যšø চলতি বছরের কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেনি, তাদের অবিলল্ফে^ এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা কম ধরলে তাদের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেঁধে দেবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। ঋণ মঞ্জুর করার ক্ষমতা শাখা প্রধানকে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, যারা সব সময় ফসল উৎপাদন করেন, ওইসব কৃষককে তিন বছরমেয়াদি ঋণ দেওয়া হবে। আগের দেওয়া ঋণের সুদ ও আসল আদায় করার পর নতুন করে আর কাগজপত্র তৈরির প্রয়োজন নেই। আগের কাগজপত্র দেখেই ঋণ দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো কৃষক খেলাপি হলে তার ঋণ নবায়ন করে দিতে হবে। ঋণের জন্য দলিলাদির স¤ক্সাদন প্রত্রিক্রয়া সহজ করতে হবে। প্রতিটি ব্যাংককে তাদের মোট বিনিয়োগের একটি অংশ কৃষি খাতের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে।
প্রতি অর্থবছরের শুরুতে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। লক্ষ্যমাত্রা হতে হবে বাস্টøবভিত্তিক এবং তা পহৃরণ করার জন্য নিয়মিত তদারক করতে হবে।
যেসব ব্যাংকের পল্কèী এলাকায় নিজস্ট^ শাখা নেই, তারা এনজিওর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করতে পারবে। তবে ঋণ সঠিকভাবে ব্যবহƒত হচ্ছে কি-না নিশ্চিত করতে হবে সংশিè®দ্ব ব্যাংককে।
বন্যাকবলিত ১১ হাজার দুস্ট’ কৃষক পাচ্ছেন বিনামহৃল্যে সার ও বীজ
আবু কাওসার
উৎপাদন বাড়াতে বন্যাকবলিত এলাকায় ১১ হাজারের বেশি দুস্ট’ কৃষককে বিনামহৃল্যে সার ও উল্পুতমানের বীজ দেওয়া হবে। আট ধরনের ফসল বুনাতে এ সহায়তা দেওয়া হবে। ফসলগুলো হচ্ছে বোরো ধান, ভুট্টা, ডাল, লালশাক, পালনশাক, মুলা ও গাজর। আসল্পু শীত মৌসুমে জমি অনুযায়ী ক্ষুদ্র কৃষকদের এ সহায়তা দেওয়া হবে। কৃষি স¤ক্স্রসারণ অধিদফতর সহৃত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সহৃত্র জানায়, দুস্ট’ কৃষকরা যাতে ফসল উৎপাদন করে স্ট^াবলল্ফ^ী হতে পারেন, সে জন্য সরকার একটি কর্মসহৃচি হাতে নিয়েছে। এ কর্মসহৃচির নাম ‘ইনিশিয়েটিভ অন সোয়ারিং ফুড প্রাইসেস’। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্ট’া (ফাও) আর্থিক সহায়তায় এটি বাস্টøবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স¤ক্স্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) এটি পাস হয়েছে।
সহৃত্র জানায়, আলোচ্য কর্মসহৃচির মহৃল উদ্দেশ্য হচ্ছে দুটি। প্রথমত, দেশের ক্ষুদ্র ও প্রাšিøক চাষীদের ফসল উৎপাদন বৃ™িব্দ করার মাধ্যমে তাদের খাদ্য অভাব দহৃর করা; ™ি^তীয়ত, উল্পুত বীজ সরবরাহ করে উৎপাদন বাড়ানো। কৃষি স¤ক্স্রসারণ অধিদফতর সহৃত্রে জানা গেছে, প্রকল্কপ্পটি পরীক্ষামহৃলক হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এর সফলতার ওপর নির্ভর করে আরো বেশিসংখ্যক দুস্ট’ কৃষককে এর আওতায় আনা হবে। আগামী বছরের মধ্যে আলোচ্য প্রকল্কেপ্পর কাজ শেষ হবে।
আলোচ্য কর্মসহৃচির পটভূমি স¤ক্সর্কে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালে পরপর দু’দফা বন্যা ও প্রলয়গ্ধকরী ঘহৃর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়। এছাড়া খাদ্যশস্য ও কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় কৃষকরা আর্থিকভাবে অসহায় হয়ে পড়েন। ফলে তাদের পক্ষে উচ্চমহৃল্যে কৃষি উপকরণ ত্রক্রয় করে কৃষি উৎপাদন করা অসল্ফ¢ব হয়ে পড়েছে। এ অবস্ট’ায় ক্ষতিগ্রস্টø ক্ষুদ্র ও প্রাšিøক কৃষকদের কৃষি উৎপাদনে উপকরণ সহায়তা প্রদানের জন্য আলোচ্য কর্মসহৃচি গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছর যেসব এলাকা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্টø হয়েছে, ওইসব জেলার বসবাসরত প্রাšিøক কৃষককে বিনামহৃল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হবে। ২০০৭ সালের বন্যায় ১৫ জেলার ৯৯ উপজেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্টø হয়েছে।
কৃষি স¤ক্স্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুল হক সমকালকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ১১ হাজার ১৭৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রাšিøক কৃষক পরিবারকে নির্বাচিত করে সার ও বীজ বিনামহৃল্যে দেওয়ার সি™ব্দাšø নেওয়া হয়েছে। ওইসব কৃষকের মধ্যে যার যতটুকু জমি রয়েছে, তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বীজ ও সার বিতরণ করা হবে। জানা গেছে, কর্মসহৃচি বাস্টøবায়নে প্রাথমিকভাবে প্রায় চার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশি টাকা ব্যয় হবে সার ত্রক্রয়ে।
প্রসঙ্গত, যাদের সর্বনিল্ফু পাঁচ শতক পর্যšø জমি রয়েছে তাদের ভূমিহীন এবং পাঁচ শতক থেকে ৪৯ শতক জমি পর্যšø ক্ষুদ্র ও প্রাšিøক কৃষক ধরা হয়। দেশে প্রাšিøক চাষীদের সংখ্যা কত, তার কোনো সঠিক হিসাব সরকারের হাতে নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সারাদেশে প্রাšিøক চাষী তিন লাখের বেশি।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor