Tuesday, October 7, 2008

টিএসপি ও এমওপি সারের অভাবজনিত অপু®িদ্ব ও পোকার আত্রক্রমণ বগুড়া নওগাঁ ও জয়পুরহাটে আমন ফলন সিকিভাগে নামার আশগ্ধকা

০৭.১০.০৮
সমকাল ।। বগুড়া ব্যুরো/ নওগাঁ ও ক্ষেতলাল প্রতিনিধি

ঈদ এবার ভালো কাটেনি কৃষকের। ধানের শীষ বের হওয়ার মুহহৃর্তে সবুজ ক্ষেতগুলো ত্রক্রমেই বিবর্ণ হয়ে ওঠায় ফসলহানির দুশ্চিšøার ছাপ তাদের চোখে-মুখে। ফসল বাঁচাতে ঈদের দিনও কীটনাশক নিয়ে তাদের ছুটতে হয়েছে জমিতে।
কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমি প্রস্ট‘ত করার সময় প্রয়োজনীয় ফসফেট ও পটাশজাতীয় সার প্রয়োগ করতে না পারার কারণেই মহৃলত ধানগাছগুলো অপু®িদ্বতে আত্রক্রাšø হয়ে দিন দিন বিবর্ণ হয়ে পাতা মরে যাচ্ছে। ফসলের সল্ফ¢াব্য ক্ষয়ক্ষতির কথা অফিসিয়ালি বলতে মানা। তাই উত্তরাঞ্চলে কর্মরত ক’জন কৃষি কর্মকর্তা ‘অব দ্য রেকর্ডে’ জানান, অপু®িদ্বর কারণে ধানগাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় অঞ্চলভেদে ক্ষেতগুলোতে নানা ধরনের পোকার আত্রক্রমণও বাড়ছে। অপু®িদ্ব কাটাতে কৃষি বিভাগের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী কৃষক পটাশ মিশ্রিত পানি ¯েক্স্র কিংবা কীটনাশক ছিটিয়েও এখন ধানগাছের হারানো সবুজ রং ফেরাতে পারছেন না। কমছে না পোকার আত্রক্রমণও। বগুড়া, নওগাঁ ও জয়পুরহাট অঞ্চল ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমন আবাদের জন্য জমি প্রস্ট‘ত করতে ১ জুলাই মৌসুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই অর্থাৎ জুনের মাঝামাঝিতে কৃষকরা ফসফেট সার প্রয়োগ করে থাকেন। কিন্তু এবার বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের কোনো জেলাতেই নির্ধারিত সময়ে তো নয়ই, এমনকি এক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার সংগ্রহ করতে পারেননি। সময়মতো ওই দুই ধরনের সারের যে বরাদ্দ মেলেনি, তা কৃষি কর্মকর্তারা স্ট^ীকারও করেছেন। তবে ‘চাকরি বাঁচানোর’ কথা বলে কোনো কর্মকর্তাই বরাদ্দ ও উত্তোলন পরিস্টি’তির পরিসংখ্যান মিডিয়ার কাছে প্রকাশ করতে রাজি হননি।
বগুড়ায় কৃষি কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার মুখে জেলা প্রশাসনের সংশিল্গ®দ্ব শাখায় অনুসল্পব্দান করে জানা গেছে, জেলায় এমওপি সারের প্রথম বরাদ্দ দেওয়া হয় ২৮ জুলাই। ৩ হাজার ৬৬৩ মেট্রিক টনের বিপরীতে প্রথম বরাদ্দ মেলে মাত্র ৫০০ মেট্রিক টন। এরপর ৫ ও ৬ আগ¯দ্ব দু’দিনে বরাদ্দ দেওয়া হয় আরো ২ হাজার ৪৩৬ মেট্রিক টন। একইভাবে টিএসপির মোট চাহিদা ৫ হাজার ৫৭ মেট্রিক টন হলেও প্রথম বরাদ্দ মেলে ১৮ জুলাই মাত্র ১৬ মেট্রিক টন। এরও ১৭ দিন পর বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। নওগাঁয় জুলাই, আগ¯দ্ব ও সেপ্টেল্টল্ফ^রে যেখানে টিএসপির চাহিদা ছিল ১৭ হাজার ৬৯৩ মেট্রিক টন, সেখানে বরাদ্দ মিলেছে মাত্র ১ হাজার ৮৯৮ মেট্রিক টন। আর ১৬ হাজার ৪৯৯ মেট্রিক টন এমওপি সারের বিপরীতে বরাদ্দ এসেছে মাত্র ৩১৫ মেট্রিক টন।
মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ে টিএসপি ও এমওপি না পাওয়ার কারণে তারা ওই দুই ধরনের সার ছাড়াই আবাদে নেমে পড়েন। পরে অনেক দেরিতে সারগুলো ডিলারদের মাধ্যমে বাজারে ছাড়া হলেও দাম গত মৌসুমের তুলনায় ™ি^গুণের বেশি হওয়ায় কৃষকরা তা কেনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। গত মৌসুমে যেখানে প্রতি বস্টøা টিএসপির দাম ছিল ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার, আর এবার ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা পর্যšø উঠেছে। একইভাবে ১ হাজার ৫০ টাকা বস্টøার এমওপি এবার বিত্রিক্র হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা পর্যšø।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উচ্চ পদস্ট’ এক কৃষি কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, টিএসপি ও এমওপি সারের ঘাটতির কারণে এবার আমন আবাদে কৃষকরা পুরোপুরি ইউরিয়া সারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। ফলে ধানগাছ তরতর করে বেড়ে উঠলেও টিএসপি ও এমওপি সারের অভাবজনিত কারণে অপু®িদ্বতে আত্রক্রাšø হয়ে সেগুলো বিবর্ণ হতে শুরু করে। গাছে ধান জন্ম নেওয়ার মুহহৃর্তে তা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় সবুজ ধানগাছ লাল ও হলুদ রং ধারণ করার পাশাপাশি অঞ্চলভেদে ধানক্ষেতে মাজরা ও বাদামিসহ নানা ধরনের পোকার উপদ্রব বেড়ে যায়।
শস্যভাউত্তরাঞ্চলে খাদ্য উ™^ৃত্ত জেলাগুলোর অন্যতম বগুড়া, নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ হেক্টর জমির আমন ফসলই হুমকির মুখে পড়েছে। বিবর্ণ হয়ে যাওয়া ক্ষেত থেকে এবার সিকিভাগ ফলনও মিলবে কি-না তা নিয়ে শগ্ধিকত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তাদের আশগ্ধকা, কাগ্ধিক্ষত ফলন না হলে খাদ্য উ™^ৃত্ত ওই ৩ জেলায় ১২ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা মারাͧকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
আমন ফসলের সল্ফ¢াব্য পরিণতি কী হতে পারে তা এ অঞ্চলের নদীতীরবর্তী এক জেলার ঊর্ধ্বতন এক কৃষি কর্মকর্তার মšøব্য থেকেই স্টক্স®দ্ব অনুমান করা যায়। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পটাশ সারের ঘাটতিজনিত ফসলের এমন বিবর্ণ চেহারা গত ৪০ বছরেও দেখা যায়নি।
জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের কৃষক শামছুল আলম সমকালকে জানান, তিনি এবার যে ১৬ বিঘা জমিতে এবার ধান লাগিয়েছেন, এর সবই বিবর্ণ হয়ে পোকার আত্রক্রমণের শিকার হয়েছে। এ পর্যšø কয়েক দফায় ১০ হাজার টাকার কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো ফল পাননি। পাশর্^বর্তী আক্কেলপুর উপজেলার সোনাইমাগুরা গ্রামের আবদুল জলিল জানান, তার জমিতে লাগানো ধানগাছের পাতা মরে যাচ্ছে। পাতামরা রোগ থেকে আমন ফসল রক্ষার জন্য তিনি এ পর্যšø ৪ বার কীটনাশক ¯েক্স্র করেছেন; কিন্তু কিছু তো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন আরো নতুন পাতা মরে যাচ্ছে।
বগুড়া কৃষি স¤ক্স্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক রুস্টøম আলী জানান, যেসব কৃষক সময়মতো ফসফেট সার জমিতে প্রয়োগ করতে পারেননি, তাদের এখন ওই সার পানিতে মিশিয়ে ¯েক্স্র করতে বলা হয়েছে। তিনি অবশ্য স্ট^ীকার করেন, জমি প্রস্ট‘ত করার সময় টিএসপি ও এমওপি সার দিতে না পারলে ধানগাছ অপু®িদ্বজনিত রোগে আত্রক্রাšø হতে পারে।
জয়পুরহাট কৃষি স¤ক্স্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মহসীন আলী অবশ্য ফসফেট সারের ঘাটতির কথা মানতে রাজি হননি। তিনি ধানগাছ রোগাত্রক্রাšø হওয়ার পেছনে কৃষকদের ভারতীয় নিল্ফুমানের স্ট^র্ণা, মামুন ও রঞ্জিত জাতের বীজ ব্যবহারকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্কেèখ করেন।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor