Monday, October 6, 2008

ঠাকুরগাঁও কৃষকের দুশ্চিন্তার কারণ পাতাপচা রোগ আর পোকার আক্রমণ

০৬.১০.০৮
যায়যায়দিন ।। ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে আমন ধানে ব্যাপকভাবে ফসল বিনষ্টকারী কীটপতঙ্গের আক্রমণ ও পাতাপচা রোগের খবর পাওয়া গেছে। সদর, বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, হরিপুরসহ পাঁচটি উপজেলাতেই কমবেশি এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ব্যাপক পোকার আক্রমণের শুরুতেই দুই সপ্তাহ আগে যায়যায়দিনে এ ব্যাপারে খবর প্রকাশ হলেও কৃষি বিভাগ আগে থেকেই ব্যবস্থা না নেয়ায় আমন ধানের উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিরাট বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ মাইকে ঘোষণা করে কৃষকদের সচেতন করা ছাড়া অন্য কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। এদিকে কৃষকরা গ্রামে নানা ভেজাল যুক্ত কীটনাশক ব্যবহার করে পোকার আক্রমণ রোধে সফল হয়নি।
বর্ষা মৌসুমের শেষ প্রান্ত থেকে টানা বর্ষণের কারণে এ পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে বলে কৃষকরা ধারণা করছেন। তবে বিগত ৫/৭ দিন থেকে এটা ব্যাপক আকার ধারণ করলে কৃষি বিভাগের চৈতন্যের উদয় হয়। শুরুতে তারা পোকা আক্রমণের ব্যাপারটিকে গুরুত্ব না দিলেও কৃষকদের হাহাকারের মুখে গ্রামে গ্রামে ও পৌর এলাকায় মাইকিং করে কৃষকদের সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে কৃষকদের অভিযোগ মাইকিং ছাড়া এখন পর্যন্ত তাদের অন্য কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
সরকারি লক্ষ্যমাত্রা উফশি ও দেশি জাতের মিলিয়ে ১ লাখ ৯ হাজার হেক্টর হলেও বাম্পার ফলনের আশায় জেলার কৃষকরা ১ লাখ ২৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ করেছেন বলে কৃষি বিভাগ জানায়। টিএসপি সারের দু®প্রাপ্যতা ও চরম মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেশিরভাগ কৃষক রাসায়নিক সার অনেক কম ব্যবহার করতে পারায় এমনিতেই ফসল কম হওয়ার আশঙ্কায় ছিলেন। পোকামাকড়ের এ উপদ্রব তাদের পুরোপুরি পথে বসিয়ে দেয়ার আশঙ্কায় ফেলেছে। গত আমন মৌসুমে জেলায় ২ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন (প্রায়) আমন ধান উৎপাদিত হলেও এ বছর পোকার আক্রমণে হেক্টরের পর হেক্টর জমির আবাদ যেভাবে নষ্ট হতে শুরু করেছে তাতে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা বিরাজ করছে। যদিও গত বছরের তুলনায় ২৭ হাজার ৪০০ হেক্টর বেশি জমিতে রোপা আমনের আবাদ করেছে কৃষকরা। জেলার দৌলতপুরের কৃষক তহিদুল, রফিকুল, গৌরিপুরের আনছারুল, শহিদুল ও কাশেম জানায়, পোকার ব্যাপক আক্রমণে তারা ভয় পাচ্ছেন এক বস্তা ধানও ঘরে নিতে পারবেন কি না। এদিকে কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর আবহাওয়া সার্বিকভাবে ফসলহানিকর পোকামাকড়ের আক্রমণের জন্য খুবই উপযোগী। তাছাড়া বেশিদিন পানি থাকার কারণেই ধানগাছগুলোতে পচন ধরেছে। আশ্বিনী মঙ্গার দূরবস্থার মধ্যেও কৃষকরা কষ্ট করে বাজার থেকে যে কীটনাশকগুলো কিনছেন সেগুলোতে কোনো কাজ হচ্ছে না বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হায়াৎ ও সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়েছি।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor