Sunday, February 1, 2009

সান্তাহার গুদামে সাড়ে আঠারো হাজার টন টিএসপি ও এমওপি সার পড়ে আছে

০১.০২.০৯
ডেসটিনি ।। শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়া অঞ্চলের সান্তাহার গুদামে প্রায় সাড়ে আঠারো হাজার টন টিএসপি (তিউনেশিয়া) ও এমওপি (রাশিয়া) অবিক্রীত রয়েছে।
বগুড়ার সার ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ এলাকার কৃষকদের কাছে তিউনেশিয়ার টিএসপি ও রাশিয়ার এমওপি সার বেশ জনপ্রিয়। ইতিপূর্বে বগুড়ার বিএডিসি সান্তাহার গুদাম থেকে এ সার ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে বিক্রি করলেও হঠাৎ করে গত ২১ জানুয়ারি থেকে কর্তৃপক্ষ সার বিক্রি বন্ধ করে দেয়। ফলে বাজার থেকে এ সার উধাও হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের কৃষক আকরাম হোসাইন, জয়লাজুয়ান গ্রামের কৃষক নুরু ভূঁইয়া, গুয়াগাছির আদর্শ কৃষক হায়দার আলীসহ অনেক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজার থেকে তিউনেশিয়ার টিএসপি ও রাশিয়ার এমওপি সার উধাও হয়ে যাওয়ায় বাজারে ব্যাপকহারে ভারতীয় নিম্নমানের টিএসপি এমওপি সার ঢুকে পড়ছে। সরকারিভাবে চায়না টিএসপি পাওয়া গেলেও কৃষকরা তা কেনার আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সার ব্যবসায়ীরা।
সার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নিম্নমানের টিএসপি বাজারে বিক্রির সুবিধার্তে কতিপয় অসাধু আমদানিকারক সংশ্লিষ্ট দফতরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভালো মানের টিএসপি ও এমওপি বাজারে ছাড়তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। বিএডিসি বগুড়া অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক আব্দুল কাফির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ না থাকায় গত ২১ জানুয়ারি গুদাম থেকে সার বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি জানান, সান্তাহার গুদামে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টন টিএসপি (তিউনেশিয়া) ও ১০ হাজার টন এমওপি (রাশিয়া) সার মজুদ আছে। এদিকে এ বিপুল পরিমাণ সার কৃষকদের মাঝে অতি সত্বর বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়া এলাকার সার ডিলার ও কৃষকরা দাবি জানিয়েছেন।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor