Wednesday, February 11, 2009

এগ্রোবেজ সেক্টরে তিন বছরে ৯০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব

ইত্তেফাক ।। কারার মাহমুদুল হাসান

বিকেবি থেকে সংগৃহীত বিবরণীতে কৃষিভিত্তিক (অমৎড়নধংবফ) ৩৭টি বিভিন্ন বিষয়ে ঋণদান/বিতরণের চিত্রে দেখা যায় যে, (১লা জানুয়ারি-১৯৮০ থেকে জুন-২০০১ পর্যন্ত) সাড়ে একুশ বছরে মোট ৩৭৩৯টি প্রকল্পের কার্যক্রমে (প্রকল্প বলতে প্রতিটি এক লক্ষ টাকা এবং তার অধিক বুঝানো হয়েছে) মোট ৪৩০ কোটি ৩৮ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা ঋণ প্রদান/বিতরণ করেছে। আর এ কৃষিভিত্তিক খাতে বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে উক্ত সাড়ে একুশ বছরে বিকেবি ডেইরী, ফিশারী ও পোল্ট্রি এ তিনটি কৃষিভিত্তিক মূল খাতের হিসসা হলো-সর্বমোট ১০৯ কোটি ৫৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মাত্র।

সংগৃহীত তথ্যাদি পর্যালোচনায় আরও যে চিত্র বেরিয়ে আসে তা হলো ঃ

উল্লিখিত প্রতিবেদন অনুসারে সাড়ে একুশ বছরে (০১/০১/৮০ খেকে ৩০/০৬৩২০০১) বর্ণিত ৩৭টি অমৎড়নধংবফ খাতে মোট ৩৭৩৯টি প্রকল্পে (প্রকল্প বলতে প্রতিটি ক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকা এবং তার উপরে) বিতরণকৃত ঋণের (৪৩০ কোটি ৩৮ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা) বিপরীতে উক্ত সময়ে ঋণ আদায় (অসড়ঁহঃ জবপড়াবৎবফ) হয়েছে টাঃ ১৭১ কোটি ৯২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। ৩০/০৬/২০০১ তারিখে উক্ত বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে ওভারডিউ (ৃঙাবৎ উঁব) ছিল টাঃ ৪২৫ কোটি ০৪ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা এবং ঐ একই তারিখে (৩০/০৬/২০০১) উল্লিখিত ৩৭টি খাতে আউটস্ট্যান্ডিং (ৃঙঁঃংঃধহফরহম) ঋণের পরিমাণ ছিল টাঃ ৮১০ কোটি ৫৭ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা।

উল্লেখিত সাড়ে একুশ বছরের এ চিত্র পর্যালোচনান্তে যে কারোর কাছে প্রতীয়মাণ হবে যে, কৃষিভিত্তিক এ ঋণের প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রমে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যথাযথ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কৌশল এবং সর্বোপরি মনিটরিং কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারেননি।

সাড়ে ২১ বছরে কৃষিভিত্তিক মূল তিনটির প্রতিটি খাতে ঋণ প্রদান/আদায় ইত্যাদি পরিস্থিতি নিম্নরূপ ঃ



নং প্রকল্প মোট প্রকল্প সংখ্যা ঋণ বিতরণ ঋণ আদায় ঙাবৎ উঁব ঙাবৎ ঙঁঃংঃধহফরহম

ডেইরী ফার্ম/প্রজেক্ট ৯৮৯ ২০৬৪.৯৪ ১০১৫.৩৯ ২৯৪৮.১৪ ৪০১৯.৭০

পোলট্রি ফার্ম/প্রজেক্ট ৪৭৫ ৪০৬৮.৪২ ৯৩৬.২৪ ৩৫১২.৩০ ৭৪৫৮.৭১

ফিসারী ফার্ম/প্রজেক্ট ২৮৮ ৪৮২০.০৪ ৪৭৭.৫১ ১১০৯.০৪ ৪৯১৫.৭৬

মোট = ১৭৫২ ১০৯৫৩.৪ ২৪২৯.১৪ ৭৫৬৯.৪৮ ১৬৩৯৪.১৭



উল্লেখিত সময়ে (সাড়ে ২১ বছরে, উপরোল্লিখিত ৩টি খাতের সংগে সংশ্লিষ্ট আরও অতিরিক্ত ৪ ধরনের প্রকল্পে মাত্র ০১ (এক)টি ছাগল উৎপাদন কর্মকান্ডে/খাতে মোট ০১ লক্ষ টাকা, ৩২টি ঝযৎরসঢ় ঐধঃপযবৎু প্রকল্পে ৫৬১.৯৫ লক্ষ টাকা, ৩০৪টি ঝযৎরসঢ় পঁষঃঁৎব প্রকল্পে টাঃ ৭৭৪.৫৬ লক্ষ এবং ৩৩টি ইববভ ঋধঃবহরহম খাতে ১৫৯.০৬ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে বিকেবি থেকে।

উল্লেখিত ৪টি খাতে মোট ঋণ বিতরণের পরিমাণ ১৪৩৬.৫৭ লক্ষ টাকা, ঋণ আদায় ৪১৭.৯৪ লক্ষ টাকা এবং ঙঁঃংঃধহফরহম ঋণের পরিমাণ ২১১৬.১৫ লক্ষ টাকা (৩০/০৬/২০০১)। উক্ত খাত ৪টিতেও ঋণ প্রদান, কার্যক্রম বাস্তবায়ন, মনিটরিং ইত্যাদিতে অবহেলার চিত্র খুব পরিষ্কার।

কৃষিভিত্তিক (অমৎড়নধংবফ) মূল তিনটি খাতে (ডেইরি+পোল্ট্রি+ফিশারি) সালে ২১ বছরে ঃ

মোট ১৭৫২টি প্রকল্পে (প্রতি প্রকল্পে এক লক্ষ টাকা এবং তার উপর) ঋণ প্রদান করা হয়েছে সর্বমোট ১০৯ কোটি ৫৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।

উক্ত হিসেবে প্রতিবছর গড়ে উল্লেখিত ৩টি খাতে ঋণ বিতরণ পরিমাণ ৫ কোটি ৭ লক্ষ ১০ হাজার ১৮৫ টাকা মাত্র।

সাধারণ পর্যালোচনায় আরও দেখা যায় যে, উল্লেখিত তিনটি মূল উপখাতে প্রতিটি শাখা থেকে (মোট ৯২২টি শাখা বিবেচনায় আনা হলে) গড়ে প্রতি বছর মাত্র টাঃ ৫৫,০০০/- (পঞ্চান্ন হাজার টাকা)টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

এরপর প্রায় আট বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। ধারণা করা যায় যে উপরোল্লিখিত কর্মকান্ডে বিস্তার কম করে হলেও দ্বিগুণ বা তার বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তা অব্যাহত আছে।

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) কর্তৃক ৩০/০৬/২০০২ পর্যন্ত ঋণ বিতরণ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় নিম্নে বর্র্ণিত বিবরণ পাওয়া যায় ঃ

রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)-এর সর্বমোট ৩৪৯টি শাখা থেকে সংগ্রহকৃত (০১-১০-০২) তথ্য বিবরণী পর্যালোচনায় যে চিত্র পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় যে, উক্ত ব্যাংক শুরু থেকে এ পর্যন্ত (৩০-০৬-২০০২) ১) খামার/দুগ্ধবতী গাভী পালন কর্মকান্ডে টাঃ ৪২.২৬ কোটি, ২) ৫৪৯টি হাঁস-মুরগী খামার প্রকল্পে টাঃ ৪.৬৮ কোটি, ৩) ১০১০টি ছাগল-ভেড়া মিশ্র খামার প্রকল্পে টাঃ ১.৮১ কোটি টাকা, ৪) ৫৮৯৮টি পুকুর খনন/পুকুরে মাছের চাষ কর্মকান্ডে ২২.২৭ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।

রাকাব থেকে সংগৃহিত একই প্রতিবেদন ’অন্যান্য’ ঋণ খাতে শিরোনামে ৭১০১৬০টি কর্মকান্ডে ১৩৩৫.১৯ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতীয়মাণ হয় এ ঋণ এর (প্রতিক্ষেত্রে) প্রদানকৃত ঋণের পরিমাণ গড়ে ৩/৪ হাজার টাকা থেকে ৮/১০ হাজার টাকা হতে পারে।

বর্তমান মহাজোট সরকার তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে আগামী পাঁচ বছরে প্রতিটি পরিবার থেকে একজন বেকার যুবক/যুবতীর কর্মসংস্থান করার প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়েছে। পত্রিকান্তরে গত কয়েক সপ্তাহের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরা খবর পাঠ করে জানা যায় যে সদাশয় সরকার ইতিমধ্যে দেশের প্রতি উপজেলায়, ইউনিয়ন ও গ্রামে বেকার লোকজনের তালিকা প্রস্তুতির পরিকল্পনা শুরু করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি তাঁর এক বক্তৃতায় বলেছেন যে, দেশের সকল অঞ্চলে কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রত্যেক উপজেলায় সরকার কর্তৃক কারিগরী ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে কর্মসংস্থান মন্ত্রী মহোদয় তাঁর দেয়া এক বক্তব্যে বলেছেন যে, প্রতিটি ইউনিয়নে বেকার যুবক-যুবতীদের তালিকা প্রণয়নের কাজ অচিরেই শুরু করা হবে। এসবই ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য যে প্রস্তুতি, পরিকল্পনা, প্রশাসনিক অবকাঠামো এবং উদ্যোগ আয়োজন দরকার তা আক্ষরিক অর্থেই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আসল কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দেখা যাবে যে- চোখের সামনে অবলীলাক্রমে এক-দুই বছর পার হয়ে গেছে চিন্তা-ভাবনা করতে করতে। এখানে উল্লেখ্য যে, বিবিএস প্রকাশিত সর্বশেষ দলিলে (এপ্রিল-২০০৮) বাংলাদেশে বর্তমানে ২ কোটি ৫৪ লক্ষ ৯০ হাজার ৪ শত ২২টি পরিবার আছে।

উল্লেখিত প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) এবং রাজশাহী কৃষি ব্যাংক (রাকাব), মূলত এই দু’টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তথা ব্যবহার করে সারা দেশে আগামী অনধিক তিন বছরের মধ্যে কৃষিভিত্তিক উৎপাদনশীল কর্মকান্ডে কমপক্ষে ৮০ লক্ষ থেকে এক কোটি বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব।

বাংলাদেশে বর্তমানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৮৭৩১৯টি গ্রাম আছে। এর মধ্যে অনধিক এক/দুই পারসেন্ট গ্রাম নদী ভাঙনের কারণে হারিয়ে গেছে - যার কিছু সংখ্যক অবশ্য অন্যত্র বা নদীর অন্য পাড়ে জেগে উঠেছে চর আকারে।

গ্রামের সংখ্যা কম বেশি ৮৬ হাজার ধরে চলতি ক্যালেন্ডার বছর থেকে গড়ে প্রতিটি গ্রামে নিম্নে বর্ণিত কর্মকান্ড আগামী দুই মাসের মধ্যে শুরু করা যেতে পারে।

প্রতি গ্রামে সরকার মূলত বিকেবি ও রাকাব-এর অর্থায়নের মাধ্যমে (ক) মিনি ডেইরী (খ) মিনি পোল্ট্রি (গ) বীফ ফেটেনিং (ইববভ ঋধঃবহরহম) এবং (ঘ) পুকুরে মাছের চাষ- এ চারটি কৃষিভিত্তিক (অমৎড়নধংবফ) খাতে বেকার যুবক (এবং ক্ষেত্র বিশেষে যুবতী/মহিলা) দেরকে কর্মসংস্থান কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করে- প্রথম বছরে প্রতি গ্রামে ৫টি করে মিনি ডেইরী (অনধিক ৩টি থেকে ৫টি গাভী) ফার্ম, ২০০টি থেকে ৩০০ মোরগ-মুরগি সমন্বয়ে ৫টি করে পোল্ট্রি ফার্ম, ৩টি থেকে ৫টি গরু (ষাঢ় বা বলদ) সমন্বয়ে ৫টি ইববভ ঋধঃবৎরহম থ ফার্ম, ৩টি থেকে ৫টি পুকুরে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছের চাষ (বর্তমানে বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী ১৯ লক্ষাধিক পুকুর আছে বাংলাদেশে) এর ব্যবস্থাদি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রথম বছরে ক,খ,গ,ঘ ভুক্ত কর্মসমূহ ৮৬০০০ ী ২০ (৫+৫+৫+৫) = ১৭ লক্ষ ২০ হাজার ফার্ম স্থাপন করে প্রতিটি ক্যাটাগরির কর্মে কমপক্ষে দুই জন বেকার যুবক-যুবতীর প্রথম বছরে প্রায় ৩৪ (চৌত্রিশ) লক্ষ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব। একই প্রক্রিয়া দ্বিতীয় ক্যালেন্ডার বছরে ৩৪ লক্ষ থেকে ৪০ লক্ষ এবং তৃতীয় বছরে ৪০ লক্ষ বা তারও অধিক সংখ্যক বেকার যুবক-যুবতী তথা বেকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। কাজটি আপাতত দৃষ্টিতে কঠিন মনে হতে পারে তবে সরকার যদি পরিকল্পিত ভাবে দক্ষতার সংগে দেশপ্রেমিক অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গকে উপরোক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কাজে নিয়োজত করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি উপযুক্ত ’মনিটরিং ও ইভাল্যুয়েশন সেল’ গঠন করে (সে সংগে উল্লেখিত দুইটি ব্যাংক-এর সদর দফতরে একইভাবে) দৈনন্দিন মনিটরিং ও ’ফলোআপ একশন’ নিশ্চিত করতে পারেন তবে দেশে আগামী তিন বছরে প্রায় এক কোটি বেকার লোকজনের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা অবশ্যই করা সম্ভব। এখানে উল্লেখ্য যে, দেশে মাছ, মাংস, মোরগ-মুরগি ইত্যাদির উৎপাদন চাহিদার তুলনায় এক-চতুর্থাংশের কম।

উক্ত কার্যাদি সম্পাদনের জন্য প্রতিটি বিকেবি/রাকাব শাখায় (বিকেবি ৯২২+রাকাব ৩৪৫= মোট ১২৬৭) অতিরিক্ত ১টি করে সুনির্দিষ্টভাবে ’ অমৎড়নধংবফ প্রকল্প বুথ’ স্থাপন করার প্রয়োজন হবে শিক্ষিত ব্যাংক কর্মী নিয়োগ/নিয়োজিত করার কাজটি সম্পাদন/সম্পন্ন করতে হবে। কম্পিউটারের দক্ষতাসহ বাণিজ্যবিভাগে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণী ডিগ্রিপ্রাপ্ত কর্মী বিভিন্ন শাখায় নিয়োগ করা গেলে উদ্দেশ্যসাধন দ্রুত কর্যকর করা করা সহজ হবে। সে সাথে প্রয়োজন হবে ব্যাংক দুটির প্রতিটি আঞ্চলিক, বিভাগীয় ও ব্যাংক সদর দফতরে (বাংলাদেশ ব্যাংকসহ) সমৃদ্ধ ও কার্যকরী ’মনিটরিং সেল’ স্থাপনের। পরিকল্পিত ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ কাজগুলো দ্রুত সম্পাদন করা সম্ভব। এ সেলগুলোকে সিদ্ধান্ত প্রদানের প্রক্রিয়ায় পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেয়া যেতে পারে।

তাছাড়াও অন্যান্য যে সকল উৎপাদনশীল কর্মকান্ড সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে তা হলো :-

ক) অমৎড়নধংবফ খাতে উৎপাদন ও বাজারজাত কর্মকাণ্ডে কোন কোন ক্ষেত্রে জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি করা সম্ভব। খ) বেশ কিছু কৃষিপণ্য চৎড়পবংংরহম -এর মাধ্যমে অফফবফ মুল্য সংযোজন প্রক্রিয়ায় দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে ক্রম বর্ধিত বাজার সৃষ্টিতে অবদান রাখতে সম্ভব।

গ) চৎড়পবংংরহম ও বাজারজাত ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে আরো প্রায় কয়েক লক্ষ যুব-যুবতীর সাংবাৎসরিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ঘ) ব্যাপক কর্মসংস্থানের ফলে দেশে-গ্রামে-গঞ্জে জধফরপধষষু আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন সাধন সম্ভব ও সহজতর হবে।

ঙ) তৃণমূল পর্যায়ে সারা বাংলাদেশের পল্লী গ্রামসমূহে বসবাসকারী কোটি পরিবারের পরিকল্পিতভাবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সরকারের অর্থনৈতিক ভিত্তি (ইধংব) সম্প্রসারণ ও মজবুত হবে এবং দেশ-বিদেশে ওসধমব ইঁরষফরহম থ-এ বিশেষ অবদান রাখতে সহায়ক হবে। আপাতত; উপরোল্লিখিত প্রস্তাবসমূহ বিবেচনাপূর্বক যথার্থ মনে হলে আমলে এনে কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকার প্রধানকে সবিনয় অনুরোধ জানাই।

উক্ত কার্যাদি সম্পাদনের জন্য প্রতিটি বিকেবি/রাকাব শাখায় (বিকেবি ৯২২+রাকাব ৩৪৫= মোট ১২৬৭) অতিরিক্ত ১টি করে সুনির্দিষ্টভাবে ’ অমৎড়নধংবফ ঢ প্রকল্প বুথ’ স্থাপন করার প্রয়োজন হবে শিক্ষিত ব্যাংক কর্মী নিয়োগ/নিয়োজিত করার কাজটি সম্পাদন/সম্পন্ন করতে হবে। কম্পিউটারের দক্ষতাসহ বাণিজ্যবিভাগে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেনী ডিগ্রিপ্রাপ্ত কর্মী বিভিন্ন শাখায় নিয়োগ করা গেলে উদ্দেশ্য সাধন দ্রুত কর্যকর করা করা সহজ হবে।

সে সঙ্গে প্রয়োজন হবে ব্যাংক দুটির প্রতিটি আঞ্চলিক, বিভাগীয় ও ব্যাংক সদর দফতরসমূহে (বাংলাদেশ ব্যাংকসহ) সমৃদ্ধ ও কার্যকারী ’মনিটরিং সেল’ স্থাপনের। পরিকল্পিত ও কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ কাজগুলো দ্রুত সম্পাদন করা সম্ভব। এ সেলগুলোকে সিদ্ধান্ত প্রদানের প্রক্রিয়ায় পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেয়া যেতে পারে।

[লেখক: সাবেক সচিব]

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor