Tuesday, February 10, 2009

নীলফামারীতে ৬০০ সেচপাম্পে সংযোগ দেয়ার পরিকল্পনা

১১.০২.০৯
ডেসটিনি ।। নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারী জেলার অনাবাদি প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমি সেচনির্ভর ইরি-বোরো চাষাবাদের আওতায় আনতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চলতি অর্থবছর প্রায় ৬০০টি সেচ পাম্পে নতুন বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসব সেচপাম্প বিদ্যুতায়িত হলে এ জেলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দেড় লাখ মেট্রিকটন খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে জানা গেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (এমএস) প্রকৌশলী মইনুদ্দীন এজিএম (নিপর) কামাল হোসেন জানান, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭৯ হাজার ১৬৩ হেক্টর জমি। এর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮০ মেট্রিক টন। এ চাষাবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বাইরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভৌগোলিক এলাকা নীলফামারী সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৭ হাজার হেক্টর অনাবাদি জমি সেচনির্ভর ইরি-বোরো চাষের আওতায় আনতে প্রায় ৬০০টি সেচপাম্পে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন স্থাপনের কাজ আগামী সপ্তাহে শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আর এসব এলাকার সেচপাম্পগুলো বিদ্যুতায়িত হলে কৃষি বিভাগের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন খাদ্য বেশি উৎপাদন হবে। এছাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ সেচনির্ভর বোরো চাষাবাদে সেচ সুবিধায় বিদ্যুৎ সরবরাহে সতর্ক ভূমিকায় রয়েছেন। এর ফলে এবার রবি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ বোরো আবাদে ঝুঁকে পড়েছে এ জেলার কৃষককুল। নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নে গতকাল সরেজমিন বোরো চাষি মোজাম্মেল হক (৪৫), আফজাল হোসেন (৩৪) ও মজিবর রহমান (৫৫) জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজনেরও বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে এখনো কোনো কারচুপি পাওয়া যায়নি। আগামী দিনের প্রচ- খরতাপে বিদ্যুৎ সরবরাহের ভূমিকা কি-হয় তখন বুঝা যাবে। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আশঙ্কা করেন চাহিদার তুলনায় যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে তাতে লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে অবশ্যই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor