Saturday, February 14, 2009

চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে সমস্যার পাহাড়

১৪.০২.০৯
ডেসটিনি ।। চাঁদপুর সংবাদদাতা

চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনগুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ১০ বছর আগে ১৩টি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও বাধ্য হয়ে এ অযোগ্য ভবনগুলোতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে এখানকার গবেষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। দুটি হ্যাচারি জরাজীর্ণ ও একটি হ্যাচারি সিডরের আঘাতে ল-ভ- অবস্থায় পড়ে আছে। অর্থাভাবে তা আজো মেরামত করা হয়নি। অথচ এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে কৃত্রিম প্রজনন ও রেণু পোনা উৎপাদন কাজ করতে হচ্ছে।
১৯৬১-৬২ সালে নির্মিত চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিটউটে রয়েছে গবেষণাগার, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, একটি প্রসিদ্ধ লাইব্রেরি, মিলনায়তন এবং ১৫টি আবাসিক ভবন। এর মধ্যে বিগত বছরগুলোতে কোনো বড় ধরনের সংস্কার করা হয়নি। ফলে এ ভবনগুলোতে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল এবং প্রতিনিয়ত আস্তর খসে পড়ছে। যে কোনো মুহূর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে জেনেও এখানে কর্মরত লোকজন তাদের ছেলেমেয়েসহ বাধ্য হয়ে বসবাস করছে। ১৯৬৪-৬৫ সালে নির্মিত হ্যাচারিটি সংস্কার না করায় এর বিভিন্ন স্থান ভেঙে পড়েছে। হ্যাচারির ওভারহেড ট্যাংক, ইনকিউবেশন ট্যাংক, স্পনিং ট্যাংক, ৬টি সিস্ট্রান ও নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে। কয়েক দফা বন্যায় এই হ্যাচারির সঙ্গে সংযুক্ত ৪০টি পুকুরের পাড় ভেঙে এখন দু’তিনটি পুকুর এক হয়ে গেছে। এ ছাড়া লাইব্রেরিতে পানি পড়ে বহু মূল্যবান বই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যার পর চল্লিশ একর সম্পত্তির ওপর গড়ে ওঠা এই গবেষণা কেন্দ্রটি একটি ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়। অথচ দেশে সর্বপ্রথম গড়ে ওঠা এই গবেষণা কেন্দ্রটি দেশীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সাফল্যজনক অবদান রেখেছে। এর মধ্যে জাতীয় মৎস্য সম্পদ ইলিশ মাছ রক্ষাকল্পে বিভিন্ন সময়ে সরকারকে বিভিন্ন সাজেশন দেয়া, পুকুরে পাঙ্গাস মাছ চাষ ও কৃত্রিম প্রজনন, ধানক্ষেতে সমন্বিত মৎস্য চাষ, খাঁচায় মাছ চাষ, ফসলের ক্ষেতে পরিবেশ নষ্টকারী কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও ক্ষতিকর এ ধরনের কীটনাশক নিষিদ্ধ ঘোষণা ইত্যাদি বিষয়ে যথেষ্ট অবদান রেখে আসছে। চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিউিটের সমস্যাগুলো সমাধানকল্পে ২০০৪ সালে ৫ কোটি টাকার একটি প্রাক্কলন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়; কিন্তু আজো সেখানে অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ হয়নি।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor