Tuesday, February 10, 2009

ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনিশ্চয়তা

১১.০২.০৯
ডেসটিনি ।। ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো আবাদ মৌসুমের শুরুতে বিদ্যুতের লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। দিনে-রাতে টানা ৮/৯ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। বিদ্যুতের অভাবে কৃষকরা জমিতে বোরো রোপণ করতে পারছে না। আর যেসব জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে তা সেচের অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় চারা রোপা ক্ষেতে মরে যাচ্ছে। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৫৭ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে ইরি- বোরো রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়। ইতিমধ্যে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। বাকি জমিতে রোপা রোপণের জন্য কৃষকরা উঠে পড়ে লেগেছেন। কৃষি বিভাগের মতে, ১৫ মার্চ পর্যন্ত ইরি-বোরো রোপণ কাজ চলবে। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ কৃষক জমিতে রোপা রোপণের জন্য জমি ভিজালেও পর্যাপ্ত সেচের অভাবে চারা রোপণ করতে পারছে না। গড়েয়া এলাকার কৃষক মনজুরুল আলম শাহ জানান, তিনি গত ৩ দিন ধরে জমিতে রোপা লাগানোর উদ্যোগ নিলেও বিদ্যুতের অভাবে জমিতে পানি সেচ দিতে পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-২ এর আওতায় ১ হাজার গভীর নলকূপ চালু রয়েছে। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক আরিফ আহম্মেদ জানান, ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় জেলায় সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা ৪৭ মেগাওয়াট। কিন্তু বর্তমানে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ১৮ মেগাওয়াট, তাও অনিয়মিত। প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ কম পাওয়ায় রেশনিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা অনিয়মিতভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে। ফলে জেলায় ইরি-বোরো আবাদে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। কৃষকদের মাঝে শুরু হয়েছে হাহাকার। অপরদিকে শহর এলাকাতেও বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় শহরবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
প্রি-পেইড কার্ডের দাম ৩ গুণ
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-২ ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকদের কাছে ৫২ টাকার প্রি-পেইড কার্ড এখন ১৪০ টাকা আদায় করছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ অতিরিক্ত মূল্য আদায় শুরু করেছে। এর পূর্বে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও প্রতি প্রি- পেইড কার্ড ৫২ টাকা করে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করে। কয়েকদিন পূর্বে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা অফিসের সামনে ‘কার্ড তৈরি বন্ধ’ বলে স্টিকার সাঁটানো হয়। এরপর থেকেই কর্তৃপক্ষ রাতারাতি ১৪০ টাকা হারে আদায় শুরু করে। এ ব্যাপারে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-২-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফিরোজ হোসেইন জানান, এখন প্রতিটি কার্ড ১৪০ টাকা হিসেবে কিনে ১৪০ টাকা দরে কৃষকদের সরবরাহ করা হচ্ছে। এই অতিরিক্ত দাম আদায় করা হলেও কৃষকদের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। কৃষকরা দাবি জানায়, প্রি- পেইড কার্ডের দাম পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। অতিরিক্ত দামের কারণে কৃষকরা জমিতে সেচ দিতে পারছে না। তাই কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor