Friday, February 27, 2009

বড়লেখায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহতের আশঙ্কা

২০.০২.০৯
ডেসটিনি ।। বড়লেখা (মৌলভীভাজার) প্রতিনিধি

বড়লেখায় বোরো চাষের মৌসুম শুরু থেকেই বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন কৃষকরা। গত বছর লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ জমিতে বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হলেও চলতি মৌসুমে নানা প্রতিকূলতার কারণে লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা যায়, উপজেলা কৃষিবিভাগ এবার প্রায় সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। মৌসুমের শুরুতেই দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কবলে পড়েন কৃষকরা। পাহাড়ি ছড়া, নালা ও খালে পানি প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে যায়। উপজেলার ৪০/৫০টি ছড়া-নালায় বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ না নেয়ায় পানির অভাবে ফসলের মাঠ চৌচির হয়ে ওঠে।
বোরো চাষিরা জানান, সুষ্ঠু সেচ ব্যবস্থা না থাকায় বোরো ফসলের মাঠ ফেটে যাচ্ছে, দেখা দিচ্ছে নানা মড়ক। উপজেলায় বোরো চাষে ব্যবহারের জন্য যে কয়টি সেচ পাম্প রয়েছে তা নিয়েও ঘটছে তুঘলকি কা-। কৃষিবিভাগ ফসলের মাঠ থেকে সেচপাম্প জব্দ করছে আবার তাৎক্ষণিভাবে তা অন্য কৃষককে বরাদ্দও দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি মিটাতে না পারলে কৃষকের ওপর নেমে আসছে নানা খড়গ। প্রকৃত অনেক কৃষকের অভিযোগ বোরো ধান চাষাবাদে নানা সমস্যার সম্মুখীন হলেও কৃষি অফিসের পছন্দের ২/৪ জন কৃষক ছাড়া অন্যরা কৃষি অফিস থেকে তেমন সাহায্য সহযোগিতা পান না। উপজেলায় বিশাল কৃষিজমি থাকা সত্ত্বেও ঘুরেফিরে একই স্থানে স্থানীয় কৃষিবিভাগ সরকারি কার্যক্রম পরিচালিত করায় কৃষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নীরব ক্ষোভ বিরাজ চলছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মোন্নাফ জানান, ১০০টি সেচ পাম্পের মধ্যে ৮৫টি সচল রয়েছে। বিভিন্ন যন্ত্রপাতির অভাবে বাকিগুলো সচল করা যাচ্ছে না। বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার থেকে কোনো বরাদ্দ আসেনি। তবে স্থানীয়ভাবে পানি সেচের সুবিধার্থে বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চলছে।
এদিকে হাকালুকি হাওরপাড়ের কৃষকরা জানান, পরিকল্পনার অভাবে প্রতি বছর অকাল বন্যায় বিপুল পরিমাণ পাকা-অর্ধ পাকা বোরো ফসল তলিয়ে যায়। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ফসল রক্ষার্থে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। যদিও বেড়িবাঁধ নির্মাণের উপযুক্ত সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। বড়লেখা উপজেলা প্রকৌশলী নাজির আহামেদ চৌধুরী জানান, বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য সরকারি কোনো বরাদ্দ নেই।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor