Wednesday, November 12, 2008

রাজশাহীতে ধান কাটা শুরু ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা

১০.১১.০৮
ডেসটিনি ।। সুমন হাসান, রাজশাহী
রাজশাহী অঞ্চলে শুরু হয়েছে রোপা আমন ধান কাটা মৌসুম। কৃষকের মুখে হাসি থাকলেও তারা চিন্তিত ফলন নিয়ে। ফলন কম হওয়ার কারণ প্রয়োজনমাফিক সার না পাওয়া আর অপুষ্টিজনিত রোগাক্রান্ত হওয়া। এর ফলে কৃষক ধান উৎপাদনের খরচ মেটানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। আবার পরিবার-পরিজন নিয়ে পুরো বছর কীভাবে চলবে সে চিন্তায় কপালে ভাজ পড়ছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, গতবারের ধারাবাহিকতায় এ বছরো ধানের ফলন হবে।
মৌসুমের শুরুতে এবার পানির অভাব ছিল না। তবে প্রত্যাশা মতো সার মেলেনি। ফলে আবাদের পরপরই কৃষকদের নানানভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এতে ধানের শিষ ফোটার শুরুতেই ও পরে ধানগাছগুলো ক্রমেই বিবর্ণ হয়ে ওঠায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। কীটনাশক ব্যবহার করে এ অবস্থা থেকে ধান গাছ বাঁচানো যায়নি।
জানা গেছে, জমি প্রস্তত করার সময় প্রয়োজনীয় ফসফেট ও পটাশ জাতীয় সার প্রয়োগ করতে না পারার কারণেই মূলত ধানগাছের পাতা বিবর্ণ হয়ে পড়ে। আর অপুষ্টির কারণে ধানগাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এলাকাভেদে ক্ষেতগুলোতে নানা ধরনের পোকা সংক্রমিত হয়। কৃষক পটাশমিশ্রিত পানি ¯েপ্র কিংবা কীটনাশক ছিটিয়েও ধানগাছের সবুজ রং ফেরাতে পারেনি।
চাষিরা জানান, আমন আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করতে ১ জুলাই মৌসুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই অর্থাৎ জুনের মাঝামাঝিতে ফসফেট সার প্রয়োগ করতে হয়। কিন্তু এ বছর এ অঞ্চলের কোনো এলাকাতেই নির্দিষ্ট সময়ে তো নয়ই, এমনকি ধান রোপণের একমাস পেরিয়ে গেলেও কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার মেলেনি। অনেক দেরিতে সারগুলো ডিলারদের মাধ্যমে বাজারে ছাড়া হলেও দাম গত মৌসুমের তুলনায় দ্বিগুণ হওয়ায় কৃষক তা কিনতে পারেনি। গতবার যেখানে প্রতি বস্তা টিএসপির দাম ছিল ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা, এবারে তা ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। একইভাবে ১ হাজার ৫০ টাকা বস্তার এমওপি এবার বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২৫০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কৃষি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, টিএসপি ও এমওপি সারের ঘাটতির কারণে এবার আমন আবাদে কৃষকরা পুরোপুরি ইউরিয়া সারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। ফলে ধানগাছ তরতর করে বেড়ে উঠলেও টিএসপি ও এমওপি সারের অভাবজনিত কারণে অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়ে সেগুলো বিবর্ণ হতে শুরু করে।
এসব কারণে এবারে আমন ধানের উৎপাদন মারাত্মকভাবে বিঘিœত হওয়ার শঙ্কা থাকায় কৃষকদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor