Friday, November 21, 2008

চলনবিল অঞ্চলে নবান্ন উৎসবে প্রাণের মেলা

১৮.১১.০৮
সমকাল ।। সিরাজগঞ্জ/তাড়াশ প্রতিনিধি

দীর্ঘকালের প্রথা আর ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা মেনে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ভারতীয় পঞ্জিকা অনুযায়ী সোমবার চলনবিল অঞ্চলের মানুষেরা নবাল্পু উৎসব পালন করেছে। ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ অংশ নিয়েছে সর্বজনীন এই লৌকিক পার্বণে। মোটকথা সোমবারের এই দিনটিকে ঘিরে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া ও নাটোর জেলার সীমাšøবর্তী চলনবিল অঞ্চলজুড়ে নেমেছিল উৎসবের আমেজ। দহৃর-দহৃরাšø থেকে বউ-ঝি, আͧীয়স্ট^জনকেও নাইওর আনা হয়েছে এই নবাল্পুকে ঘিরে। বিশেষ করে এই অঞ্চলের আদিবাসী পল্কèীগুলো ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালন করেছে এ দিনটিকে। সহৃর্যোদয়ের আগে থেকে ধর্মীয় সঙ্গীত, কীর্তন, বাবা দয়ানন্দ ঠাকুরের মন্দিরে পহৃজা ও প্রসাদ বিতরণসহ বাড়ি বাড়ি লুচি-মাংস আর পিঠা-পায়েসের আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো। কোনো কোনো আদিবাসী পল্কèীগুলোতে অনেকগুলো পরিবারের রাল্পুা করা খাবার মন্দিরে একত্রিত করে তা দিয়ে করা হয়েছে গণভোজ।
বর্তমানে এই অঞ্চলের ঢেউ খেলানো দিগšø জোড়া বিস্টøৃর্ণ আমন ধানের মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব। এ বছর স্ট^ল্কপ্প স্ট’ায়ী বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় চলন বিলের বুকজুড়ে কৃষকেরা রোপা ও বোনা আমনের চাষ করেছিল। উপযুক্ত পরিবেশ বজায় থাকায় কৃষকেরা এ বছর ভালো ফলন পেয়েছে। কোনো কোনো স্ট’ানে মাজরা পোকার আত্রক্রমণ দেখা দিলেও তাতে তেমন ক্ষতি হয়নি ফসলের। যে কারণে এ বছর এই অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে নবাল্পেুর উৎসব ভিল্পু আমেজ নিয়ে এসেছে। এ বছরই চলনবিল অঞ্চলের অভাবী আদিবাসী আর প্রাšিøক কৃষকদের মাঝে ‘মরা কার্তিক’ তার বিষণু আর অভাবের রূপ নিয়ে দেখা দেয়নি।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor