Friday, November 7, 2008

সিংগাইরে আবাদি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে

০৭.১১.০৮
ডেসটিনি।।সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা

এক সময়ের ফল-ফসলে সমৃদ্ধ সবুজ বনাঞ্চল ঘেরা সিংগাইরে আবাদী জমিতে অপরিকল্পিতভাবে শিল্প কারখানা ও মৎস্য খামার গড়ে উঠায় কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। সেই সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবশে। উপজেলা কৃষি অফিসের একটি সূত্র জানায়, বর্তমানে আাবাদি জমির পরিমাণ গত ২০ বছরের মধ্যে প্রায় অর্ধেক নেমে এসেছে। ফলে ধানসহ আখ, পাট, কলাই, গম ও বিভিন্ন প্রকার রবি শস্যের উৎপাদন ও হ্রাস পেয়েছে। সিংগাইরের বুক চিরে শিল্প কারখানা ও মৎস্য খামার গড়ে ওঠায় এবং একশ্রেণীর মধ্যস্বত্বভোগী ভূমিদস্যু ও জালিয়াতচক্রের সহায়তায় শতবছরের পুরাতন গাছপালা কেটে নেয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে নানা প্রজাতির পাখিও। অপরদিকে একশ্রেণীর দালালচক্র নিরীহ কৃষকদের ফুসলিয়ে ধানি জমি বিক্রি করে দিচ্ছে শিল্পপতিদের কাছে। এখন অনেক সবুজ ধানের ক্ষেতে শোভাপাচ্ছে কোনো শিল্পপতির নামের সাইনবোর্ড।
এলাকায় অর্থবিত্তশালী কিছ লোক কৃষকের কাছ থেকে সামান্য টাকায় সফলি জমি ভাড়া নিয়ে তাতে মাছ চাষ করছে। মাটি কেটে পুকুর খনন করে অব কাঠামোগত পরবির্তন সাধন হওয়ায় ওই জমিতে আর কোনোদিন ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে না। অভিজ্ঞ মহল সূত্রে দাবি করেছে এভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০ বছরে সিংগাইরে আবাদি জমি, আরো ৫০ ভাগ কমে পর্যায়ক্রমে শূন্যতায় ভরে উঠবে। বর্তমান সিংগাইরে প্রায় ১০০টি বিল, ১২০টি মতো বাণিজ্যিক খামার ১৬০টি নার্সারি, ৭০০-৮০০টি মৎস্য পুকুরে ৪৭৫০ হেক্টরের মতো জমি রয়েছে যার প্রায় বেশিরভাগ ছিল বোরো কিংবা আউশ আমনের জমি।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor