Friday, November 28, 2008

সেচ মৌসুমে চাষাবাদ ব্যাহত ও শহরে লোডশেডিং বৃদ্ধির আশংকা

২২.১১.০৮
ডেসটিনি ।। সমকাল প্রতিবেদক

আসছে সেচ মৌসুমে মহানগরী ও শহর এলাকায় লোডশেডিং বাড়তে পারে। তবে শহরে লোডশেডিং করে সেচ কাজে নিরবচ্ছিল্পু বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেও সেচ কাজে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না সরকার। কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাসের সরবরাহ আরো কমে যাওয়ার সল্ফ¢াবনায় বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমে যাবে বলে বোরো চাষাবাদও ব্যাহত হওয়ার প্রবল আশগ্ধকা দেখা দিয়েছে। যদিও সরকার আশা করছে, বোরো চাষাবাদে তেমন সমস্যা হবে না। নলকূপগুলো ভালোভাবে চালানোর জন্য বিদ্যুৎ ও ডিজেল সরবরাহে সার্বিক প্রস্ট‘তি নেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে সারাদেশে পুরোদমে বোরো চাষাবাদ শুরু হবে। অবশ্য দেশের কোনো কোনো এলাকায় ডিসেল্ফ^র থেকেই এ চাষাবাদ শুরু হয়।
সেচ মৌসুমে নিরবচ্ছিল্পুভাবে ডিজেল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করার প্রস্ট‘তি নেওয়ার উদ্দেশ্যে গত বৃহ¯ক্সতিবার বিদ্যুৎ বিভাগে এক আšøঃমšúণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যুৎ সচিব ড. এম ফাওজুল কবির খানের সভাপতিÍে^ অনুষ্ঠিত সভায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংস্ট’াগুলোর প্রধান, জ্বালানি তেল বিপণনকারী সরকারি বিভিল্পু কো¤ক্সানি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, কৃষি মšúণালয়, বিআইড¦িèউটিএসহ সংশিè®দ্ব বিভিল্পু সংস্ট’ার প্রতিনিধিরা উপস্টি’ত ছিলেন। সভা শেষে সচিব ফাওজুল কবির খান এ বিষয়ে সমকালকে বলেছেন, ‘সরকার আশা করছে, গতবারের মতো এবারো ভালোভাবে কৃষকরা সেচকাজ করতে পারবেন। সেচকাজে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য সার্বিক প্রস্ট‘তি নেওয়া হচ্ছে।’ তবে তিনি উ™ে^গ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্ট‘ত রয়েছে। কিন্তু গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে কিছুটা সমস্যা আছে। গ্যাস সরবরাহ ঠিক থাকলে বিদ্যুতের সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না বলে তিনি জানান। সভা সহৃত্রে জানা গেছে, কাপ্টøাই হ্রদে পানি কমে গেছে। ফলে এ কেন্দ্রটি থেকে আশানুরূপ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে না। এজন্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সেচকাজে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তবে গ্যাসের সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সল্ফ¢ব হবে। সেচ মৌসুমে দেশের প্রত্যšø অঞ্চলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে নগর ও শহরাঞ্চলে লোডশেডিং বাড়বে কি-না জানতে চাইলে সচিব বলেন, এ মুহহৃর্তে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, সেচ মৌসুমে কমপক্ষে ২০ হাজার পা¤েক্স নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে ছোট-বড় ২ লাখ ৪৭ হাজার নলকূপ চলবে সেচ মৌসুমে। এর অধিকাংশ বিদ্যুৎনির্ভর। বিদ্যুৎ না থাকলে কৃষকরা ডিজেল দিয়েও নলকূপ চালু রাখেন। তবে ডিজেলে খরচ বেশি পড়ে। কৃষি মšúণালয় বিদ্যুৎ বিভাগকে জানিয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চলেই সেচের প্রয়োজন পড়ে বেশি। বিদ্যুৎ সচিব বলেছেন, উত্তরাঞ্চলে চাহিদা মেটাতে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোদমে চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জে বাঘাবাড়ীর কেন্দ্রগুলোও সচল রাখতে বলা হয়েছে। এবার সেচকাজে অতিরিক্ত চাহিদা বাড়তে পারে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ বিভাগ আশা করছে, শীতকালে বিদ্যুতের আবাসিক চাহিদা কিছুটা কমে আসবে। রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যšø অফ পিক আওয়ারে সারাদেশে বিদ্যুতের ব্যবহার দুই-তৃতীয়াংশ কমে যায়। এ সময়ে নলকূপ চালানোর জন্য কৃষকদের বলা হবে। বৈঠক সহৃত্রে জানা যায়, বিপিসি আশ^স্টø করেছে এবার ডিজেলের কোনো ঘাটতি হবে না। তবে উত্তরাঞ্চলের জন্য সমস্যা হলো নদীপথে নাব্যতা না থাকার কারণে জাহাজ বাঘাবাড়ী পর্যšø যেতে পারে না।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor