Wednesday, November 12, 2008

চাল উৎপাদন খরচ কেজি প্রতি পাঁচ টাকা বেড়েছে

১১.১১.০৮
সমকাল ।। আশরাফ খান

গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে কৃষকের এক কেজি ধান উৎপাদনে ব্যয় ৩ টাকা ২৪ পয়সা ও এক কেজি চাল উৎপাদনে ব্যয় ৫ টাকা ১১ পয়সা বেড়েছে। সার, সেচ খরচ, কৃষি শ্রমিকের দৈনিক মজুরি বাড়ায় উৎপাদন খরচও বেড়েছে। এক কেজি ধান উৎপাদনে কৃষকের উৎপাদন খরচ পড়ছে ১৪ টাকা ১৩ পয়সা, আর চালের ২১ টাকা ৮৪ পয়সা। সরকার ধান, চালের সংগ্রহমহৃল্য বাড়ালেও কৃষকের উৎপাদন খরচ যে হারে বেড়েছে সে তুলনায় যথে®দ্ব নয়। ১৩ লাখ টন মজুদ এবং আšøর্জাতিক বাজারে চাল-গমের দাম উল্কেèখযোগ্যভাবে কমলেও খোলাবাজারে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। চালের খুচরা মহৃল্য গত বছরের চেয়ে ৩৮ ভাগ ও পাইকারি মহৃল্য ৪০ দশমিক ২৫ ভাগ বেড়েছে। খাদ্য অধিদফতর ও কৃষি মšúণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা যায়।
কৃষি এবং খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্ট’াপনা মšúণালয় সহৃত্রে জানা গেছে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরের আমন উৎপাদন খরচের প্রাক্কলন অনুযায়ী সার বাবদ একরপ্রতি ৪ হাজার ৬৩৬ টাকা, সেচ ৯০০ টাকা এবং দৈনিক কৃষি শ্রমিক মজুরি ১৩৫ টাকা করে খরচ হয়। চলতি অর্থবছরে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮ লাখ ২০ হাজার হেক্টর। কৃষি স¤ক্স্রসারণ বিভাগের হিসাব মতে, প্রকৃতপক্ষে আবাদ হয়েছে ৬২ লাখ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ লাখ ৮০ হাজার হেক্টর বেশি। ১ কোটি ৩০ লাখ ৪৫ হাজার টন আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হবে বলে তারা গভীর আশাবাদী।
প্রাক্কলন অনুযায়ী কেজিপ্রতি আমন ধানের উৎপাদন খরচ ১৪ টাকা ১৩ পয়সা এবং চালের ২১ টাকা ৮৪ পয়সা। কৃষি মšúণালয়ের হিসাব অনুযায়ী গত বছর আমন ধান ও চাল উৎপাদনের এই খরচের পরিমাণ ছিল যথাত্রক্রমে ১০ টাকা ৮৯ পয়সা ও ১৬ টাকা ৭৩ পয়সা। ২০০৩-০৪ সালে এক কেজি ধান উৎপাদনে কৃষকের উৎপাদন খরচ পড়ে ১২ টাকা ৫৮ পয়সা। সংগ্রহ মহৃল্য ছিল ১২ টাকা ৮০ পয়সা। সংগ্রহ করা হয় ১ লাখ ৪৩ হাজার টন। ২০০৫-০৬ সালে উৎপাদন খরচ পড়ে ১৪ টাকা ৪৪ পয়সা, সংগ্রহমহৃল্য রাখা হয় ১৪ টাকা। মোট সংগ্রহ হয় ৮৩ হাজার টন। ২০০৬-০৭ সালে সংগ্রহমহৃল্য বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়। সে বছর কৃষকের উৎপাদন খরচ হয় ১৪ টাকা ৫৮ পয়সা। সংগ্রহমহৃল্য বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে সংগ্রহ বেড়ে যায় ১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে সংগ্রহমহৃল্য আরো ৪ টাকা বাড়িয়ে কেজিপ্রতি ২০ টাকা করা হয়। এবার আরো বাড়িয়ে ২৬ টাকা করা হলেও কৃষকের বর্ধিত উৎপাদন খরচের তুলনায় তা যথে®দ্ব নয়। সারের দাম ™ি^গুণেরও বেশি পড়ায় কৃষক সার কম পরিমাণে ব্যবহার করতে পারে। যার ফলে উৎপাদন কিছুটা হলেও ব্যাহত হওয়ার আশগ্ধকা করছেন সংশিè®দ্বরা।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে অভ্যšøরীণভাবে ১৫ লাখ টন চাল সংগ্রহের সংস্ট’ান রাখা হয়েছে। বোরো চাল আকারে মোট সংগৃহীত হয়েছে ১০ লাখ ৬০ হাজার টন। গত বছরের চেয়ে যা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টন বেশি। গুদামে রাখার জায়গা না থাকায় নতুন করে আর কোনো চুক্তি না করতে বলা হয়েছে। এ বছর মোট ১২ হাজার ৩৬ মিলের সঙ্গে চুক্তি হয়। এর মধ্যে ৯১ শতাংশই চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করেছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৫ লাখ টন চাল ও ৮ লাখ টন গম নিয়ে মোট ১৩ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানির সংস্ট’ান রাখা হয়েছে। এছাড়া খাদ্য সাহায্য রয়েছে ৩ লাখ ৭৪ হাজার টন। ভারত থেকে বেসরকারি খাতে প্রায় ১ লাখ টন গমের পুরোটা এ মাসেই আসবে।
সরকার ১ ডিসেল্ফ^র থেকে আমন সংগ্রহ শুরু করবে, চলবে ২৮ ফেব্র“য়ারি পর্যšø। সংগ্রহমহৃল্য স্টি’র করা হয়েছে চাল কেজি প্রতি ২৬ টাকা। এদিকে আšøর্জাতিক বাজারে চাল ও গমের দাম কমতে শুরু করেছে। আগ¯েদ্ব যে গমের দাম ছিল টনপ্রতি ৩৩৮ ডলার গত সপ্টøাহে তা ২৬৪ ডলারে নেমেছে। থাই ভাঙা চালের দাম ৪১২ ডলার। সি™ব্দ চালের দাম এখনো ৬২৫ ডলার। ভারতীয় চালের টন ৬৫০ ডলারই রয়েছে। আšøর্জাতিক বাজারে সি™ব্দ চাল আগ¯েদ্ব ছিল টনপ্রতি ৮২৬ ডলার। অক্টোবরের শেষ সপ্টøাহে ছিল ৬৯১ ডলার।
কৃষি মšúণালয় ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৩২ হাজার টন খাদ্যশস্যের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে। এর মধ্যে আউশ ২৩ লাখ ১২ হাজার টন। আমন ১ কোটি ৩০ লাখ ৯ হাজার টন, বোরো ১ কোটি ৮০ লাখ ১১ হাজার টন এবং গম ১০ লাখ টন। গত অর্থবছরে তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট উৎপাদন হয়েছিল ২ কোটি ৯৭ লাখ ৭৪ হাজার টন; বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এখন পর্যšø আমন উৎপাদনের চূড়াšø রিপোর্ট দিতে পারছে না। যে কারণে সরকার এখনো খাদ্য বাজেট চূড়াšø করতে পারছে না।
চালের খুচরা মহৃল্য এখন কেজিপ্রতি ৩০ টাকা ৩৬ পয়সা। গত বছরের তুলনায় ৩৮ ভাগ বেশি। গমের খুচরা মহৃল্য প্রতিকেজি এখন ২৯ টাকা ৩৮ পয়সা, গত বছর এ
সময়ে যা ছিল ২৪ টাকা ৭৩ পয়সা। গমের দাম বেড়েছে ১৪ শতাংশ হারে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor