Sunday, November 16, 2008

কৃষি উপকরণের দাম বাড়লেও আখের দাম বাড়েনি

১৬.১১.০৮
ডেসটিনি ।। চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

গত আখ মাড়াই মৌসুমের তুলনায় খোলাবাজারে এ বছর সারসহ সবরকম কৃষি উপকরণের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। তারপরও খোলাবাজারের তুলনায় কেরু সরবরাহকৃত সারসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম দুই থেকে চারগুণ বেশি নেয়া হয়েছে বলে আখচাষিদের অভিযোগ। এসব কারণে আখের মূল্যবৃদ্ধি না করায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় এ বছর আখের আবাদ কম হয়েছে।
কৃষকরা জানায়, গত মাড়াই মৌসুমের খোলা বাজারে সারসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণের দাম বেড়েছে অনেক। তারপরও কেরুর সরবরাহকৃত এমওপি সারের দাম খুচরা বাজারের চেয়ে কেজিপ্রতি ২০ টাকা করে বেশি নেয়া হয়েছে। অথচ আখের মূল্য ছিল আগের মতোই। গত রোপণ মৌসুমে কেরু কোম্পানি প্রতিকেজি টিএসপি সারের মূল্য নির্ধারণ করেছিল ১৯ টাকা ৪৫ পয়সা। এ বছর সেই সারের দাম ধরা হয়েছে কেজিপ্রতি ৭০ টাকা। ইউরিয়া সারের দাম ধরা হয়েছিল প্রতিকেজি ৫ টাকা ৬০ পয়সা এ বছর তা বৃদ্ধি করে নেয়া হচ্ছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা। মিউরিয়াম আখপটাশ এমওপি প্রতিকেজি ছিল ১৪ টাকা ৫ পয়সা তা বাড়িয়ে করা করা হয়েছে ৬২ টাকা ৬০ পয়সা। অন্যান্য কৃষি উপকরণের দামও বেড়েছে অনেক। আখচাষি আক্কাস আলী জানান, গতবার প্রতি একরে আখ চাষ করতে সব মিলিয়ে একজন কৃষক কেরুর কাছে ঋণী হয়েছিল ৭ হাজার টাকা। অথচ এ বছর ওই কৃষক একই জমিতে আখ আবাদ করে কেরুর কাছে ঋণী হয়ে পড়েছে একরপ্রতি ২৪ হাজার টাকা। যা গতবারের তুলনায় ৪ গুণ বেশি। ছোটশলুয়ার আখচাষি সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রতিমণ আখের দাম এ বছর ১০০ টাকা করা না হলে বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন হবে আখচাষিরা। এ বছর আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৪ হাজার একর জমি। যার মধ্যে কেরুজ রোপণ পদ্ধতিতে আখরোপণ করা হয়েছে ৮০০ একর।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor