Sunday, November 16, 2008

ফেনীতে রোপাআমনে খোলপোড়া রোগ, ফলন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

১৫.১১.০৮
ডেসটিনি ।। ফেনী প্রতিনিধি

ফেনী জেলার ৬টি উপজেলায় রোপা-আমন ধান ক্ষেতে পাতা পোড়ানো, খোলপোড়া রোগ ও পোকার আক্রমণে ফলন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় কৃষক মহা চিন্তিত। এ ছাড়া লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে কম উৎপাদন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কৃষি অফিস।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন উর্বর এলাকায় রোপা-আমন ক্ষেতে খোলপোড়া রোগ বেশি দেখা দিয়েছে। জেলা কৃষি অধিদফতর জানায়, জেলায় চিলতি মৌসুমে রোপা-আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ হাজার ৫০০ হেক্টর এবং বীজ তলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩২ হাজার ৮৫০ হেক্টর। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর বীজ তলা তৈরি হয়েছে।
অথচ খোলপোড়া ও পাতা মোড়ানো রোগে কৃষকের চোখে-মুখে কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। অনেক জমিতে খোল ঝলসানো পোড়া অবস্থায় পড়ে আছে। এ সব দেখে কৃষকরা হতাশ হয়ে গেছে। কৃষকরা না বুঝে দিকবিদিক ছুটাছুটি করছে। অনেকে হতাশার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। সঠিক কীটনাশক না দেয়ায় পোকার আক্রমণের তীব্রতা আরো বেড়ে গেছে। এতে কৃষকরা আরো বেশি দিশেহারা হয়ে গেছে। এ রকম সমস্যা কবলিত সদর উপজেলার ফাজিলপুর, ধর্মপুর, শর্শাদী, কাজীরবাগ, কালীদহ, লেমুয়া, ধলিয়া ও বালিগঞ্জ ইউনিয়নগুলোর বিভিন্ন জমিতে খোল পোড়া রোগের আক্রমণ দেখা গেছে। ফেনী উপজেলার উত্তর কাশিমপুর গ্রামের কৃষক মো. ইদ্রিস মিয়া (৫২) জানান, জমিতে ইউরিয়া সার বেশি দিয়েছি বলে এ সমস্যা হয়েছে। পরে কৃষি অফিসারকে দেখিয়েছি তিনি কিছু ওষুধের নাম লিখে দিয়েছেন। এখন মোটামুটি ভরসা পাচ্ছি। এ ছাড়া জেলার সোনাগাজী, দাগনভূঞা, পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়ায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কৃষকরা অভিযোগ করেছেন সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের অভাবে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ঘরে ঘরে প্রত্যেক কৃষককে প্রশিক্ষণের আওতায় এনে প্রশিক্ষিত করা প্রয়োজন।
অপরদিকে উপ সহকারী কৃষি অফিসার আজিজুর রহমান জানান, এ রোগ নির্মূলের জন্য প্রথমে কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদ, সুষম সার প্রয়োগ সারিতে রোপণ, না জেলে কীটনাশক ও সার ব্যবহার না করা, সঠিক সময় আগাছা দমন পরিমিত মাত্রায় সেচ ব্যবস্থা, কীটনাশক ব্যবহারে সঠিক ওষুধ, সঠিক সময় সঠিক মাত্রা সঠিক নিয়ম অনুস্মরণ করলে সুফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া নিয়মিত ক্ষেত্র পরিদর্শন করা প্রয়োজন। এ ছাড়াও তাৎক্ষণিক পোকার আক্রমণ নির্মূলের জন্য সরকারি নাইট্রো ৫০ ইসি, ১০ লিটার পানিতে ১০ মিলি মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করে দিতে হবে। রোগ দমনের জন্য কনটাফ ৫ ইসি এক একরে ২০০ মিলি একইভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া নিজ নিজ কৃষি উপ সহকারী কৃষি অফিসারের পরামর্শ নিতে হবে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor