Friday, November 28, 2008

কৃষি এবং কৃষকের ভাবনা

২৪.১১.০৮
ইত্তেফাক ।। কারার মাহমুদল হাসান

পহেলা অগ্রহায়ণ দিনটি পালন করে আসছে বাংলাদেশের জনগণ নবান্ন উৎসব হিসেবে। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা, পিঠা খাওয়া, নাচ-গান-আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে অনেক বছর থেকে। বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলিতে সীমিত আকারে হলেও রাজধানী ঢাকায় বিশেষ করে শাহবাগে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট বকুল তলায় মূলত সচ্ছল ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারের বিপুল সংখ্যক ছেলে-মেয়ে সাধ্য অনুযায়ী আনন্দ-আহলাদের সংগে এ দিবসটি হৈ-হুল্লোড়ের মাধ্যমে উদযাপন করে আসছে অনেক বছর থেকে। তবে সারাদেশে গ্রামেগঞ্জে কত সংখ্যক কৃষক পরিবার নবান্ন উৎসব দিবসটিকে কিভাবে কি প্রক্রিয়ায় পালন করে থাকেন কিংবা এ দিবসটির ব্যাপারে কোন খবরাখবর করার ফুরসৎ পান কিনা সরকারের কোন মহলে সে খবরাখবর আছে বলে মনে হয় না। উপরোক্ত প্রেক্ষাপটে বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পহেলা অগ্রহায়ণ তারিখটিকে এ বছর থেকে জাতীয় কৃষি দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে। প্রত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ১লা অগ্রহায়ণ তারিখে একদিকে কৃষকের ঘরে নতুন ফসল ওঠার আনন্দ আর অন্যদিকে কিষাণ বধূর ঘরে নতুন ধানের পিঠাপুলি। “নিজের গোলায় তুলবো ধান, গাইবো গান ভরবে প্রাণ”-এ শ্লোগানকে সামনে রেখে সম্প্রতি পালিত হয়েছে জাতীয় কৃষি দিবস। তাছাড়া, সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহরে মিটিং, মিছিল, সেমিনার, যন্ত্রসংগীত, বক্তৃতা, কবিতা, গান, কোথাও লাঠি খেলা, দাড়িয়াবান্দা, ঢাক-ঢোলের মাধ্যমে গান-বাজনা ইত্যাদি হরেক কিসিমের আনন্দ উপকরণ শ্লোগান-শোভাযাত্রা ইত্যাদি লীলা খেলা আনজাম-আয়োজনের মধ্য দিয়ে কৃষি উপদেষ্টা মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দিবসটি পালনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ধান কাটা উৎসবে মাননীয় উপদেষ্টাগণ যোগদান করে কৃষি দিবসকে উৎসবমুখর করার কর্মসূচীও নেয়া হয়েছিল। তবে ঐ দিবসে শুধুমাত্র যোগাযোগ উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) গোলাম কাদেরকেই গাজীপুরের এক কৃষকের পাকাধান ক্ষেতে কয়েক মুষ্টি ধান কাটতে দেখা যায়। অন্যদিকে কৃষি উপদেষ্টা ডাঃ চৌধুরী সাজ্জাদুল করিমকে ঐদিন কোন ধান ক্ষেতে ধান কাটতে দেখা না গেলেও বিকাল বেলায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার অফিসে দিবসটি স্মরণ করে একটি স্মারক ডাকটিকেট উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেখা যায়। তবে ১লা অগ্রহায়ণ তারিখে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংগে জাতীয় কৃষি দিবস বিষয়ে তিনি কথা বলেন এবং এ মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এ দিবস ঘোষণার ফলে কৃষক কুল উজ্জীবিত হবেন, কৃষিকাজে আরো মনোযোগী হবেন এবং ফলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে সহায়ক ও অনুপ্রেরণা যোগাবে।

এবার কৃষি দিবস পালনে সরকার মোট তিরানব্বই লাখ টাকার বাজেট নির্ধারণ করেছিল। যা প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি। আশা করা যায় আগামী বছর জাতীয় কৃষি দিবসে সরকারী পর্যায়ে আরো শান-শওকত-এর সংগে উদযাপনের জন্য বাজেট কমপক্ষে দ্বিগুণ উন্নীত করার ব্যবস্থা হবে। প্রথম জাতীয় কৃষি দিবস উপলক্ষে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, কৃষি উপদেষ্টা ও কৃষিসচিব এর বাণী সম্বলিত ক্রোড়পত্র বের করা হয়। এবার কৃষি দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় কৃষিই সমৃদ্ধি। ক্রোড়পত্রের কৃষিই সমৃদ্ধি শিরোনামে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত মূল নিবন্ধে বলা হয়েছে যে, দেশে গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের তুলনায় জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ কিন্তু খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে তিন গুণ। খাদ্যশস্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ডালবীজ, তেলবীজ, মসলা ফসল, ফল ও শাকসবজি ৭০’ দশকের তুলনায় কোন কোনটি শতাধিক পারসেন্ট (অর্থাৎ দ্বিগুণ বা তার চেয়ে কিছু বেশী) বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। তবে গত প্রায় চার দশকে ডাল ৪.২%, তেলবীজ ১২.৫% উৎপাদন বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নিবন্ধে বলা হয়েছে এ সুবর্ণ সাফল্যের মহানায়ক এ দেশের কৃষকরাই, আর কৃষকদের নিরন্তর সহায়তা ও কৃষি সেবা দিয়ে আসছে কৃষি মন্ত্রণালয়। উন্নতমানের বীজের প্রাপ্যতার বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, ডিএই’র সহযোগিতায় কৃষক এখন ধানবীজ চাহিদার প্রায় ১৭% পূরণ করতে পারছে। এখানে উন্নত মানের ধানবীজ উৎপাদন বিএডিসি’র অবদান বা সংশ্লিষ্টতার করা ভুলে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। কেন হয়নি-তা অতি আচানক বিষয় বটে। [ভোজ্য তেল নিয়ে দেশে অনেক বছর থেকে যে ভয়ংকর সংকট চলছে সে প্রেক্ষাপটে তেলবীজ উৎপাদনে কৃষি মন্ত্রণালয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত গত দুই বছরসহ ৭০’ দশকের পর ডিএই’র উপর ভর করে কৃষি মন্ত্রণালয় কি কি অনবদ্য অবদানে সক্ষম হয়েছে তার কোন উল্লেখ এ নিবন্ধে নেই।] সেচ এর কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে ৭০’ দশকের শুরুতে মোট আবাদী জমির ‘১৫% সেচের আওতায় ছিল যা এখন বেড়ে ৫৮%-এ উন্নিত হয়েছে আর সেই সাথে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে অর্থ সাশ্রয়ী সেচ প্রযুক্তি। এ সেচ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে বিএডিসি’র কোন ভূমিকা ছিল কিনা তা নিবন্ধে কোথাও কোন উল্লেখ করা হলো না তা রহস্যজনক বটে।

ক্রোড়পত্রের বিভিন্ন বাণীতে এবং প্রকাশিত নিবন্ধে কৃষি উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও মূল উপকরণ হলো মূলধন বা যা কৃষকগণ মূলত: বিভিন্ন রাষ্টায়ত্ত ব্যাংকে এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হতে ঋণ হিসাবে পাওয়ার কথা সে বিষয়ে কোথাও কোন উল্লেখ নেই। বিআরডিবি’ও তাদের আওতাধীন বিভিন্ন কৃষক সমবায় সমিতি’র সদস্যদেরকে সীমিতভাবে হলেও প্রতি বছর কৃষিঋণ আকারে সরবরাহ করে থাকে। কৃষকগণ বোরো মৌসুমসহ বিভিন্ন মৌসুমে উপরোল্লিখিত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কৃষিঋণ সংগ্রহ করে থাকেন। গত দুই-তিন বছর থেকে বিভিন্ন বেসরকারী ব্যাংকও মোটামুটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কৃষকদেরকে কৃষিঋণ দিয়ে যাচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে আমাদের বিনীত জিজ্ঞাসাঃ ব্যাংকসমূহ থেকে কোন ক্যাটাগরিতে গরীব কৃষক কৃষিঋণ সংগ্রহে উপযুক্ত বলে বিবেচিত হতে পারেন সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় কি অবহিত নয়। কৃষি মন্ত্রণালয় কি জানে না যে কৃষি উৎপাদনের সংগে কৃষিজমি চাষাবাদে যারা প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত তাদের প্রায় ৭০ ভাগই বর্গাদার চাষী, যাদের নিজের জমি নাই এবং জমি নাই বিধায় তাদের জমির দলিলও নাই। আর দলিল ছাড়া কোন ব্যাংকই এ ধরনের বর্গাচাষীদেরকে আইনত: কৃষিঋণ দিতে পারে না। বর্তমান কৃষি উপদেষ্টা সাহেব একাধিক বার বিভিন্ন সভায় পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার লোকজনের কাছে সহাস্যবদনে ঘোষণার পর ঘোষণা প্রদান করে বলেছেন যে, দেশে মূল ফসল উৎপাদনকারী বর্গাচাষীদেরকে কৃষিঋণ প্রদানের একটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি অতি তাড়াতাড়ি প্রণয়ন করা হবে। এরপর দিন যায়, মাস যায়, বছর যায় উপদেষ্টা পরিষদের মেয়াদও যায় যায়। কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় বিশেষত: শস্য উৎপাদনকারী কৃষকদের জন্য এবং সার্বিকভাবে দেশের খাদ্য উৎপাদন বিপুলভাবে বৃদ্ধির জন্য এ কাজটি যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা কৃষি মন্ত্রণালয়-এর কর্ণধারগণ এখন পর্যন্ত ঠাহর করতে পেরেছেন বলে তো মনে হয় না। জমিতে ফসল উৎপাদনকারী বর্গাচাষীগণকে (মোট ফসল উৎপাদনের প্রায় ৭১/৭৫ ভাগের সংগে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত) উৎপাদনের সবচেয়ে বড় উপকরণ - ‘মূলধন’ তথা কৃষিঋণ কিভাবে চাহিদা মোতাবেক সময়মত দেয়া যায় সে সব বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নির্লিপ্ত। অথচ দেশের ফসল উৎপাদনে ‘কৃষি ঋণ’ই প্রাথমিক বিবেচনায় সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।

এ কাজটি সহজে এবং কম সময়ে সম্পাদন করার জন্য নিম্নে বর্ণিত কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে উপকার হতে পারে: ক) মূলত কৃষি এবং কৃষিসংশ্লিষ্ট সার্বিক উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামকে এক একটি “উন্নয়ন ইউনিট” (নম্বর প্রদান সহ) চিহ্নিত করে (টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত) একটি তালিকা প্রণয়ন করা যায়। উল্লেখ্য, ২০০১-এর বিবিএস-এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের গ্রামের সংখ্যা ৮৭৩১৯টি। খ) প্রতিটি গ্রামে তথা ‘উন্নয়ন ইউনিটে’ কি পরিমাণ কৃষিজমি আছে, উক্ত জমির মধ্যে আবাদি, আবাদিযোগ্য, কিন্তু আবাদের আওতায় এখনও আনা হয়নি তার পরিমাণ (বিবরণ), সেসংগে জমি যা কৃষি আবাদের অনুপযুক্ত বা কৃষি কাজে ব্যবহারের সুযোগ সীমিত, সে সবের চিত্র। গ) প্রতি উন্নয়ন ইউনিটে (গ্রামে) প্রতি কৃষকের মালিকানাধীন জমিতে বছরে কয়টি ফসল উৎপাদিত হয়, ফসলের (বার্ষিক) পরিমাণ ও ধরন ইত্যাদি তথ্যাদি।

ঘ) জমির মালিক কৃষক (ইউনিট ভিত্তিক) নিজে কত একর জমিতে চাষাবাদ করেন এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেয়া কৃষিঋণের পরিমাণ (বাৎসরিক) কত। অন্যদিকে বর্গাচাষীগণ কর্তৃক (ইউনিট ভিত্তিক) কত পরিমাণ জমিতে চাষাবাদ করা হয় এবং তাদের মূলধন প্রাপ্তির সূত্র এবং পরিমাণ কত। বর্গচাষীদের (চাষাবাদকৃত জমির পরিমাণ উল্লেসহ) ইউনিট ভিত্তিক তালিকা, গ্রাম ইউনিয়ন উল্লেখসহ বাৎসরিক ঋণের চাহিদার পরিমাণ উল্লেখসহ তালিকা।

অন্যদিকে দেশের সেচকাজের জন্য ব্যবহৃত গভীর নলকূপের সার্বিক চিত্র সম্পর্কে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে- কিছু প্রস্তাব কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করতে পারেন। বিএডিসি, ডিএই এবং বিএমডিএ - এ তিন প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তিগণ কর্তৃক স্বাক্ষরিত (২৬/১০/০৮) এক প্রতিবেদনে দেখা যায় বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ চালিত (পিডিবি ও আরইবি) গভীর নলকূপের সংখ্যা ২৮,২৮৮। অন্যদিকে ডিজেল চালিত গভীর নলকূপের সংখ্যা ৩,০১৪টি। বিদ্যুৎ ও ডিজেলে পরিচালিত এবং সেচকাজে ব্যবহৃত মোট গভীর নলকূপের মাধ্যমে ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে ৭ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬ শত ৮০ হেক্টর জমিতে সেচ প্রদান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে যুগ্মভাবে স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে।

অতিশয় আচানক বিষয় হলো দেশে সেচকাজে ব্যবহৃত বিদ্যমান মোট গভীর নলকূপ-এর মধ্যে ১৮ হাজার ৪ শত ৬০টির মালিক হলো বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ১৬৫১৩টি কৃষক সমবায় সমিতি। উল্লিখিত গভীর নলকূপের মধ্যে এখন সচল আছে ১৪ হাজার ৭ শত ৬১টি এবং অচল (মেরামতের অপেক্ষায় হয়ে পড়ে আছে) ৩৬৯৯টি গভীর নলকূপ। দেশবাসীর দুর্ভাগ্য, গভীর নলকূপ বিষয়ে যৌথস্বাক্ষরে প্রণীত/প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিআরডিবি’র নামগন্ধ কোথাও নেই। অনুসন্ধানে জানা যায়- ডিএই এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এতদ্বিষয়ে বিআরডিবি’র সংগে কোন রকম আলাপ-আলোচনা করার প্রয়োজনীয়তাই অনুভব করেনি।

কৃষিঋণ এবং সেচকাজে ব্যবহৃত গভীর নলকূপ বিষয়ে প্রকৃত চিত্র বিষয়ে আমার প্রস্তাব হলো কৃষিঋণ চিত্র প্রণয়নের আঙ্গিকে প্রতিটি উন্নয়ন ইউনিটে কতগুলি গভীর নলকূপ, অগভীর নলকূপ এবং শক্তি চালিত পাম্প আছে এবং এসবের ব্যবহার পদ্ধতি ও পরিস্থিতি কি, খবরাখবর ও সহযোগিতা প্রদান করা গেলে সেচ যন্ত্রসমূহের সর্বোচ্চ ব্যবহার কিভাবে সম্ভব করা যেতে পারে, সে সব চিত্র বিবরণী অনধিক ৬ সপ্তাহের মধ্যে প্রণয়ন করা সম্ভব। সার্বিক চিত্র পাওয়া গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রচেষ্টায় এবং উপজেলায় কর্মরত অন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ একত্রে বসে আলাপ-আলোচনা করে জেলা প্রশাসক, উপ-পরিচালক, ডিএই এবং বিআরডিবি সমন্বয়ে গঠিত কমিটি সেচ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়াদি বিচার-বিশ্লেষণ করে করণীয় বিষয়ে বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য পরামর্শ ও সুপারিশ কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে পারেন। এর অনুলিপি দেশের প্রধান নির্বাহী, বিএডিসি, বিআরডিবি এবং ডিএই’র সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বরাবরেও প্রেরণ করতে পারেন।

এরপর কৃষিঋণ ও সেচযন্ত্র সংক্রান্ত তথ্যাবলী পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ ও প্রচারসহ ডিএই থেকে পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করে প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও, ইউএও, ইউআরডিও এবং উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে প্রেরণ করলে সংশ্লিষ্টদের পক্ষে নিরন্তর ফলোআপ একশন নেয়া সহজ হবে এবং দেশের কৃষক কুল ও দেশ উপকৃত হবে।

[লেখক : সাবেক সচিব]

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor