Wednesday, November 12, 2008

কৃষকের মাথায় হাত

১১.১১.০৮
যায়যায়দিন ।। স্টাফ রিপোর্টার যশোর

দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকরা গত কয়েক বছর ধরে অনুমোদনহীন ভারতীয় ধানের চাষ করছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে মিনিকেট, গুটি স্বর্ণা, জিএস, রনজিৎ, সাদা স্বর্ণা, লাল স্বর্ণা। সীমান্তবর্তী ভারতীয় অংশে ওই সব ধানের আশাতীত ফলন দেখে কৃষকরা নিজেরাই ওই ধানের বীজ সংগ্রহ করে চাষ করছেন। কিন্তু বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির ভারতীয় ওই বীজের কোনো অনুমোদন নেই। জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ৭ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ১২ হাজার ৯৭০ মেট্রিক টন। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুরের ৩০ শতাংশ জমিতে ভারতীয় অনুমোদনহীন ধানের চাষ করা হয়েছে। সরেজমিন যশোর সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া ও শাড়াপোল গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে রনজিৎ আর স্বর্ণা ধানের শীষ বের হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ধানে দুধ হচ্ছে না। শীষ এক পর্যায়ে কালো হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা এখন ধান ক্ষেতের পাশে মন খারাপ করে বসে থাকা ছাড়া আর কিছুই করতে পারছেন না। এ ব্যাপারে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুর রহমান গত শনিবার যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের মাঠ পরিদর্শন করে জানান, ঝড়ের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরো বলেন, শীত বা গরমে নয়, ঠিক সময়ে ধান রোপণ করা হলে কাক্সিক্ষত ফলন পাওয়া যাবে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor