Tuesday, September 23, 2008

সিদ্ধান্ত ভালো কিন্তু ছিদ্র বন্ধ হবে তো?

২৩.০৯.০৮
উপসম্পাদকীয়
কৃষিঋণ
সমকাল ।। দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু

স¤ক্স্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক দেশি-বিদেশি সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য কৃষিঋণ বিতরণ বাধ্যতামহৃলক করার যে সি™ব্দাšø নিয়েছে তা ইতিবাচক, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। ব্যাংকগুলোর জন্য কৃষিঋণ দেওয়া বাধ্যতামহৃলক হলেও কোন ব্যাংককে কী পরিমাণ কৃষিঋণ দিতে হবে, তা নির্দি®দ্ব করে দেওয়া হয়নি। এ বছর কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এই পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। ১৯৯০ সালে আর্থিক খাত সংস্ট‹ার কর্মসহৃচির আওতায় ‘ডাইরেক্ট লেন্ডিং’ প্রথা বিলোপ হয়ে যাওয়ার পর কৃষিঋণ বিতরণের বিষয়টি ব্যাংকের জন্য ঐচ্ছিক হয়ে পড়েছিল কিন্তু নতুন সি™ব্দাšেø ওই ঐচ্ছিক বিষয়টি হলো বাধ্যতামহৃলক।
কৃষিপণ্যের দাম বৃ™িব্দর সঙ্গে সঙ্গে এই খাতে ঋণ বিতরণে ঝুঁকি যে বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তাছাড়া মুনাফার প্রেক্ষাপট বিশেèষণ করলেও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হওয়ার কারণ নেই। এখনো মোট কৃষিঋণের সিংহভাগ জোগাচ্ছে রা®দ্ব্রায়ত্ত খাতের দুই ব্যাংক। তাদের অংশগ্রহণ সংকুচিত করে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের স¤ক্সৃক্ততা এ ক্ষেত্রে বাড়ালে সুফল পাওয়ার প্রত্যাশা অমহৃলক নয়। ধারণা করা যায়, বিশ^বাজারে খাদ্যশস্য নিয়ে সংকটের সৃ®িদ্ব না হলে পরিবর্তিত এই মনোভাব দ্র“ত সি™ব্দাšেø পৌঁছতে সাহায্য করত না। অর্থাৎ বিদ্যমান সংকট ও সামনে আরো যে গভীর সংকট অপেক্ষা করছে তা মোকাবেলায় উৎপাদন বৃ™িব্দই একমাত্র পথ, তা বিলল্ফে^ হলেও দায়িÍ^শীলদের বোধোদয় ঘটিয়েছে। কৃষি খাতে বিনিয়োগও যে অত্যšø জরুরি এবং এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান সব ধরনের প্রতিকূলতা দহৃর করা সরকারের অন্যতম বড় দায় তা-ও বোধকরি নীতিনির্ধারকরা বিলল্ফে^ হলেও অনুভব করতে সক্ষম হয়েছেন।
উপকরণ ও শ্রমের মজুরি বৃ™িব্দর ফলে সঙ্গতই কৃষকের ব্যয় বেড়েছে। সরকার এ খাতে অর্থ সংকট সত্ত্বেও প্রয়োজনের তাগিদেই ভর্তুকি বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা খুব তিক্ত। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ এবং জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষকের জোগানদানের বিষয়টি নতুন করে ব্যাখ্যা-বিশেèষণও নি®ক্স্রয়োজন। বলা হয়ে থাকে কৃষক দেশ-জাতির মেরুদ-, কৃষি হচ্ছে প্রাণ। কথাটা অমহৃলক নয়; কিন্তু তারপরও কৃষক এবং কৃষি কারোরই অগ্রগতির পথটা নয় মসৃণ। দৃশ্যত মসৃণের চে®দ্বার কোনো ঘাটতি দেখা না গেলেও বাস্টøবতার কঠিন চাবুকে কৃষক জর্জরিত। দেশের কৃষি খাতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে বটে কিন্তু তা সহজলভ্য হয়নি বিধায় কাগ্ধিক্ষত মাত্রা ¯ক্সর্শ করা এখনো রয়ে গেছে স্ট^পেুর ব্যাপার। গত ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষককে যে প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে উৎপাদনের চাকা সচল রাখতে হয়েছে, তা সচেতন মহলের অজানা নয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই ইরি-বোরো মৌসুমে সার নিয়ে তুঘলকি কা- ঘটে চলেছে। বিদায়ী জোট সরকারের আমলে কৃষি খাতে ভর্তুকির অর্থের বড় অংশ কৃষকদের কল্যাণে না লেগে কীভাবে ব্যক্তি বা মহলবিশেষের উদরে ঢুকেছে, এর তথ্য-উপাত্ত পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে বহুবার। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ইরি-বোরো মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই দেশের শাসনভার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ন্যস্টø হলেও আড়তদার, মজুদদার, ডিলার ও দলীয় ব্যবসায়ী চত্রক্র বা সিন্ডিকেট পুরো চরিত্র বদলাতে যে পারেনি, এরও বিস্টøর প্রমাণ রয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই (জানুয়ারি-ফেব্র“য়ারি) সার সংকট এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে যে, তা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে সার বিতরণ ও ব্যবস্ট’াপনার জন্য সেনাসদস্যদের মাঠে নামাতে হয়। এর মধ্যে কৃষক সময়মতো ঋণ পাননি।
কৃষকের জন্য সরকার যেমন, ইতিহাসও তেমনি দহৃরবর্তী ও উদাসীন। কৃষিকাজকে কেউ কেউ আমোদ করে বলেন, জাতীয় রল্পব্দনশালা। কিন্তু সে যে তারও বেশি, তা তারা টের পান না। নেতা-নেত্রী কিংবা সরকার তাদের খবরও রাখেন খুব কম। বিস্ট§য়কর অথচ সত্য, জাতীয় ইতিহাসে কৃষকের স্ট’ান হয় না। মুক্তিযু™েব্দর ইতিহাসই (?) এর বড় প্রমাণ। আমাদের অধিকাংশ ঘরই কৃষকের ঘর, অথচ সেই খবর ইতিহাসের কাছে পৌঁছে না! এই ব্যর্থতার দায় দেশের রাজনৈতিক নেতৃÍে^র, যারা কৃষকের কাছে শুধু ভোট চান, তাদের অধিকারের মহৃল্য দেন না। তুলনায় শ্রমিকের মর্যাদা সামান্য হলেও দৃশ্যত অধিক; কিন্তু শ্রমিক আর কয়জন, অধিকাংশই তো কৃষক, যারা শুধু আজ নয়, বহু আগেও ছিলেন। তবে কৃষককেও প্রয়োজন হয় বৈকি। কেবল যে খাদ্য উৎপাদনের বেলায় তা তো নয়, রাজনীতির বেলায়ও বিশেষ করে ভোটের সময়। এরপর কৃষক হয়ে যান তুচ্ছ, তার ন্যায্য অধিকার লুটেপুটে নিতে চলে দুর্বৃত্তপনা এবং তা এতটাই ভয়াবহভাবে বিদায়ী জোট সরকারের আমলে হয়েছে যা লাজলজ্জারও কোনো গ-ি মানেনি। সমাজের অনেকেই তাদের ক্ষতি নানাভাবে পুষিয়ে নেন বা নিতে পারেন, কিন্তু কৃষক? তারা যে তিমিরে ছিলেন এখনো সেখানেই আছেন। আজও তাকে নির্যাতন সইতে হয় উৎপাদনের জন্য, জীবন বাঁচানোর জন্য, দেশের সমৃ™িব্দর জন্য। অথচ প্রায় বিপরীতটাই হওয়া ছিল সঙ্গত এবং স্ট^াভাবিক। জাতীয় রাজনীতি তাকে নিজের মধ্যে আনতে চায় না, কেবল ভোট ছাড়া। শ্রমিককে চায়, কেননা শ্রমিক সংগঠিত। তাকে একসঙ্গে পাওয়া যায়, মিছিলে-হরতালে তারা কাজে লাগে। কৃষক সেভাবে তাদের কাজে লাগেন না। কিন্তু তারা ভুলে যান, কৃষক যদি একবার জেগে ওঠেন তাহলে বড় বিপদ। গোটা ব্যবস্ট’াই ভেঙে দিতে পারেন কৃষক। চাষী চাষ না করলে শুধু যে খাদ্যই জুটবে না তা তো নয়, রা®দ্ব্রও পড়বে সমহৃহ বিপদে, যেহেতু দেশটা কৃষিনির্ভর।
স্ট^াধীন বাংলাদেশেও কৃষকদের যে বঞ্চনা, দুর্ভোগ, প্রতিকূলতা ডিঙাতে হচ্ছে তা অনাকাগ্ধিক্ষত হলেও বাস্টøবতা ভয়াবহ। এমন দৃ®দ্বাšøও সামনে আছে, নামমাত্র কৃষিঋণের জন্য সংশিè®দ্ব ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কৃষকের কোমরে রশি বাঁধার আয়োজন করে। কিন্তু ওই যে তথাকথিত শিল্কপ্পপতি যারা কোটি কোটি টাকা আͧসাৎ করে বসে আছেন, যারা খেলাপি হিসেবে চিহিক্রতÑ তাদের কোমরে কি রশি পড়ে? কৃষকের বিরু™েব্দ সার্টিফিকেট মামলা দায়ের হয়। চত্রক্রবৃ™িব্দ সুদের কবলে পড়ে বহু কৃষক আর ইহজীবনে ঋণ শোধ করতে পারেননিÑ এমন দৃ®দ্বাšøও বিরল নয়। মাঝে মধ্যে কৃষিঋণ মওকুফ করে দেওয়ার কথা বলা হলেও এর সুফল সব কৃষকের ভাগ্যে জোটে কি? অথচ কৃষকের কাছ থেকে অনাদায়ী ঋণ আদায়ে কর্তৃপক্ষকে নমনীয় হওয়া প্রয়োজন, কারণ বিদ্যমান পরিস্টি’তি কৃষকের চরম প্রতিকূলে। ঋণ আদায়ে ব্যাংক নিয়মতাšিúক পদক্ষেপ নিতে পারে; কিন্তু এর পাশাপাশি মানবিক বিষয়টিও ভেবে দেখা প্রয়োজন। বিদ্যমান সংকটে কৃষক এমনিতেই দিশেহারা। দ্রব্যমহৃল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করার উ™^ৃত্তও কৃষকের হাতে নেই। বড় বড় ঋণখেলাপি আর সাধারণ কৃষকদের এক কাতারে ফেলে দেখা কি সমীচীন? ফসল মরলে যেমন তাদের মরণ, ফসল ভালো হলেও তাদের মরণ। ওই যে দাদন ব্যবসায়ী, সুদখোর, যারা ক্ষেতের ধান অনেক কম মহৃল্যে আগাম কিনে নিয়েছে, তাদের থাবা থেকে এ দেশের কৃষকের মুক্তি নেই। অতীতে ঋণ প্রদানে ব্যাংকগুলোর নানারকম জটিলতার কারণে উৎপাদনের চাকা সচল রাখতে কৃষককে ওই রক্তচোষা চত্রেক্রর কাছে যেতে হয়েছে, যে কারণে উৎপাদিত ফসল কৃষকের ঘরে না উঠে তাদের উদরে গেছে। পাঁচ হাজার টাকা কৃষিঋণ পাওয়া কৃষকের জন্য অত্যšø দুরূহ, সংশিè®দ্ব কর্তাদের তৈরি নিজস্ট^ ব্যবস্ট’ার কারণে। ঋণ পাওয়ার আগেই তাদের তু®দ্ব করতে হয়। পরিশোধ করতে বিলল্ফ^ হলে পুলিশ বাড়িতে যায়, কোমরে দড়ি দেয়; কিন্তু কোটি কোটি টাকার ঋণখেলাপিরা গোঁফে তা দেন। এ চিত্র কতটা পাল্কেল্টছে এর জবাব দেবে ভবিষ্যৎ।
কেবল ঋণ নয়, বীজ, সার, ডিজেল এবং কীটনাশক বিতরণেও নজরদারি কঠোর করা দরকার। চলতি আমন মৌসুমকে সফল করে তুলতে এবং ভবিষ্যতে গোটা কৃষি ব্যবস্ট’ার পথ মসৃণ করতে ঋণ বিতরণের যে সি™ব্দাšø নেওয়া হয়েছে, এর সুফল যাতে কৃষক পান, সে ব্যবস্ট’া নিশ্চিত করা চাই। ব্যাংকগুলো যাতে কোনো তুঘলকি কা- না ঘটাতে পারে এবং ব্যাংকের দরজা যাতে কৃষকের জন্য কণ্টকমুক্ত থাকে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা জরুরি। অতীতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্নীতিবাজ অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তু®দ্ব করলেই ঋণ পাওয়া যাবেÑ এই যে অলিখিত রীতি পরিলক্ষিত হয়েছে, এর যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়টিও জরুরি। অর্থাৎ সব ছিদ্র বল্পব্দ করতে হবে। ব্যাংকগুলো যাতে সামাজিক দায়িÍে^র অংশ হিসেবে কর্তব্য পালনে নিষ্ঠ হয়, সে ব্যাপারে দায় সরকারের। বলিষ্ঠতার সঙ্গে কৃষিঋণ কার্যত্রক্রমের সঙ্গে স¤ক্সৃক্তদের দুর্নীতি দমন করা না গেলে এই শুভ উদ্যোগ নি®ম্ফল হতে বাধ্য। সে সঙ্গে ঋণের পরিমাণও খুবই গুরুÍ^পহৃর্ণ ব্যাপার। একজন কৃষককে দেওয়া ঋণ-সাহায্য যদি কৃষি উপকরণের ব্যয় মিটিয়ে চালানি পুঁজি হিসেবে কিছু টাকা তার হাতে না থাকে, তবে কৃষকের মেরুদ- সোজা হবে কী করে?
ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে বর্গা ও প্রাšিøক চাষীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ দেশের সিংহভাগ কৃষক বর্গাচাষী। এখন নতুন নিয়মে কৃষিঋণ বিতরণ করতে গিয়ে আবারো যদি সেই পুরনো কায়দায় যাদের জমি আছে শুধু তাদেরই মহৃল্যায়ন করা হয়, তাহলে বর্গাচাষীরা যে তিমিরে আছেন সেখানেই থেকে যাবেন। তাদের জন্য আবর্তক শস্যঋণ ব্যবস্ট’া চালু করা প্রয়োজন, যাতে তারা একবার আবেদন করে তিন মৌসুম ঋণ পেতে পারেন। আমাদের অভিজ্ঞতায় আছে, যারা কখনো লাঙলে হাত দেন না, তারা ওই অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় কৃষিঋণ উত্তোলন করে অন্য খাতে বিনিয়োগ করেন। এ ধরনের যাতে কোনো কিছু না ঘটে তা লক্ষ্য রেখে বর্গা ও প্রাšিøক চাষীদের পরিচয়পত্রের ব্যবস্ট’া করে তাদের ঋণ পাওয়ার পথ সুগম করতে হবে। তা না হলে খাদ্য নিরাপত্তা অনিশ্চিতই থেকে যাবে।
আমাদের দেশে পুঞ্জীভূত কৃষিঋণ আদায়ে ব্যর্থতার জন্য সরকারের দেওয়া তহবিল ‘রিভলভিং ফান্ড’ হিসেবে সফল হয়নি। সে জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উল্পুয়ন ব্যাংককে বারবার পুনঃঅর্থায়ন করতে হয়েছে। কৃষিঋণ আদায় না হওয়ার অন্যতম কারণ হলো শস্যঋণের একটা অংশ দালাল ও একশ্রেণীর কর্মকর্তার পকেটে যাওয়ার ফলে শস্য উৎপাদনে ঠিকমতো ব্যবহƒত হয় না। সব মিলিয়ে দেখতে হবে কৃষিঋণের শস্যঋণ অংশটি যেন সত্যিকারের কৃষকের হাতে যায়। ঠিক সময়ে তারা যেন টাকাটা হাতে পান। এ পরিস্টি’তিতে বেসরকারি ব্যাংকগুলো যদি কৃষকদের ঋণ বিতরণ শুরু করে তাহলে দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে তা আশা করা যায়। এছাড়া জামানতবিহীন কৃষিঋণ যদি বর্গাচাষীদের দেওয়া সল্ফ¢ব হয়, তাহলে কৃষি খাতে বৈপ্টèবিক পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে। বর্তমানে কৃষি উপকরণের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে কৃষকরা আর্থিক সহায়তা ছাড়া কৃষি খাতে উৎপাদন বাড়াতে পারবেন না। এর সাফল্য নির্ভর করবে মাঠ পর্যায়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে কতটা আগ্রহী হবে তার ওপর। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সুদের হারও এ ক্ষেত্রে গুরুÍ^পহৃর্ণ। ঋণ নেওয়ার প™ব্দতিও সহজ করতে হবে।
রা®দ্ব্র ও সমাজের যত ঝড়ঝঞ্ঝা তা কৃষকের ওপর দিয়েই সর্বাগ্রে বয়ে যায়। বন্যাতে সবার আগে সে-ই ভাসে। খরাতেও সে-ই পোড়ে। তবে এর সবটাই যে প্রকৃতিসৃ®দ্ব তা নয়, মনুষ্যসৃ®দ্বও কম নয়। গঙ্গার পানি বণ্টনই বলি আর টিপাইমুখের বাঁধের কথাই বলি না কেন, উৎকণ্ঠাটা তারই অর্থাৎ কৃষকেরই বেশি, সমস্যাও তারইÑ এটা আমলাতšেúরও নয়, রাজনীতিকদেরও নয়। যারা দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় জোগানদাতা, যারা না বাঁচলে গোটা রা®দ্ব্রই বিপল্পু হবে, উল্পুয়ন-অগ্রগতি তো দহৃরের কথা, অস্টিøÍে^র মহৃলে টান পড়বে, তাদের উল্পুতি না ঘটিয়ে দেশ-জাতির উল্পুতি ঘটানোর উপায় আছে কি? গোটা ব্যবস্ট’ার কাছে কৃষক সমাজ জিল্ফি§। তাই ব্যবস্ট’ার বদল না ঘটাতে পারলে অবস্ট’ার বদল দুরূহ। কৃষিঋণ কার্যত্রক্রম অবশ্যই সব ধরনের দুর্নীতি ও ছ™§বেশী কৃষক, টাউট-বাটপার ও মধ্যস্ট^Í^ভোগীদের লুটপাট থেকে মুক্ত রাখতে না পারলে সব প্রচে®দ্বা এবং উদ্যোগই মাঠে মারা যাবেÑ দায়িÍ^শীলরা যদি এই বিষয়টি বিস্ট§ৃত না হন তবেই মঙ্গল।

লেখক : সাংবাদিক

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor