Monday, September 22, 2008

গঙ্গাচড়ায় মঙ্গা মোকাবেলায় ব্রিধান ৩৩ চাষে কৃষকদের ব্যাপক সাড়া

২২.০৯.০৮
ইত্তেফাক ।। গঙ্গাচড়া সংবাদদাতা ।।

মঙ্গা মোকাবিলায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আমন মৌসুমে ব্রিধান-৩৩ চাষে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। সরকারের গৃহীত কর্মসূচীর আলোকে চলতি বছর উত্তরাঞ্চলে ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাত ব্রিধান-৩৩ লাগানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ৭টি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বেসরকারি সংস্থাগুলো হচ্ছে আর ডি আর এস, ব্র্যাক, কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বাংলাদেশ এবং পার্টনার এনজিও, গ্রামীণ আত্মউন্নয়ন সংস্থা, কৃষি অঙ্গন ও সীড। এসব এনজিও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার সরকারের পাশাপাশি কাজ করছে।

ব্রিধান-৩৩ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে এর অধিক। শুধুমাত্র রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এ বছর ১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে ব্রি-ধান ৩৩ লাগনো হয়েছে। তা অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ভঙ্গ করেছে।

উপজেলার হাবু গ্রামের কৃষক তৈয়ব আলী, আজিজুল ইসলাম জানান, মানুষের কাছে শুনে এ বছর প্রথম তারা ব্রি-ধান ৩৩ লাগিয়েছে। ধান বের হচ্ছে। হয়তো আর ২০/২৫ দিনের মধ্যে ধান কাটবে। গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের ধামুর বোতলার পাড় গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান ড্রাম সিডারের মাধ্যমে সরাসরি ব্রি-ধান ৩৩ রোপণ করেছেন। ধান পাকতে শুরু করেছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ধান কাটবেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আজম জানান, সরকার উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা মোকাবিলায় ব্রি-ধান ৩৩ চাষে জোর দিয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার ও বিভিন্ন এনজিও কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম এ মজিদ জানান, উত্তরাঞ্চলে প্রতিবছর আর্শ্বিন-কার্তিক মাসে মৌসুমী মঙ্গা দেখা দেয়। এ সময় শ্রমিকদের হাতে কোন কাজ থাকে না। এজন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রিধান-৩৩ নামক একটি আগাম জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন। তিনি আরও বলেন, ব্রিধান-৩৩ সরাসরি বপন করলে ১০৩ থেকে ১০৫ দিন এবং রোপণ করলে ১১৫ থেকে ১১৮ দিন সময় লাগে। আশ্বিন-কার্তিক মাসেই ধানের কাটা শেষ হয়ে যাবে।

ড. এম মজিদ আরও বলেন, ব্রিধান-৩৩ আগাম জাতের ধান হওয়ায় অন্যান্য ফসল বিশেষ করে আলু, ডাল, ভুট্টা আগাম চাষ করা যাবে।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor