Saturday, September 20, 2008

ফুলবাড়িয়ায় আনারস চাষে হরমোন প্রয়োগ আকার রং বদলে গেলেও হারিয়ে যাচ্ছে সেই মিষ্টি স্বাদ গন্ধ

২১.০৯.০৮
সমকাল ।। কবীর উদ্দিন সরকার হারুন, ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ)

কয়েক দিনেই হƒ®দ্বপু®দ্ব হয়ে ওঠে ক্ষেতের আনারস। রংও বদলে হয়ে যায় ‘মনের মতো’। সব মিলিয়ে শেষ পর্যšø ত্রেক্রতার হাতে তুলে দেওয়া হয় টসটসে আনারস। এজন্য ব্যবহার করা হয় হরমোন। হরমোন প্রয়োগে আনারসের আকার ও রং বদলে গেলেও হারিয়ে যায় এর মি®িদ্ব স্ট^াদ ও গল্পব্দ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে ওই হরমোন জনস্ট^াস্টে’্যর জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কৃষি বিভাগ বলছে, কিছু ওষুধ প্রস্ট‘তকারী প্রতিষ্ঠান তাদের অবহিত না করেই কৃষকের হাতে তুলে দিচ্ছে ওই হরমোন ও এর ব্যবহার প™ব্দতি। ফলে কৃষক তাৎক্ষণিক লাভবান হলেও খুব দ্র“তই এর নেতিবাচক প্রভাবে তারাও ক্ষতির সল্ফ§ুখীন হবেন।
উপজেলার আনারস আবাদের জন্য বিখ্যাত নাওগাঁও ও রাঙ্গামাটিয়ার পাহাড়ি এলাকা ঘুরে আনারস চাষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাঘ-ফাল্কºুন মাসে আনারসের চারায় লাল রংয়ের কুড়ি বের হয়। চৈত্র-বৈশাখে লাল কুড়ি কালো রং ধারণ করলে আনারস বড় হওয়ার জন্য ১৫ দিনে ২-৩ বার ‘ত্রক্রপসকেয়ার’ অথবা ‘প্রানোফিকস’ নামের হরমোন ¯েক্স্র করা হয়। উল্কিèখিত হরমোনের সঙ্গে ‘আলগা গোল্ড’ নামের ভিটামিনও একবার ¯েক্স্র করা হয়। কৃষকরা জানান, এতে আনারস বড় ও আকর্ষণীয় রং ধারণ করে। তারা আরো জানান, বায়ার ও ন্যাশনাল এগ্রিফেয়ারের ত্রক্রপসকেয়ার, প্রানোফিকস ও রাইকেন স্ট’ানীয় বাজারে কীটনাশক ডিলারদের কাছ থেকে তারা সংগ্রহ করে থাকেন।
আনারস চাষী আবদুল কুদ্দুস (২৯) জানান, হরমোন ব্যবহারে জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে আনারস যখন বড় ও হƒ®দ্বপু®দ্ব হয়, তখন চাষীরা পুরো বাগানের ফলন একসঙ্গে পাকাতে রাইকেন ¯েক্স্র করেন। এতে পুরো বাগানের ফল পাকা রং ধরে। নাওগাঁও ইউনিয়নের সšেøাষপুর পাহাড়ি এলাকার আনারস চাষী ডাক্তার সোহরাব আলীকে আনারস ফল বড় এবং পাকাতে হরমোন প্রয়োগ প্রত্রিক্রয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, হরমোন প্রয়োগ করে সময়ের আগেই আনারস বড় ও পাকানোর এ প্রত্রিক্রয়ার কথা এলাকার চাষীরা প্রথম জানতে পারেন মধুপুর এলাকা থেকে।
রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের আনারস চাষী মাসুদ আলম বলেন, এ এলাকায় বিভিল্পু মাল্কিল্টন্যাশনাল কো¤ক্সানির প্রতিনিধিরা সরাসরি ফল বাগানে এসে হরমোন ব্যবহারের বিভিল্পু কলাকৌশল শিখিয়ে যান। পরে কৃষকরা স্ট’ানীয় কেশরগঞ্জ বাজার, মোটের বাজার, গাড় বাজার, সাগরদীঘি বাজারের কীটনাশক ডিলারদের কাছ থেকে হরমোন ওষুধ ত্রক্রয় করেন। তিনি বলেন, হরমোন প্রয়োগে যে আনারস হয় তার চাহিদা ও বিত্রিক্র বেশি হয়। হরমোন ব্যবহার না করলে ফলটি আকারে ছোট থেকে যায় এবং পাকতে সময় বেশি লাগে। মহৃলত ব্যবসায়িক কারণেই তারা কৃত্রিম উপায়ে আনারস পু®দ্ব ও মোটাতাজা করে সময়ের আগেই বাজারে বিত্রিক্র করছেন। আনারস চাষী আবদুল কুদ্দুস জানান, তারা হরমোন প্রয়োগ করা আনারস খান না। কিছু জমিতে নিজেরা খাওয়ার জন্য আনারস চাষ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই সমকালকে জানান, ওষুধ প্রস্ট‘তকারী কিছু প্রতিষ্ঠান কৃষি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ না করে সরাসরি সহজ-সরল কৃষকদের প্রলুব্ধ করছে। কৃষকরাও লাভের ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছেন। এতে আনারসের আকৃতি, রং লোভনীয় হলেও স্ট^াভাবিক স্ট^াদ-গল্পব্দ হারাচ্ছে এবং জনস্ট^াস্টে’্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বাকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর গোলাম রব্বানী জানান, আনারসে অতিরিক্ত হরমোন ব্যবহারে বিভিল্পুভাবে মানবদেহের ক্ষতির আশগ্ধকা থাকে। এ ব্যাপারে কেশরগঞ্জ বাজারের জনৈক কীটনাশক ডিলার বলেন, ‘হরমোন ব্যবহার ক্ষতিকর কি-না তা জানি না।’ তবে ওসব ওষুধ বিত্রিক্র করে মধুপুরের ডিলারই পুরস্ট‹ৃত হয়েছেন।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor