Monday, September 15, 2008

ভারতীয় চোরাচালানকৃত ভেজাল সারে বাজার সয়লাব

16.09.08
।। ইত্তেফাক রিপোর্ট ।।

ভারতীয় নকল ও ভেজাল সারে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। এই সার ব্যবহার করে কৃষকরা যেমন প্রতারিত হচ্ছে ঠিক তেমনি জমির উর্বরতা শক্তিও কমে গেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতর্ৃৃৃপক্ষ নির্বিকার ভূমিকা পালন করায় চলতি আমন মওসুমে ধানের উৎপাদন কম হওয়ার আশংকা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তের ওপারে থেকে বালি, লবণ ও মাটির সাথে রং মিশিয়ে তা মিউরেট অব পটাশ বা এমওপি নামে দেদারসে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। নাইট্রোজেন মিশ্রিত ডায়ামোনিয়াম ফসফেট বা ডিএপি’র ব্যাগে দানাদার এসএসপি ভরে পাচার করা হচ্ছে বাংলাদেশে। সিঙ্গেল সুপার ফসফেট বা এসএসপি দানাদার ৬/৭ বছর আগেই বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কারণ এই দানাদার এসএসপি ট্রিপল সুপার ফসফেট বা টিএসপি বলে চালিয়ে দেয়া হতো। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে শতশত বস্তা এসব ভেজাল মিশ্রিত সার চোরাপথে প্রবেশ করছে এবং শুধু কম টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেখে কৃষকরা তা ক্রয় করছে।

একজন সার ব্যবসায়ী জানান, বাজারে সারের ভেজাল মিশ্রিত সারের নমুনা তারা সংগ্রহ করছেন এবং তাতে যে বালু, রং ও লবণ মেশানো তা প্রমাণ করেছেন। কিন্তু সাধারণ যেসব ক্রেতা কৃষকের বিষয়টি বুঝবার কথা তা তারা বুঝতে পারছেন না। দেশের অভ্যন্তরীণ সারের যে চাহিদা রয়েছে তা বেশিরভাগই আমদানি করে পূরণ করতে হয়। এর বাইরে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনও রয়েছে। কিন্তু ভারতীয় কম দামের ভেজাল সারে বাজার সয়লাব হওয়ায় আমদানিকারকরা সার আমদানি করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। আর যে পরিমাণ সার এখনো মজুদ রয়েছে সেগুলোও বিক্রি হচ্ছে না। এতে সারের বাজারে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা ও লোকসানের আশংকা।

সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ডিএপি সার বস্তা হিসাবে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু ভেজাল মিশ্রিত ডিএপি আড়াই হাজার থেকে তিনি হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কৃষকরা অর্ধেক দামে ভেজাল সার কিনে ঠকছে। অনুরূপভাবে এমওপি বস্তাপ্রতি ৩ হাজার টাকা হলেও ভেজাল মিশিয়ে ১৫শ’ টাকায় বাজারে ছাড়া হচ্ছে। সারের সুষ্ঠু বাজারজাতকরণে সরকারের কোন উদ্যোগই তাই কাজে আসছে না বলে জানিয়েছেন সার ডিলার এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।

No comments:

About Me

My photo
প্রতিদিন বিভিন্ন সংবাদপত্র কৃষি বিষয়ে নানান সংবাদ প্রকাশ করে থাকে। এ সকল তথ্য কাজের জন্য খুবই সহায়ক। কিন্তু একজনের পক্ষে প্রতিদিন সবগুলো সংবাদপত্র পড়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ এ সকল বিষয়গুলো আমাদের সবার জন্য কম-বেশি দরকারি। এ চিন্তা থেকে আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র নিয়মিত পরিবীক্ষণ ও কৃষি বিষয়ক সংবাদসমূহ তথ্যায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছ্।ি আশা করছি সংবাদ তথ্যায়নের এ প্রকিৃয়াটি আমাদের কাজের জন্য সহায়ক হবে। পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশান নেটওয়ার্ক- প্রান এ কাজটি সঞ্চালনের কাজ করছে।

Krishi Khobor